ED-ই ‘মডেল’! বেআইনি সম্পত্তি কীভাবে বাজেয়াপ্ত করতে হয় শিখতে হবে Enforcement Directorate-এর কাছেই, জানাল আন্তর্জাতিক সংস্থা!
Enforcement Directorate: সম্প্রতি সম্পত্তি পুনরুদ্ধার নিয়ে একটি এফএটিএফ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেই রিপোর্টে তারা বলেছে যে পদ্ধতিতে ভারতে আর্থিক তছরুপ ও অপরাধের সঙ্গে যুক্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়, সেটা অনেক বেশি যুক্তিসঙ্গত, গোছানো ও প্রযুক্তিগত দিক থেকেও তা অনেকটা এগিয়ে।

আর্থিক তছরুপ, সন্ত্রাসে আর্থিক মদত সহ একাধিক বিষয়ে আন্তর্জাতিক নজরদারি সংস্থা ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স বা এফএটিএফ বলছে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটই নাকি সেরা সংস্থা। আন্তর্জাতিক সংস্থাটি ইডিকে মডেল সংস্থা হিসাবেও উল্লেখ করেছে।
কী বিষয়ে প্রসংশিত ইডি?
সম্প্রতি সম্পত্তি পুনরুদ্ধার নিয়ে একটি এফএটিএফ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেই রিপোর্টে তারা বলেছে যে পদ্ধতিতে ভারতে আর্থিক তছরুপ ও অপরাধের সঙ্গে যুক্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়, সেটা অনেক বেশি যুক্তিসঙ্গত, গোছানো ও প্রযুক্তিগত দিক থেকেও তা অনেকটা এগিয়ে। এ ছাড়াও ইডি যে আইনি সহায়তা পায়, তারও প্রশংসা করেছে এফএটিএফ।
শুধুই ইডি?
শুধু ইডি নয়, এই রিপোর্টে উঠে এসেছে সিবিআই, এফআইউ-আইএনডির মতো ভারতের ফাইন্যান্সিয়াল গোয়েন্দা সংস্থার নামও। আর্থিক তছরুপ ঠেকাতে ভারতে যে আইন রয়েছে তারও প্রশংসা করেছে এফএটিএফ। তাঁরা জানিয়েছে, এই আইন কোনও অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার সবুজ সংকেত দেয়। এ ছাড়াও ভারতের একাধিক সংস্থা যে নিজেদের মধ্যে সমন্বয় রেখে কাজ করে, সেই কথাও উঠে এসেছে তাদের রিপোর্টে।
এই রিপোর্টের শেষে এফএটিএফ জানিয়েছে অন্যান্য দেশের এই সংক্রান্ত বিষয়ে ভারতকে অনুসরণ করা উচিত। ভারতের একাধিক বিনিয়োগে জালিয়াতি, কর্পোরেট বন্ড কেলেঙ্কারি, সমবায় ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারির মতো ঘটনার উদাহরণ তুলে ধরা হয়েছে। বিশ্বের কোনও দেশ কোনও জঙ্গি কার্যকলাপে অর্থনৈতিক মদত দিচ্ছে কি না তার উপর কড়া নজর রাখে এফএটিএফ। আর সেই কারণেই এফএটিএফের রিপোর্ট খুবই গুরুত্ব পায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছে। এই সংস্থা দীর্ঘদিন পাকিস্তানকে দূসর তালিকাভুক্ত করে রেখেছিল। ২০২২ সালে এই তালিকা থেকে মুক্তি পায় পাকিস্তান। আর সেই আন্তর্জানিক সংস্থার প্রসংশার মুখে এবার ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা।
