Uttar Pradesh: একই ঘরে বাবা ও ছেলে-মেয়ের মৃতদেহ, ‘ভূত-প্রেতের চক্করেই’ না কি শেষ গোটা পরিবার

Uttar Pradesh: বুধবার উত্তর প্রদেশের পিলিভীত জেলায় এক রহস্যজনক পরিস্থিতিতে মৃত্যু হয়েছে একই পরিবারের তিন সদস্যের। পাড়া-প্রতিবেশীদের দাবি, ওই পরিবারের সদস্যরা ভূত-প্রেতের কবলে পড়েছিল।

Uttar Pradesh: একই ঘরে বাবা ও ছেলে-মেয়ের মৃতদেহ, 'ভূত-প্রেতের চক্করেই' না কি শেষ গোটা পরিবার
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 30, 2022 | 9:12 PM

লখনউ: বুধবার উত্তর প্রদেশের পিলিভীত জেলায় এক রহস্যজনক পরিস্থিতিতে মৃত্যু হয়েছে একই পরিবারের তিন সদস্যের। একটি খাটের উপর পাশাপাশি ভাই-বোনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। একই ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় তাদের বাবার দেহ। আচমকা একই পরিবারের ৩ জনের মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গ্রামে। বিশেষ করে, পাড়া-প্রতিবেশীদের দাবি, ওই পরিবারের সদস্যরা ভূত-প্রেতের কবলে পড়েছিল। ভূতের সেই কাহিনি হতবাক করে দিয়েছে পুলিশকেও।

ঘটনাটি ঘটেছে পিলিভীত জেলার দেওরিয়া থানা এলাকার রামভূজা গ্রামে। এই গ্রামের বাসিন্দা ৪৫ বছর বয়সী বালক রাম এবং তাঁর ছেলে নিহাল (১১ বছর) ও মেয়ে শালিনীকে (১৫ বছর) এদিন সকালে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে বাড়িতে ছিলেন না বালক রামের স্ত্রী। তাঁদের আরেক ছেলে প্রভাত (১৪ বছর) বাড়িতে থাকলেও, রাতে অন্য ঘরে শুয়েছিল। সকালে ঘুম ভাঙার পর, সে দেখেছিল বাবাদের ঘরের দরজা বন্ধ। বেশ কিছুক্ষণ ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে প্রভাত তার কাকার বাড়িতে গিয়েছিল খবর দিতে। কাকা একই পাড়ায় থাকেন। গ্রামের আরও কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে এসে ঘরের দরজা ভেঙে তারা তিনজনকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। এরপরই খবর দেওয়া হয়েছিল পুলিশে।

ঘটনাস্থলে আসেন জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার পি। তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। পুলিশের কাছে গ্রামবাসীরা দাবি করেন, বালক রামের পরিবার গত বেশ কয়েক মাস ধরেই ভূতের পাল্লায় পড়েছিল। দীনেশ কুমার পি জানিয়েছেন, গ্রামবাসীদের মতে গত এক বছর ধরে বালক রাম এবং তাঁর বড় মেয়ে শালিনীর উপর ভূত ভর করেছিল। ভূতের উপদ্রব মোকাবিলায় বালক রাম প্রায়ই স্থানীয় এক আশ্রমে যেতেন।

মৃত্যুর প্রকৃত কারণ এখনও না জানা গেলেও, প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ অনুমান করছে, কুসংস্কারই ওই পরিবারের তিন সদস্যের মৃত্যুর কারণ। মনে করা হচ্ছে, ছেলে-মেয়েকে হত্যা করে বাবা আত্মঘাতী হয়েছেন। তবে, তদন্ত শেষ হওয়ার আগে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে চাইছে না তারা। এই তিনজনের মৃত্যুর পিছনে বালক রাম যে আশ্রমে যেতেন, সেই আশ্রমের কোনও ভূমিকা আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এসপি জানিয়েছেন, ৩ জন চিকিৎসকের একটি দল দেহগুলির ময়নাতদন্ত করছে।

এদিকে, একইসঙ্গে তিনজনের আকস্মিক মৃত্যুতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গ্রামে। গ্রামবাসীদের দাবি, মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। এত বড় বিপদ ঘটতে চলেছে, তার কোনও আভাসই পাওয়া যায়নি। পুলিশ কুসংস্কার বলে দাবি করলেও গ্রামবাসীরা ভূতের আতঙ্কে কাঁপছে।