বস্তারে মাওবাদী দমনে পাঁচটি উপায় বাতলে অমিত শাহকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী
TV9 বাংলা ডিজিটাল: যখন তখন বোমার শব্দ, হাড় কাঁপানো গুলির আওয়াজ, ভারি বুটের টহল আর যে কোনও সময় আপনজনের আর্তনাদ। চেনা পরিবেশ ছত্তীসগঢ়ের বস্তারে এ চেনা ছবি। সরকার, প্রশাসন, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী তৎপর- কিন্তু আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। কিছুদিন আগেই সংগঠন বিরোধের জেরে ছত্তীসগঢ়ের বস্তারে এক মাওবাদী সিনিয়র কম্যান্ডার নিহত হন। নিজের […]
TV9 বাংলা ডিজিটাল: যখন তখন বোমার শব্দ, হাড় কাঁপানো গুলির আওয়াজ, ভারি বুটের টহল আর যে কোনও সময় আপনজনের আর্তনাদ। চেনা পরিবেশ ছত্তীসগঢ়ের বস্তারে এ চেনা ছবি। সরকার, প্রশাসন, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী তৎপর- কিন্তু আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। কিছুদিন আগেই সংগঠন বিরোধের জেরে ছত্তীসগঢ়ের বস্তারে এক মাওবাদী সিনিয়র কম্যান্ডার নিহত হন। নিজের দলেরই লোকেদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যান তিনি। পরিস্থিতি তারপর থেকে আরও জটিল। বস্তারে (Bastar) মাওবাদী সমস্যা (Maoism) মেটাতে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের দাবি চেয়ে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বঘেল (Bhupesh Baghel)।
চলতি মাসের ১২ তারিখেই অমিত শাহকে (Amit Shah) একটি চিঠি লেখেন ছত্তীসগঢের মুখ্যমন্ত্রী। মাওবাদী সমস্যা মেটাতে পাঁচটি উপায়ের কথাও উল্লেখ করেন। এ বিষয়ে কেন্দ্রের পরামর্শ চান তিনি। যার মূল বিষয়বস্তু অর্থনৈতিকভাবে বস্তারকে স্বাবলম্বী করা।
কর্মসংস্থান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীর আর্জি, বস্তারে মাওবাদী উপদ্রুত এলাকাগুলিতে যাতে আরও বেশি করে কর্মসংস্থান করা সম্ভব হয়। বস্তারের যুবকরা যদি স্টিল প্ল্যানেট কিংবা লৌহখনিতে কাজের সুযোগ পায়, তাহলে তাঁরা সমাজের মূল স্রোত থেকে ছিটকে যাবেন না।
শিল্পস্থাপন বস্তার লৌহ আকরিক সমৃদ্ধ এলাকা। এখানকার কাঁচামাল যদি বাইরের থেকে ৩০ শতাংশ কমে বিক্রি করা হয়, তাহলে অনেক শিল্পকর্তাই বস্তারের প্রতি আগ্রহী হবেন। শিল্পস্থাপনে উদ্যোগী হবেন। অনেক বেকার যুবক-যুবতী কাজ পাবেন।
বনজ সম্পদ কাজে লাগিয়ে অর্থ উপার্জন চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, বস্তারের মানুষ যাতে বনজ সম্পদ ব্যবহার করে, তা দিয়ে সামগ্রী তৈরি করে খোলা বাজারে বিক্রি করতে পারেন, তাহলে তাঁদের আয় হবে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রের অনুমোদন প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়াও বস্তারের দুর্গম এলাকাগুলিতে যাতে সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে অন্ধকার ঘোচানো সম্ভব হয়, সে ব্যাপারেও আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
বোধঘাট সেচ প্রকল্প
বোধঘাট সেচ প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রীয় অনুদানের আবেদন জানান ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী। সাত জেলার জেলাশাসককে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। লক্ষ্য কেবল কর্মসংস্থান।
মাওবাদী উপদ্রুত এলাকায় অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী চেয়ে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরেই অমিত শাহকে চিঠি লিখেছিলেন ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী। এ বারের তাঁর চিঠি নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন বিরোধীরা। বিজেপি সাংসদ ধর্মলাল কৌশিক বলেন, “মাওবাদী দমন নিয়ে সরকারের কোনও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনাই নেই। রাজ্য সরকারের লক্ষ্য কীভাবে কেন্দ্রের থেকে অর্থ নেওয়া যায়। তবে তা ব্যবহার করে কীভাবে মাওবাদী উপদ্রুত এলাকার উন্নয়ন এবং মাওবাদীদের মূল স্রোতে ফেরানো যায়, সে ব্যাপারে কোনও পরিকল্পনা নেই। “