Red Fort Blast: রাতের অন্ধকারে একের পর এক বাক্স ঢুকত এই বাড়িতে, শুধুই কি গ্রিন সিগন্যালের অপেক্ষা ছিল?
Red Fort Blast: যেদিন এই অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উদ্ধার হয়েছিল, সেদিন প্রত্যেকটি উপকরণকে একসঙ্গে বাক্সে ভরেই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। দীর্ঘ সড়কপথে বারবার গাড়ি গর্তে হোঁচট খেলেও কোনওরকম বিস্ফোরণ হয়নি। তাহলে শুধুমাত্র পরীক্ষা করতে গিয়েই এই ঘটনা ঘটে গেল? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

ধউজ: হরিয়ানার ফরিদাবাদের প্রত্যন্ত এলাকার ধউজ গ্রাম। শ্রীনগরের নওগাম পুলিশ স্টেশন থেকে প্রায় ৮৫৫ কিলোমিটার দূরে এই গ্রাম। সন্দেহভাজন হিসেবে মুজাম্মিল গানাইকে গ্রেফতার করার পর তার এই ভাড়া বাড়ির ১৫ নম্বর ঘর থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ৩৫৮ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। সঙ্গে ছিল আরও অন্যান্য বিস্ফোরক। ফরিদাবাদের ক্রাইম ব্রাঞ্চ সূত্রে খবর, সড়কপথে এই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক নিয়ে যাওয়া হয় নওগাম থানায়।
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ প্রশাসন অত্যন্ত সাবধানতা অবলম্বন করে এই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠছে, আদৌ যে মালপত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তা কি আইডি তৈরির মশলা ছিল? নাকি আইডি বিস্ফোরকই তৈরি করা ছিল সেখানে? শুধুমাত্র যে এলাকায় নাশকতা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল, সেখানে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সময় এবং সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার অপেক্ষায় রাখা ছিল বিস্ফোরকগুলি?
বাড়ির মালিক বারবার বলেছিলেন, এই বাড়িতে রাতের অন্ধকারে বিভিন্ন বাক্স করে মালপত্র এনে রাখতেন মুজাম্মিল রাখত। তাহলে কি প্রস্তুত করে রাখা আইডি বিস্ফোরক নিয়ে যাওয়া হয়েছিল নওগাম থানায়? ফরিদাবাদ থানার পুলিশ অবশ্য এই বিষয়ে কিছু বলতে চাননি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কর্তারাও বিশেষ কোনও তথ্য প্রকাশ্যে আনেননি।
তবে মনে করা হচ্ছে, প্রস্তুত করে রাখা বিস্ফোরক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে গিয়েই এত বড় বিস্ফোরণ নওগাম থানায়। কারণ শুধুমাত্র অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট পাউডার বা বিস্ফোরক এবং অন্যান্য উপকরণের সংস্পর্শে আনলেই তা বিস্ফোরকে পরিণত হয় না। যেদিন এই অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উদ্ধার হয়েছিল, সেদিন প্রত্যেকটি উপকরণকে একসঙ্গে বাক্সে ভরেই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। দীর্ঘ সড়কপথে বারবার গাড়ি গর্তে হোঁচট খেলেও কোনওরকম বিস্ফোরণ হয়নি। তাহলে শুধুমাত্র পরীক্ষা করতে গিয়েই এই ঘটনা ঘটে গেল? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
তবে যদি প্রস্তুত করে রাখা বিস্ফোরক নিয়ে কোনওরকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে যাওয়া হয়, তাহলে বিস্ফোরণ হতে বাধ্য। এমনটাই মনে করছেন ফরিদাবাদের ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসাররা। আর সেটাই নওগাম থানায় হয়েছে বলেই প্রাথমিক অনুমান।
ধউজ গ্রামের ওই বাড়ি থেকে যারা বিস্ফোরক উদ্ধার করেছিল, তাদের মধ্যে এক সাব ইন্সপেক্টর জানান, ১৫ নম্বর ঘরের ভিতর মালপত্র যেভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল এবং অসতর্কতার সঙ্গে রাখা ছিল, তাতে বিস্ফোরণ যদি হওয়ার হতো, তাহলেই এখানেই ঘটতে পারত। ৮৫৫ তিনি দূরে থানার ভিতরে রাতের অন্ধকারে বিস্ফোরণ হত না।
