Hyderabad Physical Assault Case: গাড়ির ভিতরে চলছে পৈশাচিক অত্যাচার, বাইরে তখন পাহারায় বন্ধুরা! চাঞ্চল্যকর বয়ান অভিযুক্তের

Hyderabad Physical Assault Case: নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, শনিবার একটি গেট-টুগেদার পার্টিতে যোগ দিতেই ওই পাবে গিয়েছিল সে। বিকেল ৫টা-৬টা নাগাদ পাব থেকে বেরিয়ে আসে এবং অভিযুক্তদের সঙ্গেই সে বেরিয়ে যায়।

Hyderabad Physical Assault Case: গাড়ির ভিতরে চলছে পৈশাচিক অত্যাচার, বাইরে তখন পাহারায় বন্ধুরা! চাঞ্চল্যকর বয়ান অভিযুক্তের
সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করা হয় অভিযুক্তদের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 04, 2022 | 8:07 AM

হায়দরাবাদ: হায়দরাবাদ নাবালিকা ধর্ষণ কাণ্ডে পুলিশের হাতে উঠে আসছে আরও বেশ কিছু নতুন তথ্য। গত সপ্তাহের শনিবার হায়দরাবাদের অভিজাত এলাকা জুবিলি হিলসে এক ১৭ বছরের কিশোরীকে গাড়ির ভিতরে ধর্ষণ করে কমপক্ষে পাঁচজন। অভিযুক্তদের মধ্যে তিনজনই নাবালক বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই শুক্রবার রাতে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। খোঁজ চলছে বাকিদেরও। যে পাব থেকে ওই কিশোরীকে গাড়িতে ‘লিফট’ দিয়েছিল অভিযুক্তরা, সেখানের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হয়েছে। সেই ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ওই কিশোরী পাবের বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তার পাশেই দাঁড়িয়ে রয়েছে অভিযুক্তরা।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে তিনজন স্কুলপড়ুয়াও রয়েছে। শনিবার রাতে জুবিলি হিলসের ওই পাবে তারাও পার্টি করতে এসেছিল। সেখানেই ওই কিশোরীর সঙ্গে তাদের আলাপ হয় এবং তারা কিশোরীকে বাড়িতে ছেড়ে আসার প্রস্তাব দেয়। প্রথমে না করলেও, পরে ওই কিশোরী তাদের সঙ্গে যেতে রাজি হয়ে যায়। কিন্তু অভিযুক্তরা পার্ক করা একটি ইনোভা গাড়ির ভিতরে নিয়ে গিয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। অভিযুক্তকে জেরা করে জানা গিয়েছে, তারা পালা করে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেছিল। যখন একজন গাড়ির ভিতরে ছিল, তখন বাকিরা গাড়ির বাইরে পাহারা দিচ্ছিল। অভিযুক্তদের মধ্যে প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের ছেলে ও নাতিও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তদের অধিকাংশই একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া। প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হওয়ায় তাদের কাছে দামি গাড়ি, মোবাইল ফোন রয়েছে। এদের মধ্যে একজনের পরিচয় জানা গিয়েছে, যে এআইএমআইএম বিধায়কের ছেলে। তবে অভিযুক্তের পরিবারের দাবি, ধর্ষণের ঘটনা ঘটার অনেক আগেই সে ওই পাব থেকে চলে এসেছিল। তার কাকা আমেরিকা যাচ্ছে, তাই দুই ভাই মিলে বিমানবন্দরে তাকে ছাড়তে গিয়েছিল। অন্যদিকে, এক মন্ত্রীর নাতিও ধর্ষণ কাণ্ডে জড়িত বলে মনে করা হচ্ছে।

নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, শনিবার একটি গেট-টুগেদার পার্টিতে যোগ দিতেই ওই পাবে গিয়েছিল সে। বিকেল ৫টা-৬টা নাগাদ পাব থেকে বেরিয়ে আসে এবং অভিযুক্তদের সঙ্গেই সে বেরিয়ে যায়। গাড়ি নিয়ে অভিযুক্তরা প্রথমে একটি কেকের দোকানে যায়। এরপর একটি পার্কিং লটে নিয়ে গিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করে তারা। ধর্ষণের পর অভিযুক্তরা কিশোরীকে ফের ওই পাবেই নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। সেখান থেকে কিশোরী তাঁর বাবাকে ফোন করে এবং নিয়ে যেতে বলে।  নির্যাতিতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। পরে কিশোরীর মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হলে জানা যায় যে, তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে।

ইতিমধ্যেই পুলিশ ওই পাবের মালিককেও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। কীভাবে নাবালক-নাবালিকাদের ঢোকার অনুমতি দেওয়া হল এবং তাদের মদ সার্ভ করা হয়েছিল কিনা, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।