Donkey farm in Karnataka: ১৭ লক্ষ টাকায় বিক্রি হচ্ছে গাধার দুধ! চাকরি ছেড়ে ফার্ম খুললেন আইটি কর্মী

Donkey farm in Karnataka: তথ্যপ্রযুক্তির নিরাপদ চাকরি ছেড়ে গাধার দুধের ফার্ম খুললেন কর্নাটকের দক্ষিণা জেলায় এক ব্যক্তি। শুরু থেকেই লক্ষ লক্ষ টাকার বরাত পেতে শুরু করেছেন তিনি।

Donkey farm in Karnataka: ১৭ লক্ষ টাকায় বিক্রি হচ্ছে গাধার দুধ! চাকরি ছেড়ে ফার্ম খুললেন আইটি কর্মী
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 13, 2022 | 6:10 PM

বেঙ্গালুরু: গাধার আবার ফার্ম! গরু-মোষের ফার্ম হয়, হাস-মুরগীরও ফার্ম হয়। বিক্রি হয় দুধ, ডিম। কিন্তু, গাধা পুষে লাভ কি? তার দুধ কি আর বিক্রি হবে? সকলেরই ভাবনা ছিল এরকম। তাই যখন গাধার ফার্ম খুলবেন বলে জানিয়েছিলেন বছর ৪২-এর শ্রীনিবাস গৌড়া, তখন অনেকেই হেসে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। তবে, নিজের লক্ষ্যে স্থির ছিলেন শ্রীনিবাস, পরিষ্কার ছিল তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি। এর জন্য তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের নিরাপদ চাকরিও ছেড়ে দিয়েছিলেন। গত ৮ জুন তাঁর সেই গাধার ফার্ম তৈরির স্বপ্ন বাস্তব হয়েছে। আর শুরু থেকেই লক্ষ লক্ষ টাকার বরাত পেতে শুরু করেছেন তিনি।

শ্রীনিবাস গৌড়ার বাড়ি কর্নাটকের দক্ষিণা জেলায়। স্নাতক ডিগ্রিধারী শ্রীনিবাস কাজ করতেন তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে। গত ৯ জুন তিনি তাঁর স্বপ্নের গাধার ফার্ম খুলেছেন। বলাই বাহুল্য এটিই কর্নাটকের প্রথম গাধার ফার্ম। তবে, দেশের প্রথম নয়। এর আগে কেরলের এর্নাকুলামে এরকম একটি ফার্ম খোলা হয়েছিল। কিন্তু, শ্রীনিবাস গৌড়ার মাথায় কীকরে এল গাধার ফার্ম তৈরির পরিকল্পনা? শ্রীনিবাস জানিয়েছেন, আগে ধোবারা গাধা পুষতেন। বর্তমানে লন্ড্রি মেশিন এবং অন্যান্য প্রযুক্তি চলে আসায়, তারাও আর গাধা পোষে না। তাই, গাধার ক্রমশ গুরুত্ব হারাচ্ছে। তাদের এই দুর্দশা দেখেই তিনি এই ফার্ম খোলার বিষয়ে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন।

তবে, শুরুতে তাঁর ফার্ম অবশ্য গাধা দিয়ে শুরু হয়নি। ২০২০ সালে সফ্টওয়্যার সংস্থার চাকরি ছেড়ে দিয়ে দক্ষিণা জেলার ইরা গ্রামে ২.৩ একর জমি কিনেছিলেন। সেখানে একটি সমন্বিত কৃষি ও পশুপালন, পশুচিকিত্সা পরিষেবা, প্রশিক্ষণ এবং পশুখাদ্য উন্নয়ন কেন্দ্র শুরু করেছিলেন। সঙ্গে পুষতেন ছাগল, কড়কনাথ মুরগি এবং খরগোশ। এরপর ২০টি গাধা দিয়ে শুরু করেছেন গাধার ফার্ম।

কিন্তু কী হবে গাধা পুষে? শ্রীনিবাস জানিয়েছেন, গাধার দুধ অত্যন্ত উপাদেয়। শুধু তাই নয়, গাধার দুধের দামও বেশ বেশি এবং এই দুধের চিকিৎসাগত গুণ রয়েছে। তাই, এই ব্যবসা করা অত্যন্ত লাভজনক। আর তার প্রমাণ, এই কয়েক দিনেই পেয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই ১৭ লক্ষ টাকারও বেশি মূল্যের দুধ বিক্রির বরাত পেয়েছেন তিনি। এই দুধ প্রসাধনী তৈরিতে ব্যবহার করা হবে। তবে এখানেই থেমে থাকতে চান না শ্রীনিবাস গৌড়া। গরুর দুদের মতোই, গাধার দুধও প্যাকেটে প্যাদুধকেটে করে বিক্রি করতে চান তিনি। এর জন্য পরিকল্পনাও করা হয়ে গিয়েছে তাঁর। ৩০ মিলিলিটারের দুধের প্যাকেটে দাম হবে ১৫০ টাকা।

প্রসঙ্গত, বিজ্ঞানীদের মতে, প্রোটিন উপাদানের জন্য গাধার দুধে অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল গুণাবলী রয়েছে। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ভাইরাসঘটিত হোক কী ব্যাকটেরিয়াঘটিত, মাইক্রোবায়াল গুণাবলীর জন্য গাধার দুধ পেটের রোগ সাড়াতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যাও বৃদ্ধি ঘটায়। বাজারে গাধার দুধ বিক্রি হয় লিটার প্রতি ২০০০ থেকে ৭০০০ টাকা পর্যন্ত। গাধার দুধ থেকে তৈরি বিউটি প্রোডাক্টগুলিও অত্যন্ত দামি হয়। গাধার দুধ থেকে সাবান, ঠোঁটে লাগানোর বাম, বডি লোশন – ইত্যাদির মতো প্রসাধনী পণ্য তৈরি হয়।