Supreme Court: MBBS পড়ার খরচ ৭ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ রায় সুপ্রিম কোর্টের

Supreme Court on Andhra MBBS Fee: মুনাফা অর্জনের জন্য শিক্ষা নিয়ে ব্যবসা করা যায় না। পড়াশোনার খরচ সাশ্রয়ী হওয়া উচিত বলে জানিেয়ছে সুপ্রিম কোর্ট।

Supreme Court: MBBS পড়ার খরচ ৭ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ রায় সুপ্রিম কোর্টের
এই বিষয়ে অন্ধ্র প্রদেশ হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 08, 2022 | 3:41 PM

নয়া দিল্লি: মুনাফা অর্জনের জন্য শিক্ষা নিয়ে ব্যবসা করা যায় না। পড়াশোনার খরচ সাশ্রয়ী হওয়া উচিত। সোমবার (৭ অক্টোবর) তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করল সুপ্রিম কোর্ট। অন্ধ্র প্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এমবিবিএস পড়ার খরচ ৭ গুণ বাড়িয়ে বছরে ২৪ লক্ষ টাকা করা হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্ত খারিজ করে দিয়েছিল অন্ধ্র প্রদেশ হাইকোর্ট। হাইকোর্টের রায়কে শীর্ষ আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছিল অন্ধ্র সরকার। সেই মামলার রায় ঘোষণার সময়, এই বিশেষ পর্যবেক্ষণ করেছে বিচারপতি এমআর শাহ এবং সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ। অন্ধ্র প্রদেশ হাইকোর্টের রায়ই বহাল রেখেছে দুই বিচারপতির বেঞ্চ।

২০১৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর, এক বিশেষ সরকারি আদেশে অন্ধ্র প্রদেশে এমবিবিএস কোর্সের ফি বৃদ্ধি করা হয়েছিল। রায় ঘোষণার সময় শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, অন্ধ্র সরকারের এই আদেশ খারিজ করে অন্ধ্র প্রদেশ হাইকোর্ট কোনও ভুল করেনি। বিচারপতি এমআর শাহ বলেন, “কোর্সের ফি ২৪ লক্ষ টাকায় বাড়ানো মানে আগে যা ফি ছিল তার সাতগুণ বৃদ্ধি। এটা কোনওভাবেই ন্যায্য বলা যায় না। শিক্ষা কোনও মুনাফা অর্জনের ব্যবসা নয়। পড়াশোনার খরচ সবসময় সাশ্রয়ী হওয়া উচিত।”

আদালত আরও জানিয়েছে, কোনও কোর্সের ফি নির্ধারণের সময় কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করা উচিত। এর মধ্যে রয়েছে – ইনস্টিটিউশনের অবস্থান, পেশাদারি কোর্সের প্রকৃতি, বিদ্যমান পরিকাঠামোর খরচ, প্রশাসনিক ব্যয়, প্রতিষ্ঠানের বৃদ্ধি এবং উন্নতির খরচ, সংরক্ষিত শ্রেণি এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকা শ্রেণিদের ফি মকুবের পরিমাণ ইত্যাদি।

একই সঙ্গে আদালত জানিয়েছে, ইতিমধ্যে অতিরিক্ত ফি হিসেবে যে অর্থ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছে মেডিক্যাল কলেজগুলি, সেই অর্থ ফিরিয়ে দিতে হবে। এই বিষয়ে অন্ধ্র প্রদেশ হাইকোর্টের আদেশ সঠিক বলে উল্লেখ করেছে শীর্ষ আদালত। আদালত আরও জানিয়েছে, কলেজগুলি দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে অবৈধভাবে সংগ্রহ করা অর্থ ব্যবহার করছে। আর অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে চড়া সুদের হারে ঋণ নিতে হয়েছে। শিক্ষার্থীদের কত টাকা দিতে হবে কলেজগুলিকে, তার পরিমাণ আগেই নির্ধারণ করেছিল হাইকোর্ট। শীর্ষ আদালত তাতেই সম্মতি জানিয়েছে।