Madhya Pradesh Man: অ্যাম্বুলেন্স নেই! ঠেলায় করে গর্ভবতী স্ত্রী’কে নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা ব্যক্তির
Ambulance: স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মধ্য প্রদেশের দামোহ জেলা সদর থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত রানেহ গ্রামে মঙ্গলবার এই ঘটনাটি ঘটেছে।
দামোহ: মধ্য প্রদেশের দামোহ জেলায় কৈলাশ আহিরওয়াল নামের এক ব্যক্তি তাঁর গর্ভবতী স্ত্রী’কে ঠেলা গাড়ি করে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন। অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়ার কারণে ওই ব্যক্তি তাঁর স্ত্রী’কে ঠেলাগাড়িতে চাপিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। স্ত্রী’কে ঠেলাগাড়িতে চাপিয়ে স্থানীয় সরকারি আরোগ্য কেন্দ্র পৌঁছনোর পর কৈলাশের অভিযোগ, সেখানে কোনও নার্স বা চিকিৎসক ছিলেন না।
Husband of a pregnant woman carried her to hospital on a push-cart for want of ambulance in Damoh, Kailash Ahirwal reached the local government-run Arogya Kendra after 2 kms journey, there was no doctor or nurse there, he alleged @ndtv @ndtvindia pic.twitter.com/cXj94L5oX5
— Anurag Dwary (@Anurag_Dwary) August 31, 2022
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মধ্য প্রদেশের দামোহ জেলা সদর থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত রানেহ গ্রামে মঙ্গলবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। কৈলাশ নামের ওই ব্যক্তির তাঁর স্ত্রী’কে ঠেলাগাড়িতে চাপিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে নেটিজেনদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। অনেকেই রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
হাট্টা ব্লকের মেডিক্যাল অফিসার আর পি কোরি জানিয়েছেন, এই ভিডিয়োর কথা তিনি জানতে পেরেছেন এবং ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোরি জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষতে নোটিস পাঠিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে, যে কেন ওই ব্যক্তি ও তাঁর স্ত্রী’কে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা প্রদান করা হয়নি।
কৈলাশ আহিরওয়াল জানিয়েছেন, মঙ্গলবার তাঁর স্ত্রী প্রসব বেদনা শুরু হয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে তিনি অ্যাম্বুলেন্সের হেল্পলাইন নম্বর ১০৮-এ ফোন করেন। কিন্তু দু’ঘণ্টা কেটে গেলেও কোনও অ্যাম্বুলেন্স না পৌঁছনোর কারণে তিনি ঠেলা গাড়িতে স্ত্রী’কে নিয়ে হাসপাতালের দিকে রওনা দিয়েছিলেন। এরপর তাঁকে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে হাট্টাতে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে যথাযথ চিকিৎসা না পাওয়ার কারণে তাঁকে দামোহ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই মুহূর্তে তিনি সেখানে ভর্তি রয়েছেন।