IAF Fighter Jet: দেশেই তৈরি হবে ফাইটার জেট, প্রস্তুত বায়ুসেনা! রুশ সুখোই বা ফরাসী রাফালের দিন কি শেষ?

IAF Fighter Jet: শীঘ্রই ১১৪টি যুদ্ধবিমান কিনতে চলেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এর মধ্যে ৯৬টি যুদ্ধবিমান তৈরি করা হবে ভারতের মাটিতেই।

IAF Fighter Jet: দেশেই তৈরি হবে ফাইটার জেট, প্রস্তুত বায়ুসেনা! রুশ সুখোই বা ফরাসী রাফালের দিন কি শেষ?
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 12, 2022 | 8:46 PM

নয়া দিল্লি: আর রাশিয়া থেকে সুখোই বা ফ্রান্স থেকে রাফাল আমদানী নয়, এবার ভারতেই তৈরি হবে যুদ্ধবিমান। রবিবার (১২ জুন) সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, শীঘ্রই ১১৪টি যুদ্ধবিমান কিনবে ভারতীয় বায়ুসেনা। এর মধ্যে ৯৬টি যুদ্ধবিমান তৈরি করা হবে ভারতের মাটিতেই। বাকি ১৮টি যুদ্ধবিমান বিদেশী বিক্রেতাদের কাছ থেকেই আমদানি করা হবে। কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে, অর্থনীতির হাল ফেরাতে ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গঠনের ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই আহ্বান মেনেই ভারতীয় বায়ুসেনা ‘বাই গ্লোবাল অ্যান্ড মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পের অধীনে, ১১৪টি মাল্টিরোল ফাইটার এয়ারক্রাফ্ট বা এমআরএফএ অধিগ্রহণের পরিকল্পনা করেছে। এই প্রকল্পের অধীনে ভারতীয় সংস্থাগুলিকে, বিদেশী বিক্রেতাদের সঙ্গে অংশীদারিত্বে এই যুদ্ধবিমানগুলি তৈরির অনুমতি দেওয়া হবে।

এএনআই-এর প্রতিবেদনে এক সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, সম্প্রতি এই বিষয়ে বিদেশী বিক্রেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। বিদেশী সংস্থাগুলি কীভাবে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পের অধীনে এই যুদ্ধবিমানগুলি তৈরি করবে, সেই বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হয়। সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে ১৮ টি যুদ্ধবিমান বাইরে থেকে আমদানি করা হবে। পরের ৩৬ টি বিমান তৈরি করা হবে দেশেই। এই বিমানগুলি তৈরির খরচ আংশিকভাবে মেটানো হবে বৈদেশিক মুদ্রায়, আংশিকভাবে ভারতীয় মুদ্রায়।

শেষ ৬০টি যুদ্ধবিমান তৈরিই হবে ভারতীয় অংশীদারের প্রধান দায়িত্ব। এই যুদ্ধবিমানগুলির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ভারতীয় মুদ্রাতেই অর্থপ্রদান করা হবে। ফলে, প্রকল্পের ৬০ শতাংশের বেশি ‘মেক-ইন-ইন্ডিয়া’র অংশ হবে। বোয়িং, লকহিড মার্টিন, সাব, মিগ, ইরকুট কর্পোরেশন, ডাসল্ট এভিয়েশন-সহ বিশ্বের প্রথম সারির বিমান নির্মাতারা এই প্রকল্পের বরাত পেতে টেন্ডারে অংশ নেবে বলে আশা করছে বায়ুসেনা।

প্রসঙ্গত, যুদ্ধবিমানের ক্ষেত্রে এতদিন পর্যন্ত পাকিস্তান এবং চিনের থেকে অনেকটাই এগিয়ে ছিল ভারত। তবে, এই ১১৪টি যুদ্ধবিমান হাতে না পেলে দুই প্রতিবেশী প্রতিদ্বন্দ্বীর থেকে অনেকটাই পিছিয়ে পড়বে আমাদের দেশ। বস্তুত, দীর্ঘদিন ধরেই যুদ্ধবিমান ক্রয়ের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সরব বায়ুসেনা। প্রাথমিকভাবে, ৩৬টি রাফাল বিমান কিনে অবস্থা সামাল দেওয়া হয়েছিল। ২০২০ সালে লাদাখ সীমান্ত সঙ্কটের সময়, চিন সেনার মোকাবিলায় এই রাফাল বিমানগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিল।

সেই সংখ্যা অবশ্য পর্যাপ্ত ছিল না। ইতিমধ্যেই বায়ুসেনা ৮৩টি এলসিএ এসকে ১এ যুদ্ধবিমানের বরাত দিয়েছে। তবে, তাতেও বায়ুসেনার যুদ্ধবিমানের প্রয়োজনীয়তা পুরোপুরি পূরণ হবে না। কারণ, দীর্ঘদিনের নির্ভরযোগ্য মিগ সিরিজের বিমানগুলি এখন অধিকাংশই হয় বসে গিয়েছে, নয়তো দু-এক বছরের মধ্যেই সেগুলিকে বসিয়ে দিতে হবে। তাই, দেশের নিরাপত্তার প্রেক্ষিতে এই ১১৪টি যুদ্ধবিমান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।