Ghulam Nabi Azad: আগে রাজ্যের মর্যাদা, তারপর হোক উপত্যকায় আসন পুনর্বিন্যাস, ভোট; দাবি গুলাব নবি আজাদের
Statehood of Jammu and Kashmir: গুলাম নবি আজ়াদের দাবি, আগে জম্মু ও কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বদলে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হোক। তারপর আসন পুনর্বিন্যাস এবং বিধানসভা নির্বাচন করা হোক।
শ্রীনগর : জম্মু ও কাশ্মীরকে রাজ্যে মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আজ ফের একবার জোরালো সওয়াল করলেন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজ়াদ। তাঁর মতে জম্মু ও কাশ্মীরকে বিভক্ত করায় অনেক ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। কংগ্রেসের তরফে তিনি বলেন, আমাদের দাবি, আগে জম্মু ও কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বদলে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হোক। তারপর আসন পুনর্বিন্যাস এবং বিধানসভা নির্বাচন করা হোক।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বর্ষীয়ান নেতা জানিয়েছেন, “জম্মু ও কাশ্মীরকে ভেঙে দুই ভাগ করার সিদ্ধান্ত সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে আমাদের। যখন প্রধানমন্ত্রী কাশ্মীরের নেতাদের তাঁর বাসভবনে আমন্ত্রণ করেছিলেন, তখন আমি তাঁকে বলেছিলাম, আমরা নির্বাচনের পর রাজ্যের মর্যাদা চাই না। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আমাকে আশ্বস্ত করেছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে এবং আসন পুনর্বিন্য়াসের জন্য বিশেষ কমিশন একটি রিপোর্ট তৈরি করবে।”
উল্লেখ্য, গতকালই শ্রীনগরে অমিত শাহ জানিয়ে দিয়েছিলেন, আবার রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাবে জম্মু ও কাশ্মীর। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেনন, আসন পুনর্বিন্যাস এবং বিধানসভা নির্বাচনের পরই জম্মু ও কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। উল্লেখ্য সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর এই প্রথমবার জম্মু ও কাশ্মীর সফরে গিয়েছেন অমিত শাহ।
সব ঠিকঠাকই ছিল, কিন্তু গুলাব নবি আজ়াদদের দাবি, আগে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হোক জম্মু ও কাশ্মীরকে। বাকি আসন বিন্যাস এবং উপত্যকার বিধানসভা নির্বাচনের পর্ব পরে হবে। অর্থাৎ, রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাওয়ার জন্য আর একেবারেই দেরি করতে চাইছেন না গুলাম নবি আজ়াদ।
চলতি মাসে একের পর এক সাধারণ নাগরিকদের উপর আক্রমণ হয়েছে কাশ্মীরে। এখনও পর্যন্ত অক্টোবরে জঙ্গিদের গুলিতে ১১ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে কাশ্মীরে। এদের মধ্যে রয়েছেন কাশ্মীরী পণ্ডিত, ভিন রাজ্য থেকে কাশ্মীরে কাজ করতে আসা শ্রমিকরা। আর কাশ্মীরের এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির মধ্যেই আজ উপত্যকায় পৌঁছে গিয়েছেন অমিত শাহ। তিন দিন কাশ্মীরে থাকবেন তিনি।
কাশ্মীরে উপস্থিত নিরাপত্তা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকদের থেকে পাওয়া তথ্য থেকে সরকার বুঝতে পেরেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী কাশ্মীরের প্রধান সমস্যা এবং এই বিচ্ছিন্নতাবাদীরা উগ্রপন্থাকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। কাশ্মীরে বসবাসকারীদের অনেকেও এই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে যুক্ত। এই গোয়েন্দা রিপোর্ট সরকারের উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে তুলেছে জানা গিয়েছে।
সরকারী পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, কাশ্মীরে বসবাসকারী ৯৭ জন যুবক সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য নিজেদের বাড়িঘর ছেড়েছিলেন। এদের মধ্যে ৫৬ জনকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। তাদের থেকে উদ্ধার করা পিস্তল থেকে সহজেই আন্দাজ করা যায় যে তারা ক্রমশই হিংস্র হয়ে উঠেছেন। এমনটাই জানিয়েছেন কাশ্মীরে কর্মরত নিরাপত্তা বাহিনীর এক অফিসার। গত বছরে জঙ্গি সংগঠনের যোগ দেওয়ার সংখ্যাটা ছিল আরও বেশি। মোট ১৭৮ জন জঙ্গিদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন এবং তাদের মধ্যে ১২১ জনকে নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব হয়েছে।
আরও পড়ুন : Adhir Chowdhury: ক্রিকেটের হাত ধরেই ফিরবে ভারত-পাকিস্তান কূটনৈতিক সম্পর্ক, আশাবাদী অধীর