Bihar Political Crisis : মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা নীতীশের, গেলেন তেজস্বীর বাড়িতে
Bihar Political Crisis : রাজ্যপালের কাছে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন নীতীশ কুমার। এরপর আবার তেজস্বীর সঙ্গে যেতে পারেন রাজ্যপালের কাছে।
পটনা : মঙ্গলবার আগেই রাজ্য়পাল ফাগু চৌহানের সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়ে নেন জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার। এরপর জেডিইউ সাংসদ-বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সরকার ভেঙে দেওয়ার কথা জানা যায়। তারপর রাজ ভবনের উদ্দেশে রওনা দেন নীতীশ। তারপর রাজ্যপালের কাছে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন নীতীশ কুমার। এর পাশাপাশি নতুন সরকার গঠনের কথা জানিয়েছেন। এই মর্মে রাষ্ট্রীয় দল সহ একাধিক দলের বিধায়কদের সমর্থন মিলিয়ে মোট ১৬০ জন বিধায়কের সমর্থনপত্র জমা দিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর কুমার জানান, ‘আমি ইস্তফা দিয়েছি… এনডিএ জোট থেকে বেরিয়ে আসা ছিল দলের সিদ্ধান্ত।’ এরপর আরজেডি ও জেডিইউ মিলে সরকার গঠনের পথে নীতীশ কুমার। কংগ্রেস ও আরজেডি আগেই জানিয়েছিল, বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করলে নীতীশকে সমর্থন করতে প্রস্তুত তাঁরা। এদিন সকাল ১১ টায় মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে জেডিইউ সাংসদ ও বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসেন নীতীশ কুমার। বেশ কিছুক্ষণ সেই বৈঠক চলে। সেই বৈঠক শেষেই বিজেপি-জেডিইউ জোট ভেঙে দেওয়ার কথা শোনা যায়। এদিকে বিজেপির তরফেও জানানো হয়েছে, তারা এই জোটে থাকতে চায় না। তবে সরকারেই থাকছে নীতীশ তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়। নয়া সরকার গঠনে নীতীশের পাশে থাকার কথা জানিয়েছে আরজেডি ও কংগ্রেস। এদিকে সিপিএমএল লিবারেশন সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, সরকারে না থাকলেও বাইরে থেকে নীতীশ সরকারকে সমর্থনা জানাবে সিপিএমএল লিবারেশন। তিনি এদিন বলেছেন, ‘বিহারে অবিজেপি বিকল্প সরকার তৈরি হলে আমরা সমর্থন দেব।’ এদিকে ইস্তফা দেওয়ার পরই আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের সঙ্গে রাবড়ি দেবীর বাসভবনে যেতে দেখা গিয়েছে নীতীশ কুমরাকে।