Norovirus: ফের মারণ ভাইরাসের হানা, কেরলে ২ শিশুর শরীরে মিলল নরোভাইরাসের খোঁজ

Norovirus: নরোভাইরাস মূলত গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টিনাল সমস্যা তৈরি করে। এই ভাইরাসে সংক্রমিত হলে অন্ত্রে প্রদাহ শুরু হয়। এর জেরে ঘনঘন বমি ও ডায়েরিয়ার মতো সমস্যা শুরু হয়।

Norovirus: ফের মারণ ভাইরাসের হানা, কেরলে ২ শিশুর শরীরে মিলল নরোভাইরাসের খোঁজ
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 06, 2022 | 11:16 AM

তিরুবনন্তপুরম: দেশে ফের মারণ ভাইরাসের হানা। কেরলেই প্রখম খোঁজ মিলেছিল করোনাভাইরাসে আক্রান্তে,  এবার ঢুকে পড়ল অতি সংক্রামক নরোভাইরাস(Norovirus)। রবিবার কেরল সরকারের তরফে জানানো হয়, দুই শিশুর শরীরে নরোভাইরাসের খোঁজ মিলেছে। তবে দুই শিশুই স্থিতিশীল রয়েছে। এই মারণ সংক্রমণের খোঁজ মেলার পরই রাজ্যজুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সংক্রমণ রুখতে যথাযথ পদক্ষেপও গ্রহণ করা হচ্ছে। কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ জানিয়েছেন, সকলে যেন যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে চলেন।

কেরলের স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, দুটি শিশুর দেহে অতি সংক্রামক নরোভাইরাসের খোঁজ মিলেছে। মনে করা হচ্ছে জল বা কোনও খাবার থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ বলেন, “দুটি শিশুর দেহে নরোভাইরাস সংক্রমণের খোঁজ মিলেছে। বর্তমানে ওই দুইজন স্থিতিশীল রয়েছে। এই মুহূর্তেই আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। তবে সকলের সতর্ক থাকা প্রয়োজন। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে চলুন। নরোভাইরাসের যেমন চিকিৎসা করা সম্ভব, তেমনই এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়াও আটকানো সম্ভব।”

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শনিবারই কেরলের আলাপুজ্জায় জেলার কায়ামকুলাম সরকারি প্রাথমিক স্কুলের আট পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রথমে মনে করা হয়েছিল খাবারে বিষক্রিয়া হয়েছে। পরে সরকারি ল্যাবরেটরিতে পড়ুয়াদের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। পরে জানা যায় যে, দুই পড়ুয়ার শরীরে নরোভাইরাসের খোঁজ মিলেছে। উল্লেখ্য, ২০২১ সালেও কেরলে নরোভাইরাসের খোঁজ মিলেছিল।

নরোভাইরাসের উপসর্গ-

নরোভাইরাস মূলত গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টিনাল সমস্যা তৈরি করে। এই ভাইরাসে সংক্রমিত হলে অন্ত্রে প্রদাহ শুরু হয়। এর জেরে ঘনঘন বমি ও ডায়েরিয়ার মতো সমস্যা শুরু হয়। সুস্থ মানুষদের উপরে এই ভাইরাস বিশেষ প্রভাব ফেলতে না পারলেও, শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে তা গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে। যাদের কো-মর্ডিবিটি রয়েছে, তারাও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন এই ভাইরাসে সংক্রমিত হলে। এই সংক্রমণের প্রাথমিক উপসর্গ হল ডায়েরিয়া, বমি, তলপেটে ব্যাথা, মাথা ঘোরা, জ্বর, মাথা ব্যাথা ও শরীরে ব্যাথা।

কীভাবে ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস?

সরকারি নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে,  এই ভাইরাস সহজেই ছড়িয়ে পড়ে। সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসলেই বা সংক্রমিত কোনও জায়গায় স্পর্শ করলেই এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। এছাড়া সংক্রমিত ব্যক্তি যদি খাবার বানান বা পরিবেশন করেন, তবে সেখান থেকেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। সংক্রমিত ব্যক্তির বমি বা মল থেকেও ভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে।

কীভাবে সংক্রমণ রোখা সম্ভব?

১. ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে।

২. নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে খাবার খাওয়ার আগে এবং শৌচালয় ব্যবহারের পর। যারা নিয়মিত পশুর সংস্পর্শে আসেন, তাঁদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

৩. জল পরিশুদ্ধ করার জন্য ক্লোরিনের ব্যবহার করতে হবে। কুয়ো ও জলের ট্যাঙ্কগুলিকেও নিয়মিত ব্লিচিং পাউডার দিয়ে পরিস্কার করা উচিত। এলাকায় সংক্রমণ ছড়ালে সাধারণ ব্যবহারের জন্য ক্লোরিনযুক্ত জলের ব্যবহার এবং পানীয় জলের ক্ষেত্রে ফোটানো জলই পান করা উচিত।

৪. ফল ও সবজিও ভালভাবে ধুয়ে তারপরই খাওয়া বা রান্না করা উচিত।

৫. সামুদ্রিক মাছ, কাঁকড়া, ঝিনুককে ভালভাবে রান্না করার পরই খাওয়া উচিত।