PM Narendra Modi On Language : ‘বিজেপি সকল আঞ্চলিক ভাষাকে গুরুত্ব দেয়,’ ভাষা বিবাদে বিরোধীদের একহাত নিলেন মোদী
PM Narendra Modi : বিজেপির জাতীয় বৈঠকে এদিন ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভাষা নিয়ে বিতর্কের মাঝেই তিনি এদিন বলেছেন সব আঞ্চলিক ভাষাকে সম্মান করে বিজেপি।
জয়পুর : ভারতে ভাষা নিয়ে তরজা কোনও নতুন বিষয় নয়। ভারতীয় জনতা পার্টি ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই হিন্দিকে রাষ্ট্রভাষা করা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। বিজেপি দাবি তোলে দেশের বেশিরভাগ রাজ্য়ে হিন্দির প্রচলন বেশি। তাই সরকারি যেকোনও কাজকর্মে হিন্দিকেই গুরুত্ব দেওয়া হোক। প্রতিরোধের সুর দেখা যায় দক্ষিণী রাজ্যগুলি থেকে। তাঁরা বরাবরই নিজেদের মাতৃভাষা নিয়ে স্বাভিমান বোধ করেন। নিজেদের মাতৃভাষা উপেক্ষা করে হিন্দিকে আপন করে নিতে চান না তাঁরা। এই পটভূমিতে সম্প্রতি আবার অমিত শাহ বলেছিলেন ইংরেজির বিকল্প হিসেবে হিন্দিকে গ্রহণ করা উচিত। কিন্তু শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কণ্ঠে শোনা গেল ‘অন্য সুর’। তিনি এদিন বিজেপির জাতীয় বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে বলেছেন যে, বিজেপি সব আঞছ ভাষাকে সম্মান করে।
শুক্রবার রাজস্থানের জয়পুরে অনুষ্ঠিত বিজেপির জাতীয় দলীয় বৈঠকে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি সেখানে বিজেপির বিভিন্ন জনহিতকর প্রকল্প নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি দেশের ভাষা ও সংস্কৃতির বিষয়ে কথা বলেন। বিজেপির এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ‘বিজেপিই ভারতের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি ও বিবিধ ভাষাকে প্রথমবারের জন্য রাষ্ট্রের স্বাভিমানের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছে।’ নয়া শিক্ষানীতিতে স্থানীয় ভাষাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। এদিন অনুষ্ঠান থেকে তিনি বলেছেন, ‘নয়া শিক্ষানীতিতে স্থানীয় ভাষাকে গুরুত্ব দেওয়া প্রতিটি ভাষার প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন।’ বিজেপি সকল ভারতীয় ভাষাকে ভারতের আত্মা বলে মনে করে। ভাষা নিয়ে কথা বলার কারণ জানিয়ে তিনি নিজেই বলেন, ‘আমি এই বিষয়ে আরও বলছি কারণ বিগত কয়েকদিন ধরে দেশে ভাষা নিয়ে নতুন বিবাদ তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই বিষয়ে দেশবাসীদের আমাদের সবসময় সতর্ক করতে হবে। বিজেপি ভারতের প্রতিটি ভাষায় ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতিফলন দেখে। প্রত্যেকটি ভাষাকে পূজনীয় মনে করে।’
সম্প্রতি, ‘এক দেশ এক ভাষা’ নিয়ে সুর চড়ান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যেহেতু হিন্দি দেশের বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে সংযোগ রক্ষা করে তাই ইংরেজির পরিবর্তে হিন্দিকেই গ্রহণ করা উচিত। সম্প্রতি হিন্দিকে বিকল্প ভাষা হিসেবে গ্রহণ করার ক্ষেত্রে সহমত পোষণ করেন বিরোধী দল শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত। ‘এক দেশ, এক ভাষা’ কার্যকর করা নিয়ে বিজেপি নেতা অমিত শাহকে চ্যালেঞ্জও জানান তিনি।