গুজরাট: আরব সাগরের ঢেউয়ের মাঝে দাঁড়িয়ে তিনি। সাগরে মাঝে, দাঁড়িয়ে সমুদ্রের বিশালত্ব, নিঃস্তব্ধতা, সৌন্দর্য উপভোগ করছেন যেন। সম্প্রতি গুজরাটের সমুদ্রতটে সিংহ দেখে হতবাক বিশেষজ্ঞরা। ছবিটি ক্যামেরাবন্দি করেছিলেন কোনও এক ব্যক্তি। ইন্ডিয়ান ফরেস্ট অফিসার পারভিন কাসওয়ান সেটা এক্স বা টুইটারে পোস্ট করেন। যা দেখে অনেকেরই পড়েছে ফ্যান্টাসি সিরিজ ‘দ্য ক্রনিকলস অব নার্নিয়া’র কথা।
সেই সিরিজের সিংহের জলে নামার দৃশ্য ছিল। ছবিটির শেষ দৃশ্যে আসলান নামের সিংহটিকে দেখা যায় সমুদ্রতটে দাঁড়িয়ে থাকতে। সেই দৃশ্যেরই যেন পুনরাবৃত্তি হল গুজরাটের সমুদ্রতটে। গুজরাতের সমুদ্রতটে এশিয়ার প্রচুর সিংহ বসবাস করে। এই নিয়ে বিখ্যাত নেচার পত্রিকায় একটি গবেষণাপত্রও প্রকাশিত হয়েছে। তবে সমুদ্রতটে থাকলেও সমুদ্রে খুব একটা নামেন না পশুরাজ। তাই অনেকেরই প্রশ্ন, বনের সিংহ কী করে সমুদ্রে এমন স্বচ্ছন্দে দাঁড়িয়ে? কোনও ভাবে পথভ্রষ্ট হয়ে সমুদ্রের দিকে চলে যায়নি তো সিংহটি?
কেন এমন হল, তা খতিয়ে দেখতে সমীক্ষা করবে গুজরাতেই লায়ন কনভারভেটিভ সোসাইটি। তবে কেউ কেউ মজার ছলেই বলছেন পশুরাজ হয়তো একঘেয়েমি কাটাতে সমুদ্রে ছুটি কাটাতে গিয়েছে। কেউ আবার বলছেন, এই সিংহটির মন হয়তো ভাল নেই। তাই একাকী দাঁড়িয়ে সমুদ্রতটে। প্রসঙ্গত, গুজরাতের সিংহের সংখ্যা বাড়ছে। বহুদিন ধরেই গিরেই বাইরে পশুরাজের অন্য বাসভূমি ঠিক করার চিন্তাভাবনা চলছিল। অবশেষে সিদ্ধান্ত হয়েছে, গিরের পর বারদায় তৈরি হবে পশুরাজদের দ্বিতীয় বাসভূমি। প্রসঙ্গত, গুজরাটে সিংহদের অস্তিত্ব বিপন্ন, এই অভিযোগে জনস্বার্থ মামলাও দায়ের হয়েছিল আদালতে। সেখানে অভিযোগ করা হয়েছিল গির অরণ্যে পশুরাজদের থাকার মতো উপযুক্ত পরিবেশ নেই। সূত্রের খবর, গিরে ৩০০ সিংহ থাকতে পারে। এখন সেই সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি। সংখ্যা বাড়ায় নতুন এলাকায় চলে যাচ্ছে সিংহরা। নতুন জায়গায় যাওয়ার সময় অনেকেই মারাও যাচ্ছে। সে কারণেই নয়া সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।