Supreme Court : পেটের টানে যৌন পেশায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার বয়স্ক মহিলারা ? রিপোর্ট খতিয়ে দেখতে বলল সুপ্রিম কোর্ট

Supreme Court : আদালত বান্ধবের অভিযোগ, রাজ্য সরকার বিষয়টি জানে। কিন্তু, কোনও পদক্ষেপ করেনি।

Supreme Court : পেটের টানে যৌন পেশায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার বয়স্ক মহিলারা ? রিপোর্ট খতিয়ে দেখতে বলল সুপ্রিম কোর্ট
১৭ মে রাজ্যের বক্তব্য শুনবে সুপ্রিম কোর্ট
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 13, 2022 | 3:28 PM

নয়া দিল্লি : করোনা শুধু মানুষের প্রাণ কাড়েনি। চাকরি হারিয়েছেন বহু মানুষ। সংসার চালাতে অন্য পেশা বেছে নিতে হয়েছে অনেককে। কিন্তু , পেটের টানে যৌন পেশায় (Sex Workers) বয়স্ক মহিলারা ? পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অনেক গরিব পরিবারের বয়স্ক মহিলারা সংসার টানতে এই পেশায় নামতে বাধ্য হয়েছেন। এমনই একটি রিপোর্ট তুলে ধরেছে দ্য প্রিন্ট। আর সেই রিপোর্টকে খতিয়ে দেখতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ১৭ মে রাজ্যের বক্তব্য শুনবে শীর্ষ আদালত।

দেশজুড়ে যৌন কর্মীদের সরকারি সুযোগ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি আবেদনের শুনানিতে দ্য প্রিন্টের রিপোর্টের কথা তুলে ধরেন আদালত বান্ধব পীযূষ কে রায়। বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও এবং বিচারপতি বি আর গভইয়ের বেঞ্চে গতকাল ওই মামলার শুনানি ছিল। সেখানে আদালত বান্ধব পীযূষ কে রায় বলেন, দ্য প্রিন্টের রিপোর্ট অনুসারে, করোনার এই সময়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বহু বয়স্ক মহিলা যৌন পেশায় আসতে বাধ্য হয়েছেন। মূলত গরিব পরিবারের বয়স্ক মহিলারা সংসার চালাতে এই পেশায় আসতে বাধ্য হয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, রাজ্য সরকার বিষয়টি জানে। কিন্তু, কোনও পদক্ষেপ করেনি। রাজ্য সরকারকে বিষয়টি দেখার জন্য নির্দেশ দিতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান তিনি।

দ্য প্রিন্টের ওই রিপোর্টে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন সহ বিস্তৃীর্ণ এলাকার মানুষের দুর্দশার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। করোনার জেরে গরিব মানুষরা আরও কষ্টে পড়েছেন। তাই, পেটের টানে এই পেশায় আসতে বাধ্য হয়েছেন বয়স্ক মহিলারা। এমনকী, অনেক গরিব পরিবারের বৃদ্ধারাও যৌন পেশায় নেমেছেন। সমাজকর্মীরা বলছেন, করোনা ও লকডাউনের জেরে কম বয়সী মহিলাদের এই পেশায় আনতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হচ্ছে নারী পাচারকারীদের। সেই তুলনায় গরিব পরিবারের বয়স্ক মহিলাদের সহজেই এই পেশায় আনতে সক্ষম হচ্ছে।

আদালত বান্ধবের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারের আইনজীবীকে বিষয়টি দেখতে বলে সুপ্রিম কোর্ট। ১৭ মে মামলার পরবর্তী শুনানি। ওই দিন এই নিয়ে রাজ্যের বক্তব্য জানবে শীর্ষ আদালত।