Congress: ‘অন্তরাত্মার ডাক’ শুনেই বিজেপি প্রার্থীকে ভোট কংগ্রেস বিধায়কের! ফলও মিলল হাতে-নাতে…
Rajya Sabha Election 2022: হারের হিসাব কষতে গিয়ে দেখা যায় মাত্র ০.৬৬ শতাংশ ভোটে হেরে গিয়েছেন পোড় খাওয়া কংগ্রেস নেতা। সেই সময়ই প্রশ্ন ওঠে, দলের অন্দরে থেকেই কে বিজেপি প্রার্থী কার্তিক শর্মাকে ভোট দিয়েছেন?
চণ্ডীগঢ়: রাজ্যসভা নির্বাচনের আগে দলের কৌশলগত বৈঠকে যোগ দেননি। জানিয়েছিলেন, নিজের বিবেকের ডাক শুনেই তিনি ভোট দিলেন। করলেনও তাই, আর সেই কারণেই ১ শতাংশেরও কম ব্যবধানে হেরে গেলেন হরিয়ানায় কংগ্রেসের রাজ্যসভার প্রার্থী অজয় মাকেন। কংগ্রেস বিধায়ক জেনেবুঝেই বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন, এ কথা জানতে পারার সঙ্গে সঙ্গেই দল থেকে বহিষ্কার করা হল হরিয়ানার বিধায়ক কূলদীপ বিষ্ণোইকে। এদিকে দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার খবর পেয়েই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা। তিনি বলেন, “দলে কেবল কিছু নেতার জন্যই নিয়ম থাকে। অন্যদিকে সব নিয়ম থেকে ছাড় থাকে কিছু নেতাদের।”
রাজ্যসভা নির্বাচনে আসন দখল নিয়ে আগে থেকেই সাবধানী ছিল কংগ্রেস। বিধায়ক কেনা-বেচা রুখতে রাজস্থানের নেতাদের স্থানান্তরিত করা হয়েছিল রিসর্টে। তার সুফলও মিলেছে। প্রত্যাশা মতোই রাজ্যসভার নির্বাচনে তিনটি আসনে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস, বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছে মাত্র একটি ভোট। কিন্তু বাকি রাজ্যে সেই ভরাডুবির ধারাই বজায় রয়েছে। নামমাত্র ভোটে হেরে গিয়েছেন হরিয়ানার কংগ্রেস প্রার্থী অজয় মাকেন। হারের হিসাব কষতে গিয়ে দেখা যায় মাত্র ০.৬৬ শতাংশ ভোটে হেরে গিয়েছেন পোড় খাওয়া কংগ্রেস নেতা। সেই সময়ই প্রশ্ন ওঠে, দলের অন্দরে থেকেই কে বিজেপি প্রার্থী কার্তিক শর্মাকে ভোট দিয়েছেন? জানা যায়, কাণ্ডটি ঘটিয়েছেন দলের বিধায়ক কূলদীপ বিষ্ণোই।
Congress also has rules for some leaders and exceptions for others. Rules are applied selectively. Indiscipline has been repeatedly ignored in the past. In my case, I listened to my soul & acted on my morals…2/2 pic.twitter.com/VwHy8NBWCE
— Kuldeep Bishnoi (@bishnoikuldeep) June 11, 2022
ফল প্রকাশের পরেরদিনই কংগ্রেসের তরফে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় এবং দলনেত্রী সনিয়া গান্ধী ওই বিধায়ককে দল থেকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেন। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়ে দেন, “কংগ্রেস সভাপতি কূলদীপ বিষ্ণোইকে কংগ্রেস ওয়ার্কি কমিটির বিশেষ আমন্ত্রিত অতিথি সহ দলের যাবতীয় পদ থেকে বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছেন। এই মুহূর্ত থেকেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হচ্ছে।”
এদিকে, দল থেকে বহিষ্কৃত হতেই টুইটারে ক্ষোভ উগরে দিতে শুরু করেন বিষ্ণোই। তিনি লেখেন, “কংগ্রেস কিছু নেতার জন্য নিয়ম বানিয়েছে আর বাছাই করা কিছু নেতার জন্য যাবতীয় নিয়মে ছাড় দেওয়া হয়েছে। এর আাগে বেনিয়ম ও দলবিরোধী আচরণ এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। আমার ক্ষেত্রে বলব, আমি নিজের অন্তরাত্মার কথা শুনেছি এবং নীতিবোধের উপর নির্ভর করেই ভোট দিয়েছি।”