Digvijay Singh: ‘আমি বাদ কেন?’, প্রশ্ন দিগ্বিজয় সিংয়ের, কংগ্রেসের সভাপতির লড়াই কি তবে ত্রিমুখী?
Congress President Election: রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট যদি দলের সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হন, তবে দলের ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি মেনে গেহলটের মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়া উচিত বলেই জানান দিগ্বিজয় সিং।
নয়া দিল্লি: হাতে গোনা আর কয়েকদিনই বাকি কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে। বাকি নির্বাচনের তুলনায় এই নির্বাচন বেশ কিছুটা আলাদা, কারণ এবারের নির্বাচনে অংশ নেবেন না গান্ধী পরিবারের সদস্যরা। বিগত ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দল সামলানোর দায়িত্ব গান্ধী পরিবারের হাতে থাকলেও, এবার তার ব্যতিক্রম হবে। কংগ্রেস সভাপতি হিসাবে বেছে নেওয়া হবে অ-গান্ধী কোনও মুখকেই। ইতিমধ্যেই দুই প্রার্থীর নাম এসেছে, শশী থারুর ও অশোক গেহলট। এবার তাদের সঙ্গী হতে পারেন আরও একজন। তিনি আর কেউ নন, মধ্য প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিং। কংগ্রেসের সম্ভাব্য সভাপতি নিয়ে আলোচনাতেই তিনি বলেন, “প্রার্থী তালিকা থেকে আমাকে বাদ দিচ্ছেন কেন?”। তাঁর এই মন্তব্যের পরই জল্পনা শুরু হয়েছে, এবার কী তাহলে ত্রিমুখী লড়াই হতে চলেছে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে?
চলতি সপ্তাহেই কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতি নির্বাচনে দুই সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম সামনে আসে। কংগ্রেসের দলনেত্রী সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সাংসদ শশী থারুর দেখা করার পরই জানা যায়, তাকে দলের সভাপতি হওয়ার দৌড়ে সামিল হওয়ার সবুজ সংকেত দিয়েছেন সনিয়া। পরে মঙ্গলবার দিন জানা যায়, অপর প্রার্থী হতে চলেছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী তথা গান্ধী পরিবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ অশোক গেহলট। বুধবার এনডিটিভিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে মধ্য প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিংকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, “আমাকে এই তালিকা বাদ দিচ্ছেন কেন?”
কংগ্রেসের ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নিয়েও মুখ খোলেন এক সময় টানা ১০ বছর ধরে মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী থাকা দিগ্বিজয় সিং। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট যদি দলের সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হন, তবে দলের ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি মেনে গেহলটের মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়া উচিত বলেই জানান দিগ্বিজয় সিং। প্রসঙ্গত, দলের সভাপতি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি সামনে আসতেই প্রশ্ন ওঠা শুরু হয়েছে যে, সভাপতি হলে কি মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেবেন অশোক গেহলট? যদিও দলীয় কর্মীদের আশ্বস্ত করে তিনি বলেছেন যে, সভাপতি হলেও কোথাও যাবেন না তিনি। দলীয় কর্মীদের কাছেই থাকবেন সবসময়।
অশোক গেহলট যদি কংগ্রেসের সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হন এবং কংগ্রেস ‘এক ব্যক্তি, এক পদে’র নীতি মেনে চলে, তবে মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়তে হতে পারে তাঁকে। দীর্ঘদিন ধরেই এই গদি দখলের আশায় বসে রয়েছেন গেহলটের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী তথা রাজস্থানের প্রাক্তন উপমুখ্য়মন্ত্রী সচিন পাইলট। কিন্তু দলীয় সূত্রে খবর, পাইলটকে গদি ছাড়তে নারাজ গেহলট। সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হলেও, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর গদি ধরে রাখতে চান। দিগ্বিজয় সিংয়ের মতো প্রবীণ নেতারাও ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নিয়ে সওয়াল করলেও, গেহলট সাফ জানিয়েছেন, এই নিয়ম সভাপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।