সীমান্ত পেরিয়ে এল দাবানল, পর পর ল্যান্ডলাইন বিস্ফোরণ! কেঁপে উঠল কাশ্মীরের পুঞ্চ

Kashmir forest fire: বুধবার বিকালে, দাবানল থেকে পরপর ৫ থেকে ৬টি ল্যান্ড মাইন বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলার নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন এলাকা।

সীমান্ত পেরিয়ে এল দাবানল, পর পর ল্যান্ডলাইন বিস্ফোরণ! কেঁপে উঠল কাশ্মীরের পুঞ্চ
গত সোমবারহ থেকেই লেগেছিল দাবানল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 18, 2022 | 8:21 PM

শ্রীনগর: বুধবার বিকালে, অন্তত ৫ থেকে ৬টি ল্যান্ড মাইন বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায় নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন এলাকা। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সীমান্তরেখা বরাবর ভারতীয় অংশের মেনধর জেলায় গত সোমবার থেকেই দাবানল লেগেছিল। তিনদিন ধরে বনকর্মী এবং ভারতীয় সেনার জওয়ানরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সেই দাবানলের আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ করেছিলেন। মঙ্গলবার রাতের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণেও এসেছিল। বুধবার ভোরে দারামশাল ব্লকে ফের আগুন লাগে। দোরালো হাওয়ায় অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছিল আগুন। তার জেরেই ওই ল্যান্ড মাইন বিস্ফোরণ ঘটে। সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সীমান্ত অঞ্চলে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতেই ওই ল্যান্ড মাইনগুলি ছড়িয়ে রাখা হয়েছিল।

বন দফতরের এক অফিসার জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের পর, আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আগুন ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয় সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতেও। সেনাবাহিনীর সহায়তায় পরে সেই আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়। অন্যদিকে, রাজৌরি জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা সুন্দরবান্দিতেও আরও একটি বড় অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। গম্ভীর, নিক্কা, পাঞ্জগ্রায়ে, ব্রাহামানা, মোঘলা-সহ বড় অংশের বনাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে সেই আগুন। কালাকোটের কালার, রনথাল, চিঙ্গি বনাঞ্চলেও আগুন লেগেছে। জম্মুর সীমান্তবর্তী এলাকা থেকেও আগুন লাগার খবর এসেছে।

বন দফতরের কর্মকর্তাদের দাবি, সীমান্তের ওই পার থেকে অর্থাৎ পাক অধিকৃত কাশ্মীরের দিক থেকেই নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে এই পারে চলে এসেছিল দাবানল। তবে, শেষ পর্যন্ত কোনও প্রাণহানি এবং বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে।

নভেম্বর থেকে জুন মাস পর্যন্ত ভারতে বিভিন্ন জঙ্গলেই দাবানল হতে দেখা যায়। অতিরিক্ত তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাতের অভাব, আর্দ্রতার অভাবের মতো বেশ কয়েকটি কারণে এই দাবানল ঘটে থাকে। ফরেস্ট সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার তথ্য অনুসারে, ভারতের প্রায় ৩৬ শতাংশ জঙ্গলে ঘন ঘন দাবানলের ঝুঁকি রয়েছে। শীতের শেষে এবং গ্রীষ্মের মৌসুমে বনাঞ্চলে যে শুকনো গাছপালা, ঘাস-এর মতো জৈব জ্বালানি বস্তু জমা হয়, তার জন্যই মার্চ, এপ্রিল এবং মে মাসে দাবাবনলের ঘটনা বেশি ঘটে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশিরভাগ দাবানলই মানুষের সৃষ্টি। কৃষি ব্যবস্থার পরিবর্তন এবং অনিয়ন্ত্রিতভাবে ভূমি-ব্যবহারের কারণেই, গত কয়েক বছরে ঘন ঘন দাবানল হচ্ছে ভারতে।