Jammu and Kashmir: জঙ্গিদের হাতে একে-৪৭, জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’দের ধরলেন জম্মুর গ্রামবাসীরা!

Jammu and Kashmir: জম্মুর রিয়াসি জেলায় গ্রামবাসীদের হাতেই ধরা পড়ে গেল লস্কর-ই-তৈবার দুই জঙ্গি। গ্রামবাসীদের সাহসিকতার ভূয়সী প্রশংসা করেছে ভারতীয় সেনা।

Jammu and Kashmir: জঙ্গিদের হাতে একে-৪৭, জীবনের ঝুঁকি নিয়েই 'মোস্ট ওয়ান্টেড'দের ধরলেন জম্মুর গ্রামবাসীরা!
নিরাপত্তা বাহিনীকে লাগল না, গ্রামবাসীরা নিজেরাই ধরে ফেললেন জঙ্গিদের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 03, 2022 | 8:23 PM

শ্রীনগর: দুই কুখ্যাত লস্কর-ই-তৈবা সন্ত্রাসবাদী। নিরাপত্তা বাহিনীর খাতায় দুজনেরই নাম ছিল ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ সন্ত্রাসবাদীদের তালিকায়। তাদের হাতে ছিল একে-৪৭ রাইফেল, গ্রেনেডের মতো ভারী অস্ত্র ও গোলাবারুদ। তা সত্ত্বেও রবিবার (৩ জুলাই), একেবারে খালি হাতে ওই দুই জঙ্গিকে ধরে ফেললেন জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসি জেলার তুকসান ধোকের গ্রামবাসীরা। তারপর, ওই দুই জঙ্গিকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। একাধিক টুইট করে স্থানীয় গ্রামবাসীদের এই অসীম সাহসের ভূয়সী প্রশংসা করেছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। জম্মুর এডিজিপি টুইটে লিখেছেন, ‘সাহসের জন্য রিয়াসি জেলার তুকসানের গ্রামবাসীদের অভিনন্দন জানাই। এলইটি-র দুই জঙ্গিকে গ্রামবাসীরা অস্ত্রসহ আটক করেছে। ২টি একে৪৭ রাইফেল, ৭টি গ্রেনেড এবং একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। জম্মুর ডিজিপি গ্রামবাসীদের জন্য ২ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন।’

পুলিশ জানিয়েছে, ওই দুই লস্কর সন্ত্রাসবাদীর নাম ফয়জল আহমেদ দার ওরফে বশির আহমেদ দার এবং তালিব হুসেন ওরফে হায়দার শাহ। প্রথমজন পুলওয়ামার এবং পরের জন রাজৌরির বাসিন্দা। জম্মুর ডিজিপি দিলবাগ সিং-এর পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীরের লেফট্যানেন্ট জেনারেল মনোজ সিনহাও ওই গ্রামবাসীদের সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন। তিনি গ্রামবাসীদের জন্য পৃথক পুরস্কারও ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘অসম সাহসিকতার জন্য আমি রিয়াসির তুকসান ধোক গ্রামের বাসিন্দাদের অভিনন্দন জানাই। তাঁরা দুই মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসবাদীকে ধরেছেন। সাধারণ মানুষের এই ধরনের সংকল্প নিলে সন্ত্রাসবাদীদের জারিজুরি খতম হতে বেশি সময় লাগবে না। সন্ত্রাসবাদী এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এই বীরত্বপূর্ণ কাজের জন্য কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকার গ্রামবাসীদের ৫ লক্ষ টাকা নদগ পুরস্কার দেবে।’

অতি সম্প্রতি রাজৌরি জেলার এক এলাকায় লস্কর-ই-তৈবার একটি ঘাঁটির সন্ধান পেয়েছিল উপত্যকার পুলিশ। দুই সন্ত্রাসবাদীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। প্রচুর পরিমাণে আইইডি-র সন্ধান মিলেছিল। ওই অভিযানের সময়, নিরাপত্তা বাহিনীর চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়েছিল তালিব হুসেন ওরফে হায়দার শাহ। পুলিশ তালিবকে পলাতক হিসেবে ঘোষণা করেছিল। তার খোঁজ পাওয়ার জন্য পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, তালিব হুসেনের সঙ্গে কাসিম নামে এক পাকিস্তানি লস্কর কমান্ডারের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। এছাড়া, উপত্যকায় বেশ কয়েকটি নাশকতার ঘটনাতেও তার নাম জড়িয়েছে। এক অসামরিক ব্যক্তিকে হত্যা, একটি গ্রেনেড বিস্ফোরণ এবং রাজৌরি জেলায় একটি আইইডি বিস্ফোরণের সঙ্গে তার সরাসরি যোগ রয়েছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত দুই জঙ্গিই জানিয়েছে, সালমান নামে এক পাকিস্তানী লস্কর হ্যান্ডলারের কথায় তারা নাশকতামূলক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।