Allahabad High Court: ‘এক মাস গরুর সেবা, গোশালাতে ১ লক্ষ টাকা দান’, জামিন দিয়ে শর্ত হাইকোর্টের

Allahabad High Court: আদালতের কাছে অভিযুক্ত ব্যক্তি জানিয়েছিলেন, এফআইরে তাঁর নামের কোনও উল্লেখ ছিল না। এছাড়াও তদন্তের পর দেখা গিয়েছিলব আবেদনকারীর জবানবন্দিতে জটিলতা রয়েছে।

Allahabad High Court: 'এক মাস গরুর সেবা, গোশালাতে ১ লক্ষ টাকা দান', জামিন দিয়ে শর্ত হাইকোর্টের
ছবি: ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 04, 2022 | 12:28 PM

এলাহাবাদ: বেশ কয়েক বছর ধরেই গোরক্ষা এবং গো-হত্যা নিয়ে বারবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনীতি। বৃহস্পতিবার, এলাহাবাদ হাইকোর্ট (Allahabad High Court) উত্তর প্রদেশ গরু হত্যা প্রতিরোধ আইনে অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে জামিন দিয়েছে। কিন্তু অভিযুক্তের ওপর বেশ কিছু শর্ত চাপানো হয়েছে। নির্দেশে হাইকোর্ট জানিয়েছে, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর এক মাস গোশালাতে গরুর সেবা করতে হবে। সালিম ওরফে কালিয়া নামের ব্যক্তিকে জামিন দেওয়ার জন্য বিচারপতি শেখর কুমার যাদবের (Justice Sekhar Kumar Yadav) সিঙ্গেল বেঞ্চ এই নির্দেশের কথা জানিয়েছে। জানা গিয়েছে, গরু হত্যা প্রতিরোধ আইনের ৩ ও ৮ নম্বর ধারায় সালিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল। এছাড়াও আদালত অভিযুক্ত সালিমকে জেল থেকে মুক্তির ১ মাসের মধ্যে বরেলির নথিভুক্ত কোনও একটি গোশালাতে ১ লক্ষ টাকা দান করার নির্দেশ দিয়েছে।

আদালতের কাছে অভিযুক্ত ব্যক্তি জানিয়েছিলেন, এফআইরে তাঁর নামের কোনও উল্লেখ ছিল না। এছাড়াও তদন্তের পর দেখা গিয়েছিলব আবেদনকারীর জবানবন্দিতে জটিলতা রয়েছে। আদালতে সওয়ার জবাবের সময় অভিযুক্ত সালিমের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, গ্রেফাতারির পর তাঁর বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়। কিন্তু কোনও মামলাতেই এখনও অবধি কোনও প্রমাণ মেলেনি এমনকী তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রত্যক্ষদর্শীও নেই। সালিমের আইনজীবী আদালতকে জানিয়েছিলেন, যে প্রমাণ পেশ করা হয়েছে, তা সর্বৈব মিথ্যে এবং ভুয়ো। নিজের দাবির সপক্ষে পাল্টা বেশ কিছু প্রমাণ দাখিল করেন অভিযুক্তের আইনজীবী। আদালতকে অভিযুক্তের আইনজীবী জানিয়েছিলেন মামলা দায়ের হওয়ার পর ২০২১ সালের অগস্ট মাস থেকে অভিযুক্ত জেল হেফাজতে রয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিচারপতি শেখর কুমার যাদবের সিঙ্গেল বেঞ্চ বিশেষ পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল যে গরুকে দেশের জাতীয় পশু হিসেবে ঘোষণা করা উচিত কারণ ‘গরু ভারতীয় সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ’, সেই কারণে গোমাংস খাওয়া কারোর মৌলিক অধিকার হতে পারে না। বিচারপতি যাদব নির্দেশে জানিয়েছিলেন, বিজ্ঞানীরা মনে করেন, গরু একমাত্র প্রাণী যে অক্সিজেন প্রশ্বাসেও অক্সিজেন ত্যাগ করে। হিন্দিতে লেখা নির্দেশে বিচারপতি যাদব জানিয়েছেন, গোমাংস যাঁরা ভক্ষণ করেন এটা শুধু তাদের ই মৌলিক অধিকার নয়, বরং যাঁরা গরুর পুজো করেন এবং গরুর ওপর নির্ভরশীল তাদেরও মৌলিক অধিকার রয়েছে।