J&K Landslide: আরও ক্ষীণ হল বাঁচার আশা, উদ্ধারকাজের মাঝে এবার ধস নামল পাহাড়ে

J&K Landslide: রামবান থেকে রামসুর মাঝামাঝির ওই জাতীয় সড়কে উদ্ধারকাজ চলাকালীনই আচমকা ঝড় শুরু হয়। কিছুক্ষণের মধ্য়েই পাহাড়ের একটি বড় অংশ ধসে যায়।

J&K Landslide: আরও ক্ষীণ হল বাঁচার আশা, উদ্ধারকাজের মাঝে এবার ধস নামল পাহাড়ে
কাশ্মীরে আরও তিন শ্রমিকের দেহ উদ্ধার। ছবি:ANI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 21, 2022 | 10:12 AM

শ্রীনগর: উদ্ধারকাজ চলছিল, তার মাঝে ফের বিপত্তি। এবার ধসে গেল পাহাড়ের একটি গোটা অংশ। বৃহস্পতিবার রাতে জম্মু-কাশ্মীরের (Kashmir) রামবান জেলায় একটি নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গে (Tunnel) ধস নামে। সুড়ঙ্গের ভিতরে আটকে পড়েন কমপক্ষে ৯ জন। এরমধ্যে ৫ জন বাঙালি শ্রমিক রয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে। শুক্রবার ওই সুড়ঙ্গে যখন উদ্ধারকাজ চলছিল, সেই সময়ই কাছেই মাকেরকোটে এলাকায় পাহাড়ের একটি অংশ ধসে যায়। এর জেরে জম্মু-কাশ্মীর জাতীয় সড়কের একাংশ বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। পাহাড় ধসে পড়ায় গোটা এলাকাতেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে রামবানের খুনি নাল্লার কাছে যে নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গের একাংশ ধসে যায়, তার জেরে ভিতরেই আটকে পড়েন সরলা কোম্পানির কমপক্ষে ১১-১২ জন শ্রমিক। রাত থেকেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়। শেষ অবধি তিনজনকে উদ্ধারের খবর মিলেছিল, এখনও ভিতরে আটকে কমপক্ষে ৯ জন। সকালেও জেসিবি মেশিন দিয়ে পাথর ভাঙা ও সরানোর কাজ চলে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, সুড়ঙ্গের ভিতরে যাঁরা আটকে পড়েছিলেন, তাঁদের মধ্য়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে ওই ব্যক্তির সুড়ঙ্গের ভিতরেই দম বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে নাকি হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। ভিতরে যে সমস্ত শ্রমিকেরা আটকে রয়েছেন, তাঁদের বাঁচার সম্ভাবনাও ক্ষীণ বলেই জানানো হয়েছে।

এদিকে, রামবান থেকে রামসুর মাঝামাঝির ওই জাতীয় সড়কে উদ্ধারকাজ চলাকালীনই আচমকা ঝড় শুরু হয়। কিছুক্ষণের মধ্য়েই পাহাড়ের একটি বড় অংশ ধসে যায়। রামবানের ডেপুটি কমিশনার মাসারাতুল ইসলাম বলেন, “এইরকম কিছু হবে, তা আমরা ভাবতেও পারিনি। কাজ চলাকালীনই দুটি মেশিন আটকে যায়। অন্যদিকে ঝড়ের কারণে উদ্ধারকাজও ব্যাহত হয়েছে। প্রায় ১৬-১৭ ঘণ্টা নষ্ট হয়ে গিয়েছে এই কারণে। নতুন করে আমাদের উদ্ধারকাজের পরিকল্পনা করতে হচ্ছে।”

উদ্ধারকাজের তদারকির জন্য় উপস্থিত এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছিল। রাতভর পুরদমে কাজ চালিয়ে আটকে পড়া শ্রমিকদের প্রায় কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়া গিয়েছিল। তারমাঝেই ঘটে বিপত্তি। পাশেই পাহাড়ে ধস নামায় বন্ধ করে দিতে হয় পাথর কাটার কাজ।

সুড়ঙ্গটি তিন-চার মিটার দীর্ঘ বলে দাবি করা হলেও শ্রমিকেরা ঠিক কোথায় আটকে রয়েছেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। সুড়ঙ্গের মুখে বড় বড় পাথর পড়ে থাকায়, উদ্ধারকাজে আরও সময় লাগতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।