Minor Abuse: আশ্রমে আরও পাঁচ নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ নাসিকের ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে
Ashram Director: আরও পাঁচ নাবালিকা ওই ব্যক্তির হাতে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিল তাঁদের সকলেরই বয়স ১৪ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে।
নাসিক: নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল মহারাষ্ট্রের নাসিকের এক আশ্রমের ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে। গত সপ্তাহেই পুলিশ গ্রেফতার করেছিল তাঁকে। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারল, ওই আশ্রমে আরও পাঁচ নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছেন অভিযুক্ত। আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের ওই মেয়েটি আশ্রমেই থাকত। সম্প্রতি তার সঙ্গে দেখা করতে যান তার এক আত্মীয়। সেই আত্মীয়কেই ধর্ষণের কথা জানান ওই নাবালিকা। এর পর থানায় অভিযোগ দায়ের করে ওই নাবালিকার পরিবার। তার এক দিন পরই গ্রেফতার করা হয় আশ্রমের ডিরেক্টরের কাজ করা ওই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে। এর পর ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। তার পরই আরও নাবালিকার নির্যাতনের বিষয়টি সামনে এসেছে।
বিষয়টি নিয়ে তদন্তকারী অফিসার জানিয়েছেন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আরও পাঁচটি এফআইআর দায়ের হয়েছে। আরও পাঁচ নাবালিকা ওই ব্যক্তির হাতে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিল তাঁদের সকলেরই বয়স ১৪ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। নির্যাতিতা নাবালিকারা জানিয়েছে, গত কয়েক মাস ধরেই তাদের উপর অত্যাচার চালানো হয়েছে। আশ্রমেই ভিতরেই অত্যাচারিত হয়েছেন সকলে।
এ নিয়ে তদন্তকারী অফিসার বলেছেন, “১৪ বছেরের নাবালিকার (প্রথম নির্যাতিতা) বাবা-মা মজুরের কাজ করে। তাঁরা সকালে কাজে বেরিয়ে যেতেন এবং সন্ধ্যায় ফিরতেন। সে জন্যই বাচ্চার দেখাশোনার জন্য আশ্রমে রেখে যেতেন নাবালিকা মেয়েকে। এক দিন তাদের এক আত্মীয় আশ্রমে এলে তাঁকে নির্যাতনের কথা জানায় নাবালিকা। এর পর তার সঙ্গে বাড়িও চলে আসে।” অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারা এবং পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। ওই অফিসার জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্তের জন্য একটি দল ওই আশ্রয়ে গিয়েছিল। সেখানে তাঁরা আশ্রমে থাকা আরও নাবালিকাদের সঙ্গে কথা বলেন। তখনই পাঁচ নাবালিকা ধর্ষণের কথা জানায়। তাঁরা জানিয়েছে, ঘরে কাজ আছে বলে নিয়ে গিয়ে যৌন অত্যাচার করতেন ওই ব্যক্তি। এই সব ঘটনার কথা কাউকে না বলার হুমকিও দিয়েছিলেন অভিযুক্ত।