Mamata Banerjee: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের এক ছাতায় আনতে মরিয়া মমতা, দেশের ২২ বিরোধী নেতাকে বৈঠকে আমন্ত্রণ
President election 2022: শনিবার দেশের অ-বিজেপি ৮ মুখ্যমন্ত্রী-সহ দেশের শীর্ষসারির বেশ কয়েক জনকে নেতাকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন মমতা।
কলকাতা : রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘিরে বিরোধী ঐক্য গড়ে তুলতে তৎপর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে বলে ঘোষণা করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সেই নির্বাচনের আগে বিজেপি বিরোধী সব শিবিবকে এক জায়গায় আনতে উদ্যোগী হলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। শনিবার দেশের অ-বিজেপি ৮ মুখ্যমন্ত্রী-সহ দেশের শীর্ষসারির বেশ কয়েক জনকে নেতাকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন মমতা। সেই চিঠিতে বিজেপি বিরোধী দলকে এক হওয়ার ডাক দেওয়া হয়েছে। এর জন্য একটি বৈঠকও ডেকেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ওই সব মুখ্যমন্ত্রী ও নেতা-নেত্রীদের। আগামী ১৫ জুন বুধবার দুপুর ৩টেয় বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। নয়াদিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে সেই বৈঠক হওয়ার কথা।
জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি পাঠিয়েছেন ৮ অ-বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীকে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক, তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে.সি. রাও, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম.কে. স্ট্যালিন, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন ও পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিংহ মান রয়েছেন সেই তালিকায়। এ ছাড়াও দেশের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতা-নেত্রীকে বৈঠকে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সেই তালিকায় রয়েছেন-
– কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী
– আরজেডি সভাপতি লালুপ্রসাদ যাদব
– সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব
– সিপিআইএম-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি
– সিপিআই-এর সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা
– এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার
– আরএলডি নেতা জয়ন্ত চৌধরি
– কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচ.ডি. কুমারস্বামী
– প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ.ডি. দেবেগৌড়া
– কাশ্মীরের রাজনীতির অন্যতম দুই গুরুত্বপূর্ণ মুখ মেহবুবা মুফতি ও ফারুক আবদুল্লা
– শিরোমণি আকালি দলের সুখবীর সিং বাদল
– সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের পবন চামলিং
– আইইউএমএল প্রেসিডেন্ট কে.এম. কাদের
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রাক্কালে বিরোধীদের এক ছাতার তলায় আনতে মমতার এই উদ্যোগ জাতীয় রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ২০২১ পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে জেতার পর থেকেই জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মমতা। দেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী হিসাবেও নাম ভাসিয়ে দেওয়ার কৌশল নিয়েছিলেন তাঁর অনুগামীরা। অতীতেও বিজেপি বিরোধী তৃতীয় ফ্রন্ট গড়ার চেষ্টা চালিয়েছিলেন মমতা। একাধিক বার শরদ পাওয়ার, উদ্ধব ঠাকরেদের সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন। অতীতে একাধিক ক্ষেত্রেই কংগ্রেসকে দূরে ঠেলার প্রয়াস দেখা যেত। সিপিএমকে তো ধর্তব্যের মধ্যেই আনতেন না তিনি। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে বৈঠকে কংগ্রেস সভানেত্রী ও বাম নেতাদেরও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। যা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। দেশের প্রথম সারির কোনও বিরোধী নেতা বাদ যায়নি তৃণমূল সুপ্রিমোর তালিকায়। বুধবারের বৈঠকে কোন কোন দল উপস্থিত হয়, সে দিকে নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের। পাশাপাশি সেই বৈঠক ঘিরে আগামী দিনের বিরোধী ঐক্যের রূপরেখা তৈরি হয় কি না, তা নিয়েও আগ্রহ থাকবে বিভিন্ন রাজনৈতিক শিবিরের।