Chennai Police: শহরে হেড অফিস, গোটা রাজ্যে বেশ কয়েকটি ব্রাঞ্চ! এই ‘ব্যাঙ্কে’ টাকা রেখে হাত কামড়াচ্ছেন গ্রাহকরা

Chennai: চেন্নাইয়ের পুলিশ কমিশনারের কাছে দেশের ব্যাঙ্ক নিয়ামক সংস্থা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজারের তরফে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল।

Chennai Police: শহরে হেড অফিস, গোটা রাজ্যে বেশ কয়েকটি ব্রাঞ্চ! এই 'ব্যাঙ্কে' টাকা রেখে হাত কামড়াচ্ছেন গ্রাহকরা
ছবি: সংবাদ সংস্থা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 09, 2022 | 6:21 PM

চেন্নাই: চেন্নাই পুলিশের সেন্ট্রাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ বুধবার একটি ভুয়ো ব্যাঙ্কের পর্দাফাঁস করেছে। জানা গিয়েছে, এই ভুয়ো ব্যাঙ্কটি কয়েক বছর ধরে গোটা তামিলনাড়ুতে সক্রিয় ছিল। এই ভুয়ো ব্যাঙ্কের মূল মাথা ৪৪ বছর বয়সী চন্দ্রবোসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ভুয়ো ব্যাঙ্কের মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষকে প্রতারণা করা হয়েছে। ভুয়ো ব্যাঙ্কের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘রুরাল অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচারাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক।’ চেন্নাইয়ের আম্বাত্তুরে ছিল এই ভুয়ো ব্যাঙ্কের প্রধান কার্যালয়। তামিলনাড়ুর মাদুরাই, ইরোড, ডিন্ডিগুল, বিরুধাচলম, কাল্লাকুরিচি এবং নামক্কল মিলিয়ে এই ভুয়ো ব্যাঙ্কের মোট ৭টি শাখা ছিল।

চেন্নাইয়ের পুলিশ কমিশনারের কাছে দেশের ব্যাঙ্ক নিয়ামক সংস্থা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজারের তরফে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসে চেন্নাই পুলিশের আধিকারিকরা। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ভুয়ো ব্যাঙ্ক খুলে কৃষক ও তরুণ উদ্যোগপতিদের প্রতারণা করা হচ্ছিল। তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে বিস্ফোরক তথ্য আসে। পুলিশ জানতে পারে, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ভুয়ো সার্টিফিকেট বানিয়ে প্রতারণা চক্রের ফাঁদ পেতেছে চন্দ্রবোস নামের এক ব্যক্তি।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই ভুয়ো ব্যাঙ্কে কয়েকশো কর্মী চাকরি করতেন। নিয়ম বহির্ভূতভাবে ব্যাঙ্কটি বাজার থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছে বলেও জানা গিয়েছে। চেন্নাইয়ের পুলিশ কমিশনার শঙ্কর জিওয়াল জানিয়েছেন, চন্দ্রবোসকে চেন্নাই থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। চেন্নাইয়ের পুলিশ কমিশনার বলেন, “ব্রিটেনের একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে বেশ কিছুদিন চাকরি করেছিলেন চন্দ্র। চাকরি ছেড়ে চেন্নাই চলে এসে ভুয়ো ব্যাঙ্কের ব্যবসা ফেঁদেছিলেন তিনি। টাকা ট্রান্সফারের জন্য সফটওয়্যার কেনার পাশাপাশি, বিলিং ও পাসবুক প্রিন্টিং মেশিনেও ব্যাঙ্কে নিয়ে এসেছিলেন তিনি।” অন্য ব্যাঙ্কের ক্রেডিট কার্ডে ভুয়ো ব্যাঙ্কে নামে স্টিকার লাগিয়ে গ্রাহকদের দেওয়া হত বলেই জানিয়েছে পুলিশ। তদন্তে উঠে এসেছে কোটি কোটি টাকা গ্রাহকদের থেকে তোলা হয়েছে। গ্রাহকদের বোকা বানানোর জন্য সোশ্যাল মিডিয়া পেজ ও ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, টার্ম ডিপোজিট, ঋণ ও গয়নাতে চড়া সুদের প্রলোভন দেখিয়ে আরও বেশি গ্রাহক জোগাড় করার চেষ্টা করছিল ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। পুলিশ জানিয়েছে ব্যাঙ্কের আম্বাত্তুর শাখা একাই গ্রাহকদের থেকে ২ কোটি টাকা তুলেছে।