কে বানিয়েছে আরোগ্যসেতু, জানে না সরকার বাহাদুর
সম্প্রতি তথ্যের অধিকার আইনে আরোগ্য সেতু অ্যাপের প্রস্তুতকর্তা জানতে চেয়েছিলেন এক আবেদনকারী। তাতেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
Tv9 বাংলা ডিজিটাল: নিজের এলাকায় বা আশেপাশে কোথায় করোনা রোগী (Corona Patient) রয়েছে, তা জানতে অনেক মানুষেরই ভরসা ‘আরোগ্য সেতু’ (Arogya Setu App) অ্যাপ। বাড়িতে বসেই নিজেদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও করোনা সংক্রমিত হয়েছেন কিনা, তা জানতে আরোগ্য সেতু অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে সরকারের তরফেও। অফিসে এই অ্য়াপ ব্যবহারও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু এই অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করল কে? তা নিয়ে ধন্দে খোদ সরকার বাহাদুর।
সম্প্রতি তথ্যের অধিকার আইনে আরোগ্য সেতু (Arogya Setu) অ্যাপের প্রস্তুতকর্তা জানতে চেয়েছিলেন এক আবেদনকারী। তাতেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। আরোগ্য সেতুর ওয়েবসাইটে লেখা রয়েছে, জাতীয় তথ্য কেন্দ্র এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে এই অ্যাপ। কিন্তু তথ্যের অধিকার আইনে দুই পক্ষই জানায়, অ্যাপটি তৈরি বিষয়ে তাদের কাছে কোনও তথ্য নেই।
ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের কাছে কড়া নোটিস পাঠিয়ে জাতীয় তথ্য কমিশন জানতে চেয়েছে, আরোগ্য সেতু অ্যাপের প্রস্তুতকারী নাম। কর্তৃপক্ষ তথ্য জানাতে অস্বীকার করলে তা মেনে নেওয়া হবে না বলেও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে জাতীয় তথ্য কেন্দ্র জানিয়েছে, আরোগ্য সেতু অ্যাপ্লিকেশন তৈরির গোটা ফাইলটিই তাদের কাছে নেই। তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রককে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তা জাতীয় ই-গভর্নেন্স-র ঘরে বল ঠেলে দেয়। সেখান থেকেও জবাব মেলে, এই তথ্য তাদের বিভাগের অন্তর্গত নয়।
তবে, তথ্য কমিশনের তরফ থেকে চিফ পাবলিক ইনফরমেশন এবং ন্যাশনাল ই-গভার্নেন্স ডিভিশনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ধরানো হয়েছে। সরকার যাতে তথ্য পরিবেশনে এড়িয়ে না যায়, তা সতর্কও করা হয়েছে। নোটিসে তথ্য কমিশনার ভানাজা এন সরনা বলেন, “মুখ্য তথ্য অধিকর্তা, জাতীয় তথ্য কমিশনকে লিখিতভাবে জবাব দিতে হবে কীভাবে সরকারের নামে https://aarogyasetu.gov.in/ – এই ডোমেন নামটি তৈরি হয়েছে, যেখানে সরকার এই বিষয়ে কোনও তথ্যই জানে না।”