চাইল্ড পর্নোগ্রাফি মামলায় দিল্লি পুলিশকে জবাব টুইটারের

দিল্লি পুলিশ ই-মেইলের মারফত টুইটারের কাছ থেকে সেই অ্যাকাউন্টগুলির বর্ণনা চেয়েছে, যাঁরা চাইল্ড পর্নোগ্রাফি কনটেন্ট টুইটারে আপলোড বা বিক্রি করছেন।

চাইল্ড পর্নোগ্রাফি মামলায় দিল্লি পুলিশকে জবাব টুইটারের
প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jun 30, 2021 | 3:46 PM

নয়া দিল্লি: একের পর এক মামলা। ভারতে কার্যত এফআইআরে বিধ্বস্ত টুইটার (Twitter)। চতুর্থ এফআইআরে টুইটারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বারংবার চাইল্ড পর্নোগ্রাফি আপলোড হওয়ার। সে বিষয়ে দিল্লি পুলিশ জবাব তলব করেছিল। টুইটার এ দিন জানিয়েছে, ‘চাইল্ড পর্নোগ্রাফি’তে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি রয়েছে সংস্থার। টুইটার সাফ জানিয়েছে, অনলাইন প্ল্যাটফর্মে চাইল্ড পর্নোগ্রাফি দেখা বা সেই সংক্রান্ত বিষয় পরিষেবা থেকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

শিশু সুরক্ষা কমিশনের দাবি তারা আগেও বারবার এই বিষয়টায় আলোকপাত করার চেষ্টা করেছেন। কোনও সাড়া না পেয়ে তাঁদের তরফ থেকে দিল্লির পুলিশ কমিশনার ও সাইবার সেলের উদ্দেশে দুটি চিঠি দেওয়া হয়। সেই চিঠি পেয়েই ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। সাইবার সেলের দুই আধিকারিককে এই ইস্যুতে ডেকেও পাঠিয়েছে কমিশন। তাঁদের দাবি, শিশুদের নিয়ে অশ্লীল ভিডিয়ো বা পর্নোগ্রাফিক কনটেন্ট বারবার পোস্ট করা হয়েছে টুইটারে।

দিল্লি পুলিশ ই-মেইলের মারফত টুইটারের কাছ থেকে সেই অ্যাকাউন্টগুলির বর্ণনা চেয়েছে, যাঁরা চাইল্ড পর্নোগ্রাফি কনটেন্ট টুইটারে আপলোড বা বিক্রি করছেন। ২০১৯ সালে টুইটারের একজন মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, সংস্থা চাইল্ড পর্নোগ্রাফি রোধের জন্য নতুন ফিচার এনেছে। এ দিন টুইটার আশ্বাস দিয়েছে, প্ল্যাটফর্মে চাইল্ড পর্নোগ্রাফি রোধের জন্য যাবতীয় যা যা সব করবে, প্রয়োজনে প্রযুক্তিতেও আরও টাকা ঢালবে সংস্থা।

উল্লেখ্য, টুইটারের সঙ্গে কেন্দ্রের সংঘাত চরমে। সংঘাতের সূত্রপাত কেন্দ্রের নয়া ডিজিটাল নিয়ম থেকে। নীতি না মানার অভিযোগ ওঠে সংস্থার বিরুদ্ধে। চলতি মাসেই আইনি রক্ষা কবচ হারায় টুইটার। কেন্দ্রের নয়া তথ্য ও প্রযুক্তি আইন না মানায় সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থার থেকে আইনি রক্ষাকবচ তুলে নেয় কেন্দ্র। অন্য দিকে, গাজিয়াবাদকাণ্ডে উত্তর প্রদেশ পুলিশের তরফে টুইটারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। কেন্দ্রের তরফেও জানানো হয়েছে, ওই বিতর্কিত পোস্টটি যিনি করেছেন, তার পাশাপাশি টুইটারকেও আইনি শাস্তির মুখে পড়তে হবে। তারপর টুইটারের ওয়েবসাইটে ভারতের বিকৃত ম্যাপ থাকায়ও আইনি জটিলতায় জড়িয়েছে টুইটার।

আরও পড়ুন: ‘ড্রোন রাস্তায় তৈরি হয় না, রাষ্ট্রের সহযোগিতা থাকে’, কোন দিকে ইঙ্গিত সেনা কম্যান্ডারের?