Molestation in JNU: ক্যাম্পাসের ভিতর শ্লীলতাহানির চেষ্টা, জেএনইউ কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট তলব মহিলা কমিশনের

Molestation in JNU: ক্যাম্পাসের ভিতর বাইক নিয়ে প্রবেশ করে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে এক যুবক। এই অভিযোগ সামনে আসতেই পদক্ষেপ কমিশনের।

Molestation in JNU: ক্যাম্পাসের ভিতর শ্লীলতাহানির চেষ্টা, জেএনইউ কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট তলব মহিলা কমিশনের
ফের একবার জেএনইউ-র নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে (ছবি ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 22, 2022 | 7:45 PM

নয়া দিল্লি : জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় রিপোর্ট তলব করল দিল্লি মহিলা কমিশন। আগামী ২৭ জানুয়ারির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। শনিবার দিল্লি মহিলা কমিশনের তরফ থেকে সেই রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের মধ্য়ে পড়ুয়ার শ্লীলতাহানির ঘটনায় দিল্লি মহিলা কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করল।

মহিলা কমিশনের তরফ থেকে বলা হয়েছে যৌন হেনস্থা প্রতিরোধে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো কাজ করত জিএসকেস (GSCASH)। যৌন হেনস্থা রুখতে এই কমিটি গঠন করা হয়েছিল একসময়। পরে সেই কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। সেই কমিটি সংক্রান্ত তথ্যও চাইল কমিশন। বিশ্ববিদ্যালয়ে লাগাতার হতে থাকা এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তা জানাতে হবে মহিলা কমিশনকে।

কী এই GSCASH?

জেএনইউ ক্যাম্পাসে ১৯৯০ সালের শেষের দিকে এসএফআই নেতৃত্বাধীন ছাত্র সংসদ যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে জিএসকেস (GSCASH) গড়ে তোলে। যে কোনও যৌন হয়রানির ক্ষেত্রেই ছাত্র-ছাত্রীরা এই সংগঠনের কাছে এসে অভিযোগ জানাতে পারতেন। এই কমিটিতে নির্বাচিত ছাত্র ও শিক্ষক প্রতিনিধি থাকতেন। শুধুমাত্র পড়ুয়াদেরই নয়, শিক্ষক ও কর্মীদেরও যৌন হয়রানির বিষয়ে ব্যবস্থা নিত কমিটি।

২০১৬ সালে নতুন উপাচার্য আসার পর সেই কমিটি ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব আসে। পরে ছাত্র প্রতিনিধিদের সম্মতি না নিয়েই জিএসকেসের বদলে আইসিসি আসে। আইসিসিতে মনোনীত সদস্যরা থাকেন, সেখানেই আপত্তি ছিল জেএনইউ ছাত্র সংসদের। কারণ, আইসিসিতে নির্বাচিত সদস্যের সংখ্যা মাত্র ১। গত এক-দেড় বছর ধরে সেই নির্বাচনও হয়নি। ফলে আইসিসিতে এখন ছাত্র প্রতিনিধিত্ব নেই।

ক্যাম্পাসের ভিতরেই শ্লীলতাহানির অভিযোগ

গত ১৭ জানুয়ারি এই অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হাউসের সামনে থেকে এক ছাত্রীকে টেনে নিয়ে গিয়ে অন্ধকারে চড়াও হয় এক যুবক। ভিসি হাউসের ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। রাত ১২ টা ৪৫ মিনিটে শ্লীলতাহানির অভিযোগ জানিয়ে একটি ফোন আসে বসন্ত কুঞ্জ উত্তর থানায়। বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে ডিসিপি নিজেই ছুটে যান বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। বসন্ত কুঞ্জ থানার এসএইচও ও পুলিশ কর্মীরাও সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে যান।

জানা গিয়েছে, ওই দিন রাত ১১ টা ৪৫ মিনিট নাগাদ জেএনইউতে পিএইচডি-র এই ছাত্রী ক্যাম্পাসের মধ্যেই ঘুরছিলেন। তিনি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব গেট রোডে হাঁটছিলেন, তখন ক্যাম্পাসের ভিতরে একটি বাইকে চেপে এক যুবক প্রবেশ করে। এরপরই ওই যুবক শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। ছাত্রী চিৎকার করতে শুরু করলে ধরা পড়ার ভয়ে অভিযুক্ত যুবক মোটরসাইকেল নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। এই ঘটনার পরই বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

আরও পড়ুন : CISF in Kolkata Airport: প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে বাড়তি সতর্কতা বিমানবন্দরে, আরও আঁটসাঁট হচ্ছে নিরাপত্তা