Most Expensive Mango: আড়াই লক্ষ টাকার আম ফলেছে বাগানে, পাহারা দিতে রাখতে হল ৪ নিরাপত্তা রক্ষী, ১২টি কুকুর
Miyazaki Mango: মিয়াজ়াকির আমকে বলা হয় 'বিশ্বের সব থেকে বেশি দামের আম'। এই আমের রং রুবি পাথরের মতো। মিয়াজ়াকি শহরে ফলন হয় এই আমের।
ভোপাল: বছর এক দেড় বছর আগে বাড়িতে আম গাছ পুঁতেছিলেন মধ্য প্রদেশের এক দম্পতি। সেই গাছে এখন ফল ধরেছে। আর সেই ফল রক্ষা করতে গ্যাঁটের কড়ি খরচ করে রাখতে হয়েছে নিরাপত্তা রক্ষী। সঙ্গে ১২টি কুকুর। দিনরাত আম গাছের তলায় ঘুরে বেড়ায় তারা। একটু এদিক ওদিক মনে হলেই তারস্বরে চেঁচাতে থাকে। তাতেই সতর্ক হয়ে যান চার নিরাপত্তা রক্ষীও। মধ্য প্রদেশের জবলপুরের দম্পতি সংকল্প পরিহার ও রানি পরিহারের সাধের বাগান। সে বাগানে ৫২ রকমের বেশি আমের গাছ রয়েছে। সংবাদসংস্থা এএনআইকে সে কথা নিজেই জানিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে যেমন চেনা আম রয়েছে, তেমনই রয়েছে দুর্লভ আমও। সহজে যেমন তা পাওয়া যায় না, পেলেও হাতে পেতে মোটা অঙ্ক খসাতে হয় পকেট থেকে।
সংকল্পের বাগানে রয়েছে জাপানের মিয়াজ়াকি আমও। যে আমের দাম বাজারে কিলো প্রতি আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকাও হয়। মিয়াজ়াকি আমকে বলা হয় ‘বিশ্বের সব থেকে বেশি দামের আম’। এই আমের রং রুবি পাথরের মতো। মিয়াজ়াকি শহরে ফলন হয় এই আমের। তার নামেই এই আমেরও নামকরণ হয়েছে। পরিহার দম্পতি জানান, বছরখানেক আগে চেন্নাইয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা। ট্রেনে এক ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ হয়। সেই ব্যক্তি বেশ কিছু আম গাছের চারা কিনেছিলেন। তিনিই সংকল্পকে মিয়াজ়াকির আম গাছের কয়েকটি চারা দেন।
मध्य प्रदेश: जबलपुर में आम की दुर्लभ प्रजाति की रक्षा के लिए किसान ने गार्ड और 12 कुत्तों को लगाया है। इस आम की कीमत अंतरराष्ट्रीय बाजार में करीब 2.5 लाख रुपए प्रति किलो है।
किसान संकल्प सिंह परिहार, “हमारे बगीचे में करीब 52 किस्म के आम हैं।” pic.twitter.com/1BmTqwP5g2
— ANI_HindiNews (@AHindinews) July 5, 2022
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে পরিহার জানিয়েছেন, তাঁকে ওই ব্যক্তি বলেছিলেন, চারাগুলিকে সন্তানস্নেহে যত্ন করতে। কিছু না জেনেই সংকল্প সেগুলি তাঁর বাগানে এনে বসান। অন্যান্য গাছের সঙ্গেই যত্নে বড় করেন। সেই চারা এখন মহীরূহ হয়েছে। ফলের বাহার দেখলে চোখ চকচক করে যে কারও। সংকল্পের মা দামিনীর নামে নাম রেখেছিলেন ওই আমের। বহু পরে তিনি জানতে পারেন এ আম আসলে মিয়াজ়াকি। এক একটি মিয়াজ়াকি আমের ওজন ৩৫০ গ্রামের কাছাকাছি। এই আমে বিটা-ক্যারোটিন ও প্রচুর ফলিক অ্যাসিড থাকে। দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে এই আমের জুড়ি নেই। এ ছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। ত্বকের জন্যও খুবই ভাল। এই আম নাকি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। এপ্রিল থেকে অগস্ট এই আমের ফলনের সময়।