Rajasthan Congress Infighting: ‘সব পদ ওকেই দিয়ে দিন’, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি মন্ত্রীর
Rajasthan Congress Infighting: চন্দনার এই টুইটের কয়েক মিনিট পরেই রাজস্থানের বিজেপি প্রধান সতীশ পুনিয়া কংগ্রেস নেতাকে কটাক্ষ করে লেখেন, "জাহাজ ডুবতে শুরু করেছে...২০২৩ সালে কী ফল হতে চলেছে, তার পূর্বাভাস এখন থেকেই দেখা যাচ্ছে।"
জয়পুর: কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব যেন মিটতেই চাইছে না। শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে মন্ত্রীরা, সকলেই সরব হচ্ছেন রাজ্য ও শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। এ বার রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের কাছে মন্ত্রিত্ব পদ থেকে অব্যাহতি চাইলেন রাজ্যের মন্ত্রী অশোক চন্দনা। রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান সচিব কুলদীপ রাঙ্কাকে দিয়ে দেওয়া হোক বলে তিনি জানিয়েছেন।
রাজস্থানের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ, স্কিল ডেভেলপমেন্ট, বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী অশোক চান্দনা। বৃহস্পতিবার তিনি রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের কাছে টুইটে অনুরোধ জানান, তাঁকে যেন মন্ত্রিত্ব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তিনি টুইটে লেখেন, “মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী, আমার একটি ব্যক্তিগত অনুরোধ রয়েছে আপনার কাছে। এই মন্ত্রী পদ থেকে আমায় অব্যাহতি দিন এবং আমার হাতে যে বিভাগগুলির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তা কুলদীপ রাঙ্কাজীকে দিয়ে দিন। কারণ এমনিতেও উনি সব বিভাগেরই মন্ত্রী। ধন্যবাদ।”
माननीय मुख्यमंत्री जी मेरा आपसे व्यक्तिगत अनुरोध है की मुझे इस ज़लालत भरे मंत्री पद से मुक्त कर मेरे सभी विभागों का चार्ज श्री कुलदीप रांका जी को दे दिया जाए, क्योंकि वैसे भी वो ही सभी विभागों के मंत्री है। धन्यवाद
— Ashok Chandna (@AshokChandnaINC) May 26, 2022
চন্দনার এই টুইটের কয়েক মিনিট পরেই রাজস্থানের বিজেপি প্রধান সতীশ পুনিয়া কংগ্রেস নেতাকে কটাক্ষ করে লেখেন, “জাহাজ ডুবতে শুরু করেছে…২০২৩ সালে কী ফল হতে চলেছে, তার পূর্বাভাস এখন থেকেই দেখা যাচ্ছে।”
जहाज़ डूब रहा है… 2023 के रुझान आने शुरू। pic.twitter.com/dk1RhEfsPr
— Satish Poonia (@DrSatishPoonia) May 26, 2022
এদিকে, রাজস্থানের বুন্দির বিধায়ক চান্দনা ছাড়াও সম্প্রতিই রাজস্থানের আদিবাসী নেতা তথা বিধায়ক গণেশ ঘোগরাও জমির দলিলপত্র বিতরণ নিয়ে রাজ্যের আমলাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। রাজ্যের যুব কংগ্রেসের প্রধান ঘোগরা গত ১৮ মে নিজের পদ থেকে ইস্তফা দেন। তিনি অভিযোগ করেন যে বিধায়ক হওয়া সত্ত্বেও দলে তাঁকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় তাঁর মতামত গ্রহণ করা হচ্ছে না।
সামনেই রাজ্যসভা নির্বাচন। ঠিক তার আগেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একের পর এক মন্ত্রী ও বিধায়ক ক্ষোভ উগরে দেওয়ায়, এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। বিগত প্রায় দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ও প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলটের মধ্যে বিরোধ লেগেই রয়েছে। একাধিকবার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে গুরুত্বপূর্ণ পদের দাবি নিয়ে সরব হয়েছিলেন সচিন পাইলট। বিগত তিন দশক ধরে কংগ্রেস রাজস্থানে শাসক দলের ক্ষমতায় থাকলেও, যেভাবে কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব বাড়ছে, তাতে আসন্ন নির্বাচনে তার বিরূপ প্রভাব পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।