Minor Abuse: মা নেই, বাবা ভিক্ষুক! ১০ জনের ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকা

Minor Assault: তদন্ত শুরু হলেও পুলিশের বিরুদ্ধে শুরুতে মামলা দায়ের না করার অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ, নির্যাতিতার বয়ান নথিভুক্তের পরও মামলা দায়ের করেনি। নির্যাতনের খবর সোশ্য়াল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর পুলিশ মামলা দায়ের করেছে বলে অভিযোগ।

Minor Abuse: মা নেই, বাবা ভিক্ষুক! ১০ জনের ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকা
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 13, 2022 | 2:39 PM

তিরুপতি: এক নাবালিকাকে মাসের পর মাস ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ১০ জনের বিরুদ্ধে। ধর্ষণের জেরে অত্যাচারিতা নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। নাবালিকা নির্যাতনের এই ঘটনা ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের কাপাডা জেলায়। বৃহস্পতিবার অত্যাচারের ঘটনা সামনে এসেছে। ১৫ বছরের ওই নাবালিকার বাবা বিষয়টি নিয়ে থানায অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও শুরুতে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। জেলা পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকের পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অভিযুক্তদের মধ্য়ে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে। ওই এলাকার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহায়তায় অত্যাচারিতা নাবালিকাকে আপাতত একটি হোমে রাখা হয়েছে। সেখানেই তার কাউন্সিলিং করা হচ্ছে।

জানা গিয়েছে, ১৫ বছরের ওই নাবালিকার মা নেই। বাবার সঙ্গেই থাকত সে। তার বাবা বিভিন্ন মন্দিরে ভিক্ষা করে। ভিক্ষাবৃত্তির উপার্জনেই কোনও মতে দিন চলত বাবা মেয়ের। পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটি যেখানে থাকত, সেখানকার এক যুবক মাসখানেক আগে ওই নাবালিকার বাবার না থাকার সুযোগে তাকে প্রথমবার ধর্ষণ করে। ওই যুবক ফুলের দোকানে কাজ করত বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার পর ওই যুবক তাঁর এক বন্ধুকে নিয়ে আসে। এবং ২ জন মিলে আবারও ধর্ষণ করে নাবালিকাকে। এর পর তাঁদের আরও বন্ধু বিভিন্ন সময় চড়াও হয় মা-হীনা নাবালিকার উপর। এবং তার উপর অত্যাচার চালায়। মাসের পর মাস এ ভাবেই মেয়েটির উপর অত্য়াচার চলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। কয়েক মাস ধরে চলা এই নির্যাতনের জেরেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ১৫ বছরের ওই কিশোরী। তার পর নাবালিকার বাবা জানতে পারে অত্যাচারের কথা। এবং তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান।

অভিযোগ দায়েরের পর এক মহিলা কনস্টেবল ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন। বয়ান নথিভুক্তের সময় অত্যাচারিতা নাবালিকা পুলিশকে জানিয়েছে, মোট ১০ জন তাকে বিভিন্ন সময়ে তাকে ধর্ষণ করেছে। এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহায়তায় ওই নাবালিকাকে আপাতত শেল্টার হোমে রাখা হয়েছে।

তদন্ত শুরু হলেও পুলিশের বিরুদ্ধে শুরুতে মামলা দায়ের না করার অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ, নির্যাতিতার বয়ান নথিভুক্তের পরও মামলা দায়ের করেনি। নির্যাতনের খবর সোশ্য়াল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর পুলিশ মামলা দায়ের করেছে বলে অভিযোগ।

যদিও পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাডাপা জেলার পুলিশ সুপার কেকেএন অন্বুরাজন। তিনি বলেছেন, “পুলিশের ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন। পুলিশ নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করেছে এবং নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। ঘটনায় অভিযুক্ত চার জনকে ইতিমধ্য়েই গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চালানো হচ্ছে।” পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন, ৬ মাস আগে প্রথমবার ধর্ষণ করা হয়েছিল নাবালিকাকে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের তত্ত্বাবধানে ঘটনার তদন্ত চলছে।