Cheating: ডিভোর্সী মহিলাদের বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস, টাকা নিয়ে উধাও! কী ভাবে চলত প্রতারণা

Faridabad: ২০১৭ সালে ফরিদাবাদ থানায় অভিযুক্ত অর্জুনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছিলেন। ফরিদাবাদের বাসিন্দা ৪৫ বছরের এক ডিভোর্সী মহিলা অভিযোগ করেন, অর্জুন বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার তাঁর সঙ্গে সহবাস করেন।

Cheating: ডিভোর্সী মহিলাদের বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস, টাকা নিয়ে উধাও! কী ভাবে চলত প্রতারণা
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 27, 2022 | 1:21 PM

ফরিদাবাদ: ডিভোর্সী মহিলাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতেন। বন্ধুত্ব গাঢ় হতেই বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিতেন। তার পর চলত সহবাস। সেই সঙ্গে মহিলার টাকা পয়সা, সম্পত্তি নিয়ে বিভিন্ন স্বপ্ন দেখানো। বিশ্বাস করে বিধবা মহিলারা তাতে রাজি হলেই টাকা নিয়ে চম্পট দিতেন ব্যক্তি। এ ভাবেই বছরের পর বছর একাধিক বিবাহবিচ্ছিন্না মহিলাদের সঙ্গে প্রতারণা চালিয়েছেন ব্যক্তি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিলে বছর পাঁচেক আগেই। অবশেষে ফরিদাবাদের পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ধরতে সমর্থ হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম অর্জুন দেব (৪৮)। অভিযুক্ত জালন্ধরের বাসিন্দা।

২০১৭ সালে ফরিদাবাদ থানায় অভিযুক্ত অর্জুনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছিলেন। ফরিদাবাদের বাসিন্দা ৪৫ বছরের এক ডিভোর্সী মহিলা অভিযোগ করেন, অর্জুন বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার তাঁর সঙ্গে সহবাস করেন। ৭০ লক্ষ টাকায় তাঁর ফ্ল্যাট বিক্রি করে সেই টাকা নিয়ে পালিয়ে যান। ওই মহিলা আরও অভিযোগ করেন, অর্জুন একটি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন। কিন্তু সেই ফ্ল্যাটের লোন নিয়েছিলেন তাঁর নামে। বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়েই ওই মহিলার সঙ্গে অভিযুক্ত অর্জুন এ সব করেছিলেন বলে জানিয়েছেন এক পুলিশ অফিসার।

এই অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও তাঁর নাগাল পায়নি পুলিশ। গ্রেফতারি এড়াতে অভিযুক্ত জায়গা পাল্টে ফেলত বলে জানিয়েছে পুলিশ। ২০১৮ সালে পলাতক অপরাধী হিসাবে তাঁর নামে নোটিস জারি করে পুলিশ। অবশেষে মঙ্গলবার নয়ডা থেকে তাঁকে ধরতে সমর্থ হয় ফরিদাবাদ থানার পুলিশ।

এই সময়ের মধ্য়ে অভিযুক্ত আরও ২ জন ডিভোর্সী মহিলাকে বিয়ে করেছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। সেই মহিলাদের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদও করে নিয়েছেন অভিযুক্ত। একই কায়দায় গুরুগ্রামের এক বিধবা মহিলাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৬০ লক্ষ টাকা হাতিয়েছিলেন। সে ক্ষেত্রেও অভিযুক্ত একই পন্থা নিয়েছিলেন। পুলিশ জানিয়েছেন, জালন্ধরের বাসিন্দা অর্জুন দিল্লি থেকেই নিজের পড়াশোনা চালিয়েছেন। এর আগেও বেশ কয়েক জনের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।