MP Murder: স্বামীকে রোজ ‘কাজে যাও’ বলত মেয়েটি, তাঁকে এমন অবস্থায় দেখে স্তম্ভিত প্রতিবেশীরাও

MP Murder:শুক্রবার অভিযুক্ত বিভোরের মা ও ভাই একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। বাড়িতে ছিলেন বিভোর ও তাঁর স্ত্রী। প্রতিদিনের মতোই শুক্রবারও বিভোরের স্ত্রী তাঁকে কাজ করতে যেতে বললে দম্পতির মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়ে যায়।

MP Murder: স্বামীকে রোজ 'কাজে যাও' বলত মেয়েটি, তাঁকে এমন অবস্থায় দেখে স্তম্ভিত প্রতিবেশীরাও
প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 11, 2022 | 3:58 PM

জব্বলপুর: বাড়িতে শান্তিতে এক মুহূর্তও কাটাতে পারেন না। সারাক্ষণই স্ত্রী পিছনে লেগে পড়ে থাকেন। তাঁর মুখে শুধু একটাই কথা, “কাজে যাও, রোজগার করে নিয়ে এসো”। বিরক্ত হয়েই স্ত্রীর মুখ বন্ধ রাখতে চরম সিদ্ধান্ত নিলেন স্বামী। হাতের কাছে পড়ে থাকা একটা কাঁচি নিয়েই কুপিয়ে খুন করলেন স্ত্রীকে। তবে স্ত্রীকে খুন করার পরই মনে অপরাধবোধ জন্মায়। অন্ধকার জগৎ থেকে মুক্তি পেতে নিজেও আত্মহত্যা করেন। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য় প্রদেশের জব্বলপুরে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিভোর সাহু (৩০) নামক ওই ব্যক্তি তাঁর স্ত্রী রীতু (২৩)-কে খুন করেন। পরে তিনি নিজেও আত্মহত্যার করেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি পেশায় গাড়ি চালক। বিগত ১৫ দিন ধরে তিনি কাজে যাচ্ছিলেন না। স্বামীর এই আচরণে উদ্বিগ্ন হয়েই স্ত্রী বারংবার কাজে যেতে বলছিলেন বিগত কয়েকদিন ধরে। যেহেতু স্বামীর গাড়ি চালানোর উপরই দৈনিক আয় নির্ভর করছে, সেই কারণে বিগত ১৫ দিন কাজে না যাওয়ায় আর্থিক টানাটানি দেখা দিয়েছিল।

শুক্রবার অভিযুক্ত বিভোরের মা ও ভাই একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। বাড়িতে ছিলেন বিভোর ও তাঁর স্ত্রী। প্রতিদিনের মতোই শুক্রবারও বিভোরের স্ত্রী তাঁকে কাজ করতে যেতে বললে দম্পতির মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়ে যায়। রাগের মাথায় তিনি হাতের সামনে পরে থাকা কাঁচি তুলে নিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকেন স্ত্রীকে। যখন হুঁশ ফেরে, দেখতে পান যে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছেন স্ত্রী। এরপরই ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা করেন। পুলিশের তরফে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

কী কারণে ওই ব্যক্তি বিগত ১৫ দিন ধরে কাজ করতে যাচ্ছিলেন না, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে পুলিশের তরফে। ইতিমধ্যেই পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে তাঁরা জানিয়েছেন যে বিভোর বরাবরই চুপচাপ থাকত। বিগত কিছুদিন ধরে হঠাৎই কাজে যাওয়াও বন্ধ করে দেয়।  কিন্তু কী কারণে কাজে যাচ্ছিল না সে, তা জানায়নি।