Karaikal Child Death : ছেলের থেকে বেশি নম্বর সহপাঠীর, ফলের রসে বিষ মিশিয়ে খুনের অভিযোগ মায়ের বিরুদ্ধে

Karaikal Child Death : নম্বর নিয়ে ছেলের রেষারেষি সহপাঠীর সঙ্গে। ছেলের সহপাঠীকে ফলের রস খাওয়ায় মা। সেই ফলের রস খেয়ে মৃত্যু হয় ছেলের সহপাঠীর।

Karaikal Child Death : ছেলের থেকে বেশি নম্বর সহপাঠীর, ফলের রসে বিষ মিশিয়ে খুনের অভিযোগ মায়ের বিরুদ্ধে
গ্রাফিক্স সৌজন্যে : অভীক দেবনাথ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 04, 2022 | 10:15 PM

পুদুচেরি : সহপাঠীর মায়ের দেওয়া ফলের রস খেয়ে মৃত্যু অষ্টম শ্রেণির এক কিশোরের। মৃতের নাম বালা মণিকান্দন। করাইক্কাল এলাকার ঘটনা। জানা গিয়েছে, দুই সহপাঠীর মধ্য়ে নম্বরের রেষারেষিতেই এই পরিণতি ১৩ বছরের বালার। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে অভিযুক্ত জানিয়েছেন, স্কুলে বালা ও তাঁর ছেলের মধ্যে নম্বর নিয়ে রেষারেষি লেগে থাকায় তিনি খুব চিন্তিত ছিলেন।

করাইক্কাল এলাকায় একটি বেসরকারি স্কুলে পড়ে ১৩ বছরের বালা মণিকান্দন। অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল সে। সেই একই স্কুলে ও একই ক্লাসে পড়ে আরুল মেরি। স্কুলে বার্ষিক দিবসের রিহার্সাল চলছিল। গত সপ্তাহে রিহার্সাল সেরেই বাড়ি ফেরে বালা। বাড়ি ফিরেই অসুস্থ বোধ করে সে। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় সে স্কুলে বা বাইরে কিছু খেয়েছিল কি না। তার জবাবে বালা জানায়, স্কুলে দ্বাররক্ষীর দেওয়া ফলের রস খেয়েছিল সে। তারপর থেকেই শরীরে অস্বস্তি বোধ হতে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে করাইক্কাল সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিল বালা। কিন্তু শেষ রক্ষা হল। শনিবার রাতে মারা যায় বালা।

বালার পরিবারের লোকজন সেই ফলের রসের উৎস সম্বন্ধে খোঁজ খবর শুরু করেন। সেই সূত্র ধরেই স্কুলের দ্বাররক্ষীকে জিজ্ঞাসা করা হয় তিনি কেন বালাকে ফলের রস দিয়েছিলেন। সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, এক মহিলা তাঁকে দুটি ফলের রসের বোতল দিয়ে বলেছিলেন, সেগুলি বালার বাড়ি থেকে পাঠানো হয়েছে। তারপর দ্বাররক্ষীর কথার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, এক মহিলা দ্বাররক্ষীকে দুটি বোতল দিচ্ছেন। সেই মহিলা আর কেউ নন। সিসিটিভিতে দেখা যায় তিনি বালার সহপাঠী আরুল মেরির মা সাগায়ারানি ভিক্টোরিয়া। তাঁর দেওয়া সেই ফলের রস খেয়েই গতকাল রাতে তাদের সন্তানের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ বালার পরিবারের। তাঁরা বালার খুনের ন্যায়বিচারের দাবি তুলে প্রতিবাদ করেন। তারপর সাগায়ারানীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের সময় সাগায়ারানী জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে আরুল ও বালার মধ্যে নম্বর এবং স্থান পাওয়া নিয়ে একটি প্রতিযোগিতা লেগে থাকত। সেই রেষারেষি কখনও কখনও হাতাহাতির রূপও নিত। তিনি এই ঘটনায় খুব চিন্তিত ছিলেন। এই ঘটনায় এখনও তদন্ত জারি রয়েছে।