Mumbai: টানা ১৫ দিন নাবালিকাকে ‘I LOVE U’! অভিযুক্তকে এক বছরের জেল ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা মুম্বই আদালতের

Mumbai: ২০১৫ সালে এক ১৩ বছর বয়সী নাবালিকাকে 'আই লাভ ইউ' বলার জন্য এবং তাঁকে বারবার অনুসরণ করার জন্য ৩০ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হল। অভিযুক্ত অবশ্য বারবার নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছে।

Mumbai: টানা ১৫ দিন নাবালিকাকে 'I LOVE U'! অভিযুক্তকে এক বছরের জেল ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা মুম্বই আদালতের
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 03, 2022 | 4:34 PM

মুম্বই: ‘আই লাভ ইউ’ – তিনটি শব্দকে বলা হয় জাদু শব্দ। কাউকে বললেই ঘটে যেতে পারে ম্যাজিক। কিন্তু, এই তিন শব্দ উচ্চারণের জন্যই ৩০ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিল মুম্বইয়ের এক আদালত। জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত ঘটেছিল ২০১৫ সালে। সেই সময় এক ১৩ বছরের নাবালিকাকে ‘আই লাভ ইউ’ বলেছিল আসামী। তবে, একবার নয়। প্রায় দিন ১৫ ধরে ওই নাবালিকা যেখানে যাচ্ছিল, সেখানেই ধাওয়া করে গিয়ে ‘আই লাভ ইউ’ বলছিল ওই ব্যক্তি। ঘটনার পরপরই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। জামিনে সে মুক্তিও পেয়ে গিয়েছিল। তবে, শুক্রবার এই মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে, এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আদালত বলেছে, ‘অভিযুক্ত যে অপরাধ করেছে তার প্রকৃতি এবং গুরুত্ব বিবেচনা করেছে আদালত। অভিযুক্ত স্বভাবগত অপরাধী নন। তাই এই আদালত মনে করে, অভিযুক্তকে এক বছরের জন্য সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা যেতে পারে। এই অর্থ আবেদনের শেষে নির্যাতিতাকে দেওয়া হবে।’

আদালতে আবেদনকারীর আইনজীবী জানিয়েছেন, ২০১৫ সালে ওই নাবালিকা অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। ১৭ এপ্রিল বিকেল ৪টে নাগাদ সে তার মায়ের সঙ্গে পাঠ্যপুস্তক কিনতে গিয়েছিল। ঘণ্টা দুয়েক পরে বই কেনা শেষ করে যখন তারা বাড়ি ফিরছিল, তখন আচমকা নাবালিকার জুতো ছিঁড়ে গিয়েছিল। তাতে সে মায়ের থেকে পিছিয়ে পড়েছিল। এই সুযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তি তাঁর কাছাকাছি এগিয়ে এসেছিলেন। এরপরই নাবালিকা ভয় পেয়ে চিৎকার করে ওঠে। তার মা ছুটে আসেন। নাবালিকা তার মাকে জানিয়েছিল, অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রায় দিন পনেরো ধরে তাকে অনুসরণ করে চলেছে। সুযোগ পেলেই তার কাছে এগিয়ে এসে ‘আই লাভ ইউ’ বলছে।

অভিযুক্তরা সেই সময় ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেলেও, নাবালিকার মা তাকে চিনতে পেরে গিয়েছিলেন। অভিযুক্ত নাবালিকাদেরই প্রতিবেশী ছিল। এরপর স্থানীয় থানায় ওই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল নাবালিকার পরিবার। এরপরই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তবে, অভিযুক্ত তার বিরুদ্ধে করা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছিল। সে দাবি করেছিল, নাবালিকার বাবা নিয়মিত মদ্যপান করে তাদের পাড়ায় অশান্তি করেন। সেই মাতলামির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে বলেই তাকে মিথ্যাভাবে ফাঁসানো হয়েছে। তবে, আদালত বলেছে এই বয়ানের সমর্থনে কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি অভিযুক্ত।