Omicron Panic: ওমিক্রন নিয়ে আতঙ্কের মাঝেই, মিলছে না বিদেশ থেকে ফেরা ১০০ যাত্রীর খোঁজ
Maharashtra: টিকা নেওয়া হয়ে গেলে ওমিক্রনের ভয় কতটা থাকবে সেই উত্তরও এখনও গবেষণা স্বাপেক্ষ। তবে এরই মধ্যে ভারতে একধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা।
থানে: ওমিক্রন আতঙ্ক ক্রমেই দানা বাঁধছে দেশে। কর্ণাটক, গুজরাট, দিল্লি, মুম্বই সহ একাধিক রাজ্যে ইতিমধ্যেই করোনার এই ভয়ঙ্কর ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়ার খোঁজ মিলেছে। ইতিমধ্যেই সেই সংখ্যাটা বেড়ে ২৩ হয়েছে। ডেল্টার মতোই থাবা বসাবে নাকি তেমন কোনও প্রভাব ফেলবে না ওমিক্রন নিয়ে সামনে আসছে একের পর এক প্রশ্ন। ওমিক্রন নিয়ে একরাশ চিন্তার মাঝেই আরও উদ্বেগ বাড়াল মহারাষ্ট্রের ঘটনা। কল্যাণ দম্বিভালি পুরসভার প্রধান বিজয় সূর্যবংশী জানিয়েছেন, থানে জেলায় বিদেশ থেকে আগত ২৯৫ জনের মধ্যে ১০৯ জনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি জানিয়েছেন, এদের অনেকেরই মোবাইল ফোন বন্ধ অথবা তাদের দেওয়া ঠিকানাতে তাদের কোনও খোঁজ মেলেনি।
সূর্যবংশী জানিয়েছেন, ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে আগতদের ৭ দিনের নিভৃতাবাসে থাকা বাধ্যতামূলক এবং অষ্টম দিনে তাদের করোনা পরীক্ষা হওয়ার কথা। এমনই নির্দেশিকা দিয়েছে পুরসভা। তিনি বলেন, “করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ হলেও তাদের ৭ দিন নিভৃতাবাসে থাকতেই হবে। তাদের হাউজিং সোসাইটির অপর সদস্যদের দায়িত্ব তারা সঠিক নিয়ম মেনে চলছেন কিনা তা নিশ্চিত করা। অষ্টম দিনের করা করোনা রিপোর্টের পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব। বিয়ের অনুষ্ঠান ও অন্যান্য জমায়তের ওপর নজর রাখা হচ্ছে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, ওই পুরসভার ৭২ শতাংশ নাগরিক করোনা টিকা নিয়েছেন। এর মধ্যে ৫২ শতাংশের টিকার দুটি ডোজ়ই নেওয়া হয়ে গিয়েছে।
টিকা নেওয়া হয়ে গেলে ওমিক্রনের ভয় কতটা থাকবে সেই উত্তরও এখনও গবেষণা স্বাপেক্ষ। তবে এরই মধ্যে ভারতে একধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা। নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সাবধান করার পরই সতর্ক হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ওমিক্রন নিয়ন্ত্রণে রাখতে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, আমেরিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে অপেক্ষাকৃত অধিক সংক্রামক এই ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। অন্তত এক তৃতীয়াংশ জুড়ে করোনা আক্রান্তদের নমুনায় মিলেছে এই ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ।
উল্লেখ্য, বি.১.১.৫২৯ বা ওমিক্রনকে ‘কনসার্ন অব ভ্যারিয়েন্ট’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। তার কারণ, অতিরিক্ত মাত্রায় ওমিক্রনের মিউটেশন ডেল্টার থেকেও ভয়ঙ্কর হবে বলে আশঙ্কা হু-র বিজ্ঞানীদের। আফ্রিকায় ওমিক্রমনের সংক্রমণ যা ধরা পড়েছে, তা অত্যন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে বলে দাবি তাদের। গোটা বিশ্বে ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে। পাশাপাশি, আর একটি বিষয় উল্লেখযোগ্য, করোনার সাধারণ উপসর্গ থেকে আলাদা ওমিক্রনের উপসর্গ। এর ফলে ওমিক্রনের গতিবিধি সম্পর্কেও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে। ওমিক্রনের মৃত্যুর হার এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে ওমক্রিনের সংক্রমণের তীব্রতা অনেক বেশি তার প্রমাণ মিলেছে।
আরও পড়ুন TMC-MGP Ally: সাগরতীরে শক্ত হচ্ছে ঘাসফুলের শিকড়, গোয়ায় এমজিপির সঙ্গে প্রাক-নির্বাচনী জোট তৃণমূলের