নয়া দিল্লি: শুধু জনদরদী প্রকল্পই নয়, সাধারণ মানুষ সেই প্রকল্পে কতটা উপকৃত হচ্ছেন, তা জানতে নিয়মিত উপভোক্তাদের সঙ্গে কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi)। আজ, বৃহস্পতিবারও গুজরাটে (Gujarat) সরকারি প্রকল্পের সুবিধাপ্রাপ্ত জনগণের সঙ্গে কথা বলছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আবেগঘন হয়ে পড়লেন তিনি। ধরে এল গলা, কথা বলতে গিয়েও থেমে গেলেন তিনি। কেন জানেন?
চলতি বছরেই বিধানসভা নির্বাচন গুজরাটে। এদিন উৎকর্ষ সমারোহ উপলক্ষে রাজ্যবাসীদের সঙ্গে ভিডিয়ো বার্তায় কথা বলছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই আয়ুব পটেল নামক এক দৃষ্টিহীন ব্যক্তির সঙ্গে তিনি কথা বলতে গিয়ে আবেগঘন হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী। ওই ব্যক্তি জানান, তাঁর মেয়ে ডাক্তারি পড়তে চায়। পরের কথাটুুকু বলতে গিয়ে ওই ব্যক্তি ও তাঁর মেয়ে দুইজনই আবেগঘন হয়ে পড়েন। তাঁদের দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আয়ুব পটেল নামক ওই ব্যক্তি যখন কথা বলছিলেন, সেই সময় প্রধানমন্ত্রী জিজ্ঞাসা করেন যে তিনি নিজের মেয়েদের লেখাপড়া করছেন কিনা? জবাবে ওই ব্যক্তি জানান, তাঁর তিন মেয়েই স্কুলে পড়ে। দুইজন সরকারি ভাতাও পায়। তাঁর বড় মেয়ে আলিয়া বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ে। আগামিদিনে সে চিকিৎসক হতে চায় বলেও জানান ওই ব্যক্তি।
এরপরে প্রধানমন্ত্রী ওই কিশোরীকে প্রশ্ন করেন যে কেরিয়ার হিসাবে মেডিক্যালকে কেন বেছে নিতে চায় সে? ওই কিশোরী বলেন, “আমার বাবা যে সমস্যায় ভুগছে, তার জন্যই ডাক্তারিকে বেছে নিতে চাই”। এরপরই আয়ুব জানান যে, তাঁর দৃষ্টিশক্তি অত্যন্ত ক্ষীণ। সৌদি আরবে তিনি যখন কাজ করতেন, তখন ভুল আই ড্রপ দেওয়ার কারণে দৃষ্টিশক্তি হারাতে থাকেন।
#WATCH | While talking to Ayub Patel, one of the beneficiaries of govt schemes in Gujarat during an event, PM Modi gets emotional after hearing about his daughter's dream of becoming a doctor & said, "Let me know if you need any help to fulfill the dream of your daughters" pic.twitter.com/YuuVpcXPiy
— ANI (@ANI) May 12, 2022
বাবা-মেয়েকে আবেগঘন হয়ে পড়তে দেখে থেমে যান প্রধানমন্ত্রীও। কথা বলতে গিয়ে তাঁর গলা ধরে আসে, চোখও ছলছল করে ওঠে। পরে তিনি ওই কিশোরীর প্রশংসা করে বলেন, “তোমার সমবেদনাই তোমার শক্তি”। ওই পরিবার ঈদ ও রমজ়ান পালন করেছে কিনা, তাও জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। পরে বলেন, “ওর স্বপ্ন পূরণ করতেই হবে আপনাদের।” যদি কোনও সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তবে যেন তাঁকে জানানো হয়, এই কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী।