Lucknow: পচা গন্ধে টেকা দায়, ভিতর থেকে আসছে মহিলা কন্ঠ – দরজা ভাঙতেই ভয়াবহ দৃশ্য…

Lucknow: লখনউ-এ ১০ দিন ধরে মায়ের মৃতদেহের সঙ্গেই ছিল মেয়ে। দরজা ভেঙে ঢুকে উদ্ধার করল পুলিশ।

Lucknow: পচা গন্ধে টেকা দায়, ভিতর থেকে আসছে মহিলা কন্ঠ - দরজা ভাঙতেই ভয়াবহ দৃশ্য…
প্রতীকী ছবি (ছবি সৌজন্যে : টুইটার)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 20, 2022 | 3:57 PM

লখনউ: এবার কলকাতার রবিনসন স্ট্রিটের ঘটনার ছায়া দেখা গেল উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, মায়ের পচাগলা মৃতদেহের সঙ্গে, অন্তত ১০ দিন ধরে বসবাস করছিলেন এক ২৬ বছরের যুবতী। তাদের দাবি, চলতি মাসের শুরুতেই কোনও এক সময় মৃত্যু হয়েছিল তাঁর মায়ের। কিন্তু, ওই যুবতী তাঁদের কোনও আত্মীয় বা পাড়া প্রতিবেশীকে তাঁর মায়ের মৃত্যুর খবর জানায়নি, কিংবা সৎকারের জন্য তাদের সাহায্যও চায়নি। তাদের বাড়ি থেকে কটু গন্ধ পেয়ে প্রতিবেশীরাই পুলিশে খবর দিয়েছিলেন। বাড়ির দরজা ভেঙে মৃতার পচে যাওয়া দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে লখনউয়ের ইন্দিরা নগর এলাকায়।

পুলিশ জানিয়েছে মৃতা মহিলার নাম সুনিতা দীক্ষিত। তিনি ‘হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকাল লিমিটেড’ বা ‘হ্যাল’-এর একজন অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। ১৯৯৯ সালে স্বামী রজনীশ দীক্ষিতের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর থেকে, তিনি মেয়ে অঙ্কিতা দীক্ষিতকে নিয়ে ইন্দিরা নগরের ওই বাড়িতেই থাকতেন। পাড়া প্রতিবেশীদের সঙ্গেও সম্পর্ক ভালই ছিল। সম্প্রতি বাড়িটি থেকে তীব্র কটু গন্ধ পাচ্ছিলেন প্রতিবেশীরা। এরপরই খবর গিয়েছিল পুলিশে।

লখনউ-এর অতিরিক্ত জেলা পুলিশ কমিশনার প্রাচী সিং জানিয়েছেন, পুলিশকে দরজা ভেঙে ওই বাড়ির ভিতরে ঢুকতে হয়েছিল। ভিতরে ঢোকার পরই, এক ঘর থেকে এক মহিলা কন্ঠ পাওয়া গিয়েছিল। পুলিশ তাঁকে দরজা খোলার জন্য বলেছিল, তবে ওই মহিলা দরজা খোলেনি। এরপর এক কাঠের মিস্ত্রিকে ডাকে পুলিশ। তার সহায়তায় দরজা খুলে পুলিশ অবাক হয়ে গিয়েছিল। অসংলগ্ন অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল এক মহিলাকে। তিনি কোনও কথাও বলতে পারছিলেন না। পরে, পুলিশ বুঝতে পারে ওই মহিলাই অঙ্কিতা।

এরপর, পাশের ঘরের দরজাও ভাঙে পুলিশ। সেখান থেকেই মেলে সুনিতা দীক্ষিতের বিকৃত-প্রায় দেহ। ঠিক কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশ সুনীতার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। সেই রিপোর্ট এলে অনেক রহস্যেরই সমাধান হবে।

তবে, অঙ্কিতার ঘটনাই পুলিশ থেকে পাড়া-প্রতিবেশী সকলকে অবাক করে দিয়েছে। সুনিতার দেহ পচে গিয়ে এতটাই তীব্র কটু গন্ধ ছড়িয়েছিল, যে আশপাশের বাসিন্দাদেরই থাকা অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। এমনকি, দেহ উদ্ধার করতে যাওয়া পুলিশ কর্মীরাও ওই গন্ধ সহ্য করতে পারছিলেন না। অঙ্কিতা কী করে ওই গন্ধ সহ্য করে এতদিন ধরে মায়ের মৃতদেহর সঙ্গে বসবাস করছিল, তা বুঝে পাচ্ছেন না তদন্তকারীরা। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, অঙ্কিতা মানসিকভাবে অসুস্থ। তাঁর, মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মনস্তত্ববিদদের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে।

২০১৫ সালে প্রায় একই ধরণের একটি ঘটনা শিহরণ জাগিয়েছিল কলকাতায়। ৩ নং রবিনসন স্ট্রিটে দীর্ঘ ৬ মাস ধরে বোনের মৃতদেহ এবং পোষ্যের মৃতদেহের সঙ্গে বাস করছিলেন পার্থ দে এবং তাঁর বাবা। বাবার মৃত্যুর পর, তাঁর দেহ উদ্ধার করতে গিয়েই কঙ্কাল হয়ে যাওয়া ওই দুই মৃতদেহ পেয়েছিল পুলিশ। পরে, পার্থ দে-র মানসিক চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত তিনি আত্মঘাতী হয়েছিলেন।