JNU: ‘ব্রাহ্মণ ভারত ছাড়ো’, জাতি-বিদ্বেষ স্লোগানে উত্তপ্ত জেএনইউ, তদন্তের নির্দেশ উপাচার্যের

জেএনইউয়ে বিতর্কিত স্লোগান ওঠার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এবিভিপি-র প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবশ্যই বিতর্ক এবং আলোচনার জন্য ব্যবহার হওয়া উচিত, সমাজ এবং ছাত্র সম্প্রদায়কে বিষাক্ত করার জন্য নয়।"

JNU: 'ব্রাহ্মণ ভারত ছাড়ো', জাতি-বিদ্বেষ স্লোগানে উত্তপ্ত জেএনইউ, তদন্তের নির্দেশ উপাচার্যের
জেএনইউয়ের দেওয়ালে বিতর্কিত স্লোগান
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 02, 2022 | 3:44 PM

নয়া দিল্লি: ফের বিতর্কের কেন্দ্রে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (JNU)। এবার জাতি বৈষম্যে সরগরম হয়ে উঠল জেএনইউ চত্বর। বিশ্ববিদ্যালয় ভবনের দেওয়াল ব্রাহ্মণ ও বৈশ্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগানে ভরে উঠল। শুধু স্লোগান ওঠা নয়, ব্রাহ্মণ ও বৈশ্য সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলে স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ-২ ভবন ভাঙচুর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ।

ব্রাহ্মণ, বৈশ্য-বিরোধী স্লোগান লেখা জেএনইউ ভবনের দেওয়ালের ছবি বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। স্লোগানগুলির কোনটিতে লেখা রয়েছে, ‘ব্রাহ্মণরা বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে চলে যাও’, ‘ব্রাহ্মণ ভারত ছাড়ো।’ আবার কোনটিতে হুঁশিয়ারি দিয়ে লেখা রয়েছে, ‘এখানে রক্ত ঝরবে।’, ‘ব্রাহ্মণ-বৈশ্য, আমরা তোমাদের জন্য আসছি। আমরা গড়ে বেশি রয়েছি।’

যদিও কে বা কারা স্লোগানগুলি লিখেছে, তা স্পষ্ট নয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর ভাঙচুরের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP)। ABVP-র জেএনইউ প্রেসিডেন্ট রোহিত কুমার বলেন, “এবিভিপি এই হিংসা এবং হেনস্তাকে ধিক্কার জানাচ্ছে। কমিউনিস্ট গুণ্ডারা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ভাঙচুর চালিয়েছে। জেএনইউয়ের স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ-২ বিল্ডিংয়ের দেওয়ালে অশ্লীল কথা লিখেছে কমিউনিস্টরা। তারা স্বাধীন চিন্তাভাবনার অধ্যাপকদের চেম্বারগুলি বিকৃত করছে।” তিনি আরও বলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবশ্যই বিতর্ক এবং আলোচনার জন্য ব্যবহার হওয়া উচিত, সমাজ এবং ছাত্র সম্প্রদায়কে বিষাক্ত করার জন্য নয়।” যদিও জেএনইউ ছাত্র সংগঠনও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে।

জেএনইউ শিক্ষক সংগঠনেরও অভিযোগ, এই ধরনের ঘটনা বামপন্থীরা ঘটিয়েছে। তবে এই ঘটনা মেনে নেওয়া হবে না বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। ডিন-কে অবিলম্বে এই ঘটনার তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জেএনইউয়ের উপাচার্য শান্তিশ্রী ডি পণ্ডিত। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ভাঙচুর কোনভাবে বরদাস্ত করা হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে, এই ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বিনীত জিন্দাল দিল্লি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইপিসি ধারা 153A/B, 505, 506, 34 এর অধীনে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে বল দিল্লি পুলিশের দাবি। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, বৈশ্য ও ব্রাহ্মণ সমাজের বিরুদ্ধে হুমকি বেড়েছে।