Self-Marriage : ‘নিজেকে ভালবাসো তুমি এবার…,’ নিজেকে বিয়ে করে নজির গড়তে চলেছেন গুজরাটের ক্ষমা

Self-Marriage : গুজরাটের শামা নিজেকেই বিয়ে করতে চলেছেন ১১ জুন। গুজরাটে সম্ভবত তিনিই প্রথম এই ধরনের বিয়ের নজির গড়তে চলেছেন।

Self-Marriage : 'নিজেকে ভালবাসো তুমি এবার...,' নিজেকে বিয়ে করে নজির গড়তে চলেছেন গুজরাটের ক্ষমা
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 02, 2022 | 6:21 PM

গান্ধীনগর : অপরকে ভালবাসার জন্য নিজেকে আগে ভালবাসতে হয়। মনোবিজ্ঞানীরা প্রায়শই একথা বলে থাকেন। সেইমতো সকলে নিজেদের ভালবাসা, নিজের খেয়াল রাখা, নিজেকে সময় দেওয়া শুরু করেন। কিন্তু নিজেকে ভালবাসার নজির সম্ভবত এর আগে দেখা যায়নি। বিবাহ বন্ধন প্রত্যেক যুবক-যুবতীর কাছে একটি বিশেষ মুহূর্ত। কারণ সেইদিন থেকে তাঁদের জীবনে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়। একে অপরকে সঙ্গে নিয়ে শুরু হয় পথ চলা। সেই সম্পর্ক এক যুবতী ও এক যুবকের, দুই যুবতী বা দুই যুবকের মধ্যে গড়ে উঠতেই পারে। ভালবাসায় কোনও স্ত্রী-পুরুষ হয় না। বিয়ে হবে কিন্তু অপরদিকে মাল্যদানের জন্য কেউ থাকবে না, মন্ত্র উচ্চারণও একাই করতে হবে- এই ঘটনা হয়ত বিরল। গুজরাটের ভদোদারাতে এরকম একটি ঘটনা হতে চলেছে।

২৪ বছর বয়সী ক্ষমা বিন্দু। গুজরাটের বাসিন্দা। একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। ১১ জুন তাঁর বিয়ে। তার জন্য প্রস্তুতিও শুরু। মণ্ডপ সজ্জা, অতিথিদের নিমন্ত্রণ- সবরকম ব্যবস্থাই করা হয়েছে। বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হলেও বিয়ের জন্য কোনও পাত্র বা পাত্রী ঠিক করা হয়নি। অবাক হচ্ছেন! কিন্তু এটাই সত্যি। এই যুবতী নিজেকেই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেই লক্ষ্যে আয়োজনও করা হয়েছে বিবাহ অনুষ্ঠানের। সাত পাকে ঘোরা হবে, মাল্যদান হবে, সিঁদুরদানও হবে। শুধু কোনও বরপক্ষ ও বর থাকবে না সেই অনুষ্ঠানে। এই সমস্ত আচার-অনুষ্ঠান নিজের সঙ্গে পালন করবেন ক্ষমা। সম্ভবত গুজরাতে এই ধরনের বিবাহ অনুষ্ঠান প্রথম। তাঁর পরিবার, বাবা-মা তাঁর এহেন পদক্ষেপে সম্মতি জানিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে বিয়ের পর গোয়াতে দুই সপ্তাহের হানিমুনেরও পরিকল্পনা করেছেন ক্ষমা।

তাঁর এ ধরনের বিবাহ অনুষ্ঠানে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, তিনি কোনওদিন বিয়ে করতে চাননি। তবে তিনি কনে হতে চেয়েছিলেন। তাই তিনি নিজেকেই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। ক্ষমা জানিয়েছেন, তিনিই হয়ত গুজরাটে প্রথম যিনি এই ধরনের বিবাহ অনুষ্ঠানের আয়োজন করছেন। এর পিছনে ব্যাখ্য়া দিয়ে ক্ষমা বলেছেন, ‘নিজেকে বিয়ে করার ক্ষেত্রে একটি প্রতিশ্রুতি হল নিজের জন্য সবসময় উপস্থিত থাকা। নিজের জন্য নিঃশর্ত ভালবাসা। নিজেকে মেনে নেওয়ার একটা পদক্ষেপও বলা যেতে পারে। মানুষ যাকে ভালবাসে তাকেই বিয়ে করে। আমি নিজেকে ভালবাসি তাই এই বিয়ে করছি।’ তবে সমাজের অনেকেই এই ধরনের বিবাহ অনুষ্ঠানকে স্বাভাবিক বলে মেনে নিতে পারেন না। অনেকেই অপ্রাসঙ্গিক ভাবতে পারেন এই ধরনের বিবাহ অনুষ্ঠানকে। এর পিছনে যুক্তি দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমি দেখাতে চাইছি মহিলাদেরও গুরুত্ব রয়েছে।’