China-Bhutan MoU: ভুটানকে ‘নতুন বন্ধু’ বানাচ্ছে বেজিং, সাবধানী নজর ভারতের

Foreign Ministry: উপমহাদেশীয় এলাকায় নিজেদের নতুন বন্ধু বানাচ্ছে চিন। এবার কি সেই তালিকায় ভূটানও ঢুকে গেল?

China-Bhutan MoU: ভুটানকে 'নতুন বন্ধু' বানাচ্ছে বেজিং, সাবধানী নজর ভারতের
ভারত - চিন সীমান্তে জওয়ানদের টহল। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 15, 2021 | 9:03 AM

নয়া দিল্লি: ভূটানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। অর্থনৈতিক দিক থেকেও, বিশেষ করে বাণিজ্যিক দিক থেকে অনেকটা ভারতের উপর নির্ভর করে রয়েছে ভূটান। কিন্তু এখন ভারতের এই প্রতিবেশী দেশটির দিকে নজর দিয়েছে চিন। উপমহাদেশীয় এলাকায় নিজেদের নতুন বন্ধু বানাচ্ছে চিন। এবার কি সেই তালিকায় ভূটানও ঢুকে গেল? এই চিন্তা কিছুটা হলেও কপালে ভাঁজ ফেলছে বিদেশ মন্ত্রকের। কারণ, গতকালই ভূটানের সঙ্গে একটি মৌ চুক্তি সাক্ষর করে নিয়েছে চিন। মূলত দুই দেশের সীমান্ত সংক্রান্ত যে সমস্যা রয়েছে, তা নিয়ে একটি সমাধানের জন্যই এই চুক্তি।

তবে ভূটানের সঙ্গে চিনের এই মৌ চুক্তি শেষ পর্যন্ত তাদের বন্ধুত্ব পর্যন্ত গড়াবে কিনা, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকও ভূটান – চিন সম্পর্কের উপর নজর রাখছে। কিন্তু এখনই কোনও মন্তব্য করতে চাইছেন না বিদেশ মন্ত্রকের আধিকারিকরা। বিদেশ মন্ত্রকে মুখপাত্র দুই দেশের মৌ চুক্তি সম্পর্ক বলেন, “বৃহস্পতিবার যে ভূটান ও চিনের মধ্যে একটি মৌ চুক্তি সাক্ষর হয়েছে, তার উপর আমাদের নজর রয়েছে। আপনারা জানেন যে ভুটান এবং চিনের মধ্যে এই সীমান্ত নিয়ে আলোচনা ১৯৮৪ সাল থেকে হয়ে আসছে। ভারতও একইভাবে চিনের সঙ্গে সীমান্ত ইস্যুতে আলোচনা করছে।

এদিকে চিনের সঙ্গে ভারতেরও সীমান্ত সংক্রান্ত একাধিক ইস্যু রয়েছে। আর এশিয়ার অন্যতম শক্তিধর দেশ ভারত। সেদিক থেকে দেখতে গেলে চিনের সঙ্গে এই মৌ চুক্তি সাক্ষর করার ক্ষেত্রে ভূটান ভারতের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছিল কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয় আজকের সাংবাদিক বৈঠকে। কিন্তু অরিন্দম বাগচি এই সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও উত্তর দিতে চাননি।

ভুটানের বিদেশ মন্ত্রী তান্ডি দর্জি এবং চিনের সহকারী বিদেশ মন্ত্রী ইউ জিয়াংহাও বৃহস্পতিবার এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এই মৌ চুক্তি স্বাক্ষর করেন। উল্লেখযোগ্যভাবে ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতে চিনের রাষ্ট্রদূত সান ওয়েডং এবং ভারতে ভুটানের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল ভেটসপ নামগিয়েল।

উল্লেখ্য, গত বছরের মে মাস থেকে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা ঘিরে দুই দেশের মধ্যে যে সংঘর্ষ বাধে, তারপর থেকেই অশান্তির পরিবেশ লাদাখ জুড়ে। বিগত এক বছরেরও বেশি সময়ে একাধিকবার সেনা ও কূটনৈতিক স্তরে বৈঠকে বসলেও সম্পূর্ণরূপে সমাধান সূত্র মেলেনি।

সূত্রের খবর, প্য়াংগং, গালওয়ান ও গোগরায় যে বাফার জ়োন তৈরি করা হয়েছে, ভারতের মতে সেই বাফার জ়োন দিয়ে সীমান্ত সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান হতে পারে না। উল্টোদিকে চিনের দাবি, হট স্প্রিং এলাকাতেও একইরকমভাবে বাফার জ়োন তৈরি করা হোক। বলে রাখা ভাল, ৩ থেকে ১০ কিমি দীর্ঘ এই বাফার জ়োনগুলি তৈরির অর্থ হল ভারত এই অংশগুলিতে টহল দিতে পারবে না আগের মতো।

আরও পড়ুন : India-China Talk: ‘অবাস্তব ও অযৌক্তিক প্রস্তাব’, ভারতের ঘাড়েই বৈঠকের ব্যর্থতার দায় চাপাতে মরিয়া লাল ফৌজ