Murder: মামার কাটা মুন্ডু নিয়ে ছুটছে ভাগ্নে, ত্রস্ত গ্রামবাসীরা

Black Magic: মধ্যপ্রদেশের করিমতি গ্রামে থাকতেন মকসুদান সিং গোড। ভাগ্নের হাতেই প্রাণ গিয়েছে ৬০ বছরের ওই ব্যক্তির। তাঁর ভাগ্নের নাম লালবাহাদুর গোড। তার বয়স ২৬ বছর।

Murder: মামার কাটা মুন্ডু নিয়ে ছুটছে ভাগ্নে, ত্রস্ত গ্রামবাসীরা
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 14, 2022 | 8:00 PM

ভোপাল: মামার কাজকর্মে খুশি ছিল না ভাগ্নে। তা নিয়েই ঝামেলা। শুক্রবার মামার বাড়িতে গিয়ে মামার সঙ্গে বচসা চরম আকার নেয়। এর পরই কুঠারের কোপে মামার মাথা দেহ থেকে আলাদা করে দেয় ভাগ্নে। তার পর সেই মামার কাটা মুন্ডু নিয়েই রাস্তা দিয়ে দৌড়চ্ছিল ভাগ্নে। পথে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের সিধহি জেলায়। সিধহি জেলা সদর থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে করিমতি গ্রাম। সেখানেই ঘটেছে এই ঘটনা। ঘটনার পর্যায়ক্রমে শিহরিত গ্রামবাসীরা। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদের সময় অভিযুক্ত ভাগ্নে জানিয়েছে, মামা কালো জাদু করতে। বারণ করা সত্ত্বেও তা বন্ধ না করাতেই মামাকে খুন করেছে সে।

মধ্যপ্রদেশের করিমতি গ্রামে থাকতেন মকসুদান সিং গোড। ভাগ্নের হাতেই প্রাণ গিয়েছে ৬০ বছরের ওই ব্যক্তির। তাঁর ভাগ্নের মাম লালবাহাদুর গোড। তার বয়স ২৬ বছর। ঘটনা নিয়ে জামোডি থানার স্টেশন ইন চার্জ শেষমণি মিশ্র বলেছেন, “অভিযুক্ত লালাবাহাদুর শুক্রবার করিমতি গ্রামে তার মামার বাড়িতে এসেছিল। সে সন্দেহ করত, তার মামা কালো জাদু করে। তার উপর মামা কালো জাদু করে বলে সন্দেহ ছিল তাঁর। শুক্রবার আসার পর কালো জাদু নিয়ে মামার সঙ্গে তুমুল বচসা হয়েছিল লালবাহাদুরের। বচসা থেকেই মামাকে আক্রমণ করে অভিযুক্ত।” ওই পুলিশ অফিসার আরও জানিয়েছেন অভিযুক্তের মারের তীব্রতা এমন ছিল, যে দেহ থেকে মাথা আলাদা হয়ে যায় মৃতের।

এর পরই মামার কাটার মাথা নিয়ে রাস্তা দিয়েছে যাচ্ছিল অভিযুক্ত লালবাহাদুর। কিন্তু এই হত্য়া খবর যায় পুলিশের কাছে। পথে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু মামার কাটা মুন্ডু হাতে নিয়ে অভিযুক্ত ভাগ্নে হেঁটে গিয়েছিল প্রায় ২ কিলোমিটার। মামার কালো জাদুর প্রভাবে কাজকর্মে বাধা পাচ্ছিল সে, পুলিশের কাছে এমনই দাবি করেছে অভিযুক্ত লালবাহাদুর। মামাকে খুনের জন্য লালবাহাদুরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে খুনের মামলাও রুজু হয়েছে। ঘটনার তদন্তের পাশাপাশি মামার বিরুদ্ধে লালবাহাদুরের অভিযোগের কী সত্যতা রয়েছে তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।