Zojila Tunnel, MEIL: জোরকদমে চলছে জোজিলার কাজ, প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও ৫ কিলোমিটার টানেল সম্পূর্ণ

Zojila project, MEIL: সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩ হাজার ৫২৮ মিটার উঁচুতে তুষারপাত এবং তুষারঝড়ের মতো প্রতিকূল পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও দ্রুত গতিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে মেইল৷

Zojila Tunnel, MEIL: জোরকদমে চলছে জোজিলার কাজ, প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও ৫ কিলোমিটার টানেল সম্পূর্ণ
জোর কদমে চলছে মেইলের কাজ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 16, 2022 | 10:39 PM

নয়া দিল্লি: মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার্স লিমিটেডের (MEIL) বড় সাফল্য। মাত্র ১৪ মাসের রেকর্ড সময়ের মধ্যে জোজিলা টানেলের পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেল তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। মোট ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই টানেলটি বছরের সব ঋতুতে ব্যবহার করা যাবে। ন্যাশনাল হাইওয়ে অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেডের (NHIDCL) এই প্রকল্প সম্পূর্ণ করার গুরু দায়িত্ব রয়েছে মেইলের হাতে। এই প্রকল্পটির মাধ্যমে শ্রীনগর এবং লাদাখের মধ্যে কোনও সড়ক যোগাযোগ আরও সহজ হয়ে যাবে। বিশেষ করে কোনওরকম প্রতিকূল প্রাকৃতিক পরিবেশের বাধা ছাড়াই সারা বছর সড়ক পথে যুক্ত রাখা যাবে শ্রীনগর ও লাদাখকে। জোজিলা টানেলকে মোট তিনটি অংশে ভাগ করা হয়েছে – নীলগ্রার ১ ও ২ এবং জোজিলার মূল টানেল। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩ হাজার ৫২৮ মিটার উঁচুতে তুষারপাত এবং তুষারঝড়ের মতো প্রতিকূল পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও দ্রুত গতিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে মেইল৷

প্রতিকূল আবহাওয়াতেও কাজ চলছে দ্রুত গতিতে

জোজিলা প্রকল্পটি হল এশিয়ার দীর্ঘতম দ্বিমুখী টানেল। কৌশলগত অবস্থানের কারণেও ভারতের ক্ষেত্রে এই প্রকল্পটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। জোজিলা টানেলের প্রজেক্ট হেড হরপাল সিং জানিয়েছেন, “আমাদের মেইলের গোটা দল নিষ্ঠা ও কঠোর পরিশ্রম সঙ্গে কাজ করছে এবং এই কঠিনতম পরিস্থিতিতে প্রকল্পটির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।” উল্লেখ্য, এই মরশুমে শীতকালে জম্মু ও কাশ্মীরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তুষারপাত হয়েছে। তাপমাত্রা মাইনাস ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে গিয়েছে। সামগ্রিক প্রকল্পটি মিলিয়ে মোট তিনটি টানেল, চারটি সেতু, তুষারপাতের থেকে সুরক্ষার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা, কালভার্ট, ক্যাচ ড্যাম, ডিফ্লেক্টর ড্যাম, কাট অ্যান্ড কভার টানেল এবং এই জাতীয় আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়করি এর আগে যখন মেইলের কাজ পরিদর্শনে এসেছিলেন, তখন দ্রুত গতিতে প্রকল্পটি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মেইলের উদ্যোগের ভূয়সি প্রশংসা করেছিলেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথায়, এই প্রকল্পটি একবার সম্পূর্ণ হয়ে গেলে তা জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, পরিবহন এবং পর্যটনকে আরও উন্নত করবে।

জোর কদমে চলছে জোজিলা প্রকল্পের কাজ

ভারতের নির্মাণ সংস্থাগুলির মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হল মেইল। ২০২০ সালের ১ অক্টোবর কাশ্মীর উপত্যকাকে লাদাখের সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য সব আবহাওয়ায় ব্যবহার উপযোগী জোজিলা প্রকল্পের দায়িত্ব দেওয়া হয় মেইলকে। প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য ৩২ কিলোমিটার এবং এটি দুটি ভাগে বিভক্ত। প্রকল্পের ১৮ কিলোমিটারের প্রথম অংশটি সোনমার্গ এবং তালতালকে যুক্ত করে। এখানে রয়েছে একটি প্রধান সেতু এবং জোড়া টানেল। টানেল টি-১ এর মধ্যে দুটি টিউব রয়েছে। প্রবেশ পথ নির্মাণের পর মেইল ২০২১ সালের মে মাসে প্রকল্পের কাজ শুরু করে। হিমালয়ের পার্বত্য এলাকায় টানেল করা সবসময়ই এক কঠিন কাজ। কিন্তু মেইল একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যাবতীয় নিরাপত্তা, গুণমান বজায় রেখে দ্রুত গতিতে উভয় টানেলের কাজ করে চলছে। জোজিলা মেইন টানেলের কাজও পুরোদমে চলছে। এটির দৈর্ঘ্য ১৩.৩ কিলোমিটার। মেইল লাদাখ থেকে ৬০০ মিটার এবং কাশ্মীরের দিক থেকে ৩০০ মিটারের কাজ এগিয়েছে। প্রকল্পটি ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচারস লিমিটেড হল এক বহুমাত্রিক সংস্থা। ভারতের হায়দরাবাদে এই সংস্থার সদর কার্যালয়। কোম্পানিটি ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। গত তিন দশকে এটি ৬০ টি দেশে নিজেদের পা রেখেছে । সেচ, তেল ও গ্যাস, পরিবহন, বিদ্যুৎ, বৈদ্যুতিক গাড়ি, প্রতিরক্ষা এবং উৎপাদন ক্ষেত্রে ছড়িয়ে রয়েছে এই সংস্থা।

আরও পড়ুন : UP Assembly Election 2022: দলবদলের পালায় প্রত্যাঘাত বিজেপির, পদ্ম-মুখী মুলায়মের পুত্রবধূ