Monkeypox vs Chickenpox: জ্বর, গায়ে ফুসকুড়ি বেরিয়েছে? মাঙ্কিপক্স হয়েছে নাকি চিকেনপক্স, বুঝবেন কীভাবে?

Monkeypox vs Chickenpox: চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মাঙ্কিপক্স হল একটি ভাইরাল জ়ুনোসিস, যা পশুর দেহ থেকে মানবদেহে সংক্রমিত হয়। এর উপসর্গ অনেকটাই স্মলপক্সের মতো।

Monkeypox vs Chickenpox: জ্বর, গায়ে ফুসকুড়ি বেরিয়েছে? মাঙ্কিপক্স হয়েছে নাকি চিকেনপক্স, বুঝবেন কীভাবে?
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 01, 2022 | 12:49 PM

বেঙ্গালুরু: মাঙ্কিপক্স নিয়ে দেশে ধীরে ধীরে বাড়ছে আতঙ্ক। এখনও অবধি দেশে হাতে গোনা চারজনই নিশ্চিতভাবে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হলেও, শনিবার কেরলে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত বলে সন্দেহ এক যুবকের মৃত্যু হওয়ায় ভয় অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। নতুন সংক্রমণ নিয়ে হিমশিম খাওয়ার আগেই সামনে এল এক নতুন তথ্য। জ্বর বা গায়ে ফুসকুড়ি দেখা দিলেই তা যে মাঙ্কিপক্স হবে, এমন কোনও কথা নেই। অসুস্থ ব্যক্তি চিকেনপক্সেও আক্রান্ত হতে পারেন। কর্নাটকের একটি ঘটনায় সেই প্রমাণই মিলল। চলতি মাসের শুরুতেই ইথিওপিয়া থেকে বেঙ্গালুরু এসেছিলেন এক ব্যক্তি। তাঁর শরীরে মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। তবে রবিবার কর্নাটকের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়, অসুস্থ ওই ব্য়ক্তি মাঙ্কিপক্সে নয়, চিকেনপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন। দুই সংক্রমণেরই একই ধরনের উপসর্গ হওয়ায়, সাধারণভাবে বোঝা সম্ভব হচ্ছিল না।

রবিবারই কর্নাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে সুধাকর টুইট করে বলেন, “চলতি মাসের শুরুতে বেঙ্গালুরু এসেছিলেন মধ্য বয়সী ইথিওপিয়ার এক নাগরিক। তাঁর শরীরে মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ থাকায় পরীক্ষা করানো হয়। বর্তমানে তাঁর রিপোর্টে জানা গিয়েছে তিনি চিকেনপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন।”

তিনি আরও বলেন, “মাঙ্কিপক্স ছড়িয়ে পড়েছে এমন দেশ থেকে যারা বেঙ্গালুরু ও মেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে আসছেন। তাঁদের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। রিপোর্ট না আসা অবধি একান্তবাসেই রাখা হচ্ছে।”

মাঙ্কিপক্স ও চিকেনপক্সের মধ্যে পার্থক্য-

চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মাঙ্কিপক্স হল একটি ভাইরাল জ়ুনোসিস, যা পশুর দেহ থেকে মানবদেহে সংক্রমিত হয়। এর উপসর্গ অনেকটাই স্মলপক্সের মতো। জ্বর, মাথা ব্যাথা,মাংসপেশীতে ব্যাথা-টান ধরা, গায়ে লাল রঙের র‌্যাশ বা ফুসকুড়ি ওঠা- এগুলিই মাঙ্কিপক্সের সাধারণ উপসর্গ।

অন্যদিকে, চিকেনপক্স হল রিবনিক্লেইক অ্যাসিড ভাইরাস, যা মাঙ্কিপক্স বা স্মলপক্সের মতো এত ভয়াবহ নয়। তবে চিকেনপক্সেও গায়ে লাল লাল ফুসকুড়ি দেখা দেওয়ায়, এটিকে মাঙ্কিপক্স হিসাবে অনেকে ভাবতে পারেন। সাধারণত বর্ষার মরশুমে ভেজা ভাব, তাপমাত্রার ওঠা-নামা, আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়া, জল জমার কারণে চিকেনপক্স ছড়িয়ে পড়ে।

চিকেনপক্সের ক্ষেত্রে সাত থেকে আটদিনের মধ্যে আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হয়ে ওঠেন। কিন্তু মাঙ্কিপক্সের ক্ষেত্রে তা হয় না। চিকেনপক্সের কারণে গায়ে যে ফুসকুড়ি বের হয়, তাতে অত্যন্ত চুলকুনি হয়, যা মাঙ্কিপক্সে হয় না। উল্টোদিকে মাঙ্কিপক্সে জ্বর, গলা ব্য়াথার মতো উপসর্গগুলি দেখা যায়, যা প্রায় অধিকাংশ ভাইরাল সংক্রমণের ক্ষেত্রেই প্রধান উপসর্গ।