Bihar: ‘লালুর অসুস্থতার সুযোগে আরজেডি ভাঙবেন নীতীশ’, বিস্ফোরক দাবি সুশীল মোদীর

Bihar: লালু প্রসাদ যাদবের অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে আরজেডি দলকে ভাঙার চেষ্টা করবেন নীতীশ কুমার, বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিজেপি নেতা সুশীল মোদী।

Bihar: 'লালুর অসুস্থতার সুযোগে আরজেডি ভাঙবেন নীতীশ', বিস্ফোরক দাবি সুশীল মোদীর
নীতীশ কুমার সম্পর্কে বিস্ফোরক দাবি করলেন সুশীল মোদী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 10, 2022 | 7:08 PM

পটনা: আরসিপি সিং-কে বিহারের একনাথ শিন্ডে করতে চেয়েছিল বিজেপি। তাঁকে সামনে রেখেই জেডিইউ দলের মধ্যে নীতীশ কুমার বিরোধী বিদ্রোহ ঘটানোর ষড়যন্ত্র করতে চেয়েছিল গেরুয়া শিবির। এমন অভিযোগকে সামনে রেখেই এনডিএ জোট ত্যাগ করেছে জেডিইউ। বুধবার (১০ অগস্ট), অবশ্য জেডিইউ-এ ভাঙন ধরানোর লক্ষ্যে কোনও ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ অস্বীকার করলেন রাজ্যের বিজেপি নেতা সুশীল কুমার মোদী। তাঁর পাল্টা দাবি, নীতীশ কুমারই তাঁর নয়া সঙ্গী আরজেডি দলে ভাঙন ধরানোর ষড়যন্ত্র করছেন। নয়া মিলিজুলি সরকার চলতি বিধানসভার মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই ভেঙে যাবে বলেও দাবি করেছেন তিনি।

এদিন সুশীল মোদী দাবি করেন, আরসিপি সিং-কে সামনে রেখে কোনও ষড়যন্ত্র করা হয়নি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নীতীশ কুমার সম্মতি দেওয়ার পরই আরসিপি সিং-কে মোদী মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। এমনকি, দুদিন আগেও না কি নীতীশ , কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছিলেন, চিন্তার কোনও কারণ নেই। তারপরও তিনি বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করেছেন। সুশীল মোদী আরও দাবি করেন, নীতীশ কুমার বিজেপিকে যেমন ধোকা দিয়েছেন, তেমনভাবেই রাষ্ট্রীয় জনতা দল বা আরজেডিকেও ধোকা দেবেন। তাঁর আরও অভিযোগ, আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদব এখন গুরুতর অসুস্থ। তাঁর এই অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে আরজেডি দলকে ভাঙার চেষ্টা করবেন নীতীশ।

লালুপ্রসাদের ছেলে তথা আরজেডি নেতা তেজশ্বী যাদবকে এদিন বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা ‘কার্যত মুখ্যমন্ত্রী’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, “নীতীশ কুমার নামেই সরকারের প্রধান, কার্যত মুখ্যমন্ত্রী হলেন তেজস্বী যাদব। তাদের (আরজেডি) শক্তি ৮০, আপনার আছে ৪৫-৪৬। লালু যাদব কীভাবে কাজ করেন তা সকলেই জানেন। নীতীশ কুমার শুধুমাত্র দেখানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রী হবেন, আসল মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবই। আমরা দেখতে চাই যে নতুন বিহার সরকার কার্যত মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বীর সঙ্গে কীভাবে কাজ করে; পরবর্তী নির্বাচনের আগেই এই সরকার পড়ে যাবে।”

সুশীল মোদী আরও বলেছেন, জেডিইউ সুপ্রিমো নীতীশ কুমার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিহারের জনগণকে অপমান করেছেন। গত বিধানসভা নির্বাচনে বিহারের জনগণ এনডিএ জোটকে ভোট দিয়েছিলেন। সেই মতামতকে সম্মান না করে জোট ভেঙে দিয়েছেন নীতীশ। ২০২০ সালের নির্বাচনে এনডিএ জোটের দুই শরিকের মধ্যে বিজেপি জিতেছিল ৭৪টি আসনে, আর জেডিইউ পেয়েছিল মাত্র ৪৩টি আসন। অন্যদিকে, আরজেডি পেয়েছিল ৭৫টি আসন।

প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালে বিহারের পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এর আগে ২০১৫ সালে আরজেডি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে ‘মহাগঠবন্ধন’ গড়ে ভোটে লড়েছিল জেডিইউ। সেবার আরজেডি পেয়েছিল ৮০টি আসন, জেডিইউ ৭১টি। আর বিজেপি আটকে গিয়েছিল ৫৩টি আসনে। তবে, সেই মহাগঠবন্ধন সরকার বেশিদিন টেকেনি। দুই বছর পরই জোট ভেঙে বেরিয়ে গিয়েছিলেন নীতীশ। উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের নামে একটি এফআইআর দায়ের করেছিল সিবিআই। নীতীশ বলেছিলেন, তেজস্বীর দুর্নীতি তাঁর পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করে ফের এনডিএ-র হাত ধরেছিলেন নীতীশ।