ED Raid at Satyendar Jain’s House: গ্রেফতারির পরও সত্যেন্দর জৈনের বাড়িতে তল্লাশি ইডি-র, চাপ বাড়ছে কেজরী সরকারের উপরে?

ED Raid at Satyendar Jain's House: সিবিআইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তকারী সংস্থা সত্যেন্দর জৈনের বিরুদ্ধে অপরাধের মামলা দায়ের করে। অভিযোগে বলা হয়েছে, সত্যেন্দর জৈন যে চারটি সংস্থার শেয়ারহোল্ডার, সেখান থেকে পাওয়া বিপুল অর্থের 'সূত্র' তিনি জানাতে পারেননি।

ED Raid at Satyendar Jain's House: গ্রেফতারির পরও সত্যেন্দর জৈনের বাড়িতে তল্লাশি ইডি-র, চাপ বাড়ছে কেজরী সরকারের উপরে?
সত্যেন্দর জৈন। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 06, 2022 | 12:56 PM

নয়া দিল্লি: গত মাসের শেষভাগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্য়েন্দর জৈন। এ বার আর্থিক দুর্নীতি মামলায় তাঁর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সোমবার সকালেই দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। সূত্রের খবর, সত্যেন্দর জৈনের বাড়ি-সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চাালানো হচ্ছে। ইডির তরফে জানানো হয়েছে, আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ‘ফলো আপ’-র জন্যই তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে।

গত এপ্রিলে আয়-ব্যয়ের গড়মিল থাকার অভিযোগে সত্যেন্দর জৈনের মালিকানাধীন ও তার নিয়ন্ত্রণে থাকা সংস্থাগুলি মিলিয়ে ৪.৮১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ইডি। এরপর গত ৩০ মে কলকাতায় অবস্থিত একটি সংস্থার নিয়ন্ত্রিত হাওয়ালা মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় সত্যেন্দর জৈনকে। আগামী ৯ জুন অবধি ইডির হেফাজতেই থাকবেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

সিবিআইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তকারী সংস্থা সত্যেন্দর জৈনের বিরুদ্ধে অপরাধের মামলা দায়ের করে। অভিযোগে বলা হয়েছে, সত্যেন্দর জৈন যে চারটি সংস্থার শেয়ারহোল্ডার, সেখান থেকে পাওয়া বিপুল অর্থের ‘সূত্র’ তিনি জানাতে পারেননি।তদন্তকারীদের দাবি, ২০১৫-২০১৬ সালের মধ্যে সত্যেন্দর জৈন ও তাঁর আত্মীয়দের মালিকানাধীন এবং নিয়ন্ত্রিত সংস্থাগুলিতে হাওয়ালা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ৪.৮১ কোটি টাকা ঢুকেছিল। ওই অর্থ ব্যবহার করে দিল্লি এবং আশপাশের এলাকায় জমি কেনা হয়েছিল।

এদিকে, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারির পরই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। সম্প্রতিই তিনি বলেছিলেন, “আমাদের সরকার অত্যন্ত সৎ ও কড়া। আমরা মনেপ্রাণে দেশপ্রেমী। আমরা নিজেদের মাথা কেটে ফেলব, তবু দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করব না। সত্য়েন্দর জৈনের গ্রেফতারি সম্পূর্ণরূপে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।”
গত সপ্তাহেও ভিডিয়ো বার্তায় কেজরীবাল দাবি করেছিলেন, সত্যেন্দর জৈনের পর এ বার মণীশ সিসোদিয়াকে ভুয়ো মামলায় গ্রেফতার করার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। সেখানে তিনি দাবি করেন, উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে চক্রান্ত করে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে অনুরোধ করেন যে সকলকেই যেন একসঙ্গে জেলে পুরে দেওয়া হয়। বিশ্বাসযোগ্য় সূত্রে তিনি জানতে পেরেছেন যে দুর্নীতির অভিযোগে শীঘ্রই মণীশ সিসোদিয়াকে গ্রেফতার করা হবে। তিনি বলেন, “বিশ্বাসযোগ্য সূত্রেই জানতে পেরেছি মণীশ সিসোদিয়া শীঘ্রই গ্রেফতার হবেন। কেন্দ্র সমস্ত তদন্তকারী দলকেই নির্দেশ দিয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়ো তদন্ত শুরু করতে।”