Sonamarg Avalanche: ভিডিয়ো: প্রথমে বিকট শব্দ, হুড়মুড়িয়ে নেমে আসল তুষারধস, প্রাণভয়ে চিৎকার শ্রমিকদের
Jammu Kashmir: তুষারধসের পরই প্রশাসনের তরফে সতর্কবার্তা দিয়ে জানানো হয়েছে, ধসের সময় যেন কেউ দরজা-জানালা না খোলেন। ধস থেমে যাওয়ার পরই সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হতেও বারণ করা হয়েছে।
শ্রীনগর: ফের তুষারধস (Avalanche) উপত্যকায়। দুই দিনে এই নিয়ে পরপর দুইবার তুষারধস নামল জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) সোনমার্গে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার ফের সোনমার্গে (Sonamarg) তুষারধস নামে। পাহাড় থেকে আচমকাই নেমে আসে বরফের বড় বড় চাঁই। হড়পা বান যেভাবে ধেয়ে আসে, ঠিক সেভাবেই পাহাড়ের উপর থেকে সমতলে নেমে এসেছে বরফের বিশাল অংশ। এর আগে গত ১২ জানুয়ারিও কাশ্মীরের সোনমার্গে তুষারধস নামে। পরপর দুইবার ধস নামায় উদ্বেগ বেড়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। তবে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, তুষারধসে কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।
জানা গিয়েছে, শনিবার জম্মু-কাশ্মীরের সোনমার্গে একটি নির্মাণ সংস্থার ব্যারাকের পিছনে তুষারধস নামে। সেই সময় ব্যারাকে বহু শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন। বিকট শব্দ ও পাহাড় থেকে হুড়মুড়িয়ে বরফ নেমে আসতে দেখেই তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছোটাছুটি শুরু করেন। তবে ওই নির্মাণ সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, তুষারধসে কোনও শ্রমিক আহত হননি। সকলেই সুরক্ষিত রয়েছেন।
Video: Avalanche near a village in Gurez valley, Bandipora district of north Kashmir. No damage or injuries reported. Avalanche warnings have been issued above 2000 meters of several mountainous districts of Kashmir. pic.twitter.com/R1VPvQtcYq
— Ieshan Wani (@Ieshan_W) January 14, 2023
জানা গিয়েছে, ওই নির্মাণ সংস্থাটি জোজিলা সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ করছে। ইতিমধ্যেই তুষারধসের বেশ কয়েকটি ভিডিয়োও সামনে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, পাহাড় থেকে হুড়মুড়িয়ে বরফ নেমে আসছে। বরফের বিশাল স্তর নেমে আসতে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন শ্রমিকেরা। তাদের চিৎকারও শোনা যায়। নিমেষের মধ্য়েই গোটা ব্যারাকটি বরফের স্তূপের নীচে চলে যায়। আতঙ্কিত শ্রমিকেরা কয়েকজন ব্য়ারাকের ভিতরে ঢুকে পড়েন। ভিডিয়োয় আরও দেখা যায়, তুষারধস নামার পর ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ে যায় গোটা এলাকা। ঝোড়ো হাওয়াও বইতে থাকে। গোটা ব্যারাকের ছাদ বরফের স্তরে ঢাকা পড়েছে, এমনটাও দেখা যায়।
তুষারধসের পরই প্রশাসনের তরফে সতর্কবার্তা দিয়ে জানানো হয়েছে, ধসের সময় যেন কেউ দরজা-জানালা না খোলেন। ধস থেমে যাওয়ার পরই সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হতেও বারণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে বৃহস্পতিবারও সোনমার্গের বালতাল এলাকায় তুষারধস নামে। ওই ধসে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এরপরই প্রশাসনের তরফে কাশ্মীরের উচু পার্বত্য অঞ্চলগুলিতে তুষারধসের সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। শুক্রবারও ব্যাপক তুষারপাত হয় কাশ্মীর সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে।