Sharad Pawar: বিজেপির জয় দেখেও অবাক হচ্ছেন না শরদ পাওয়ার, বলছেন অতিরিক্ত ভোটও এসেছে

Sharad Pawar: মহারাষ্ট্রে চলেছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে শাসক দল।

Sharad Pawar: বিজেপির জয় দেখেও অবাক হচ্ছেন না শরদ পাওয়ার, বলছেন অতিরিক্ত ভোটও এসেছে
রাজ্যসভা ভোটের ফল নিয়ে মুখ খুললেন পাওয়ার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 11, 2022 | 12:14 PM

নয়া দিল্লি: বিজেপির জয় দেখেও অবাক হচ্ছেন না এনসিপি প্রধান শরোদ পাওয়ার। রাজ্যসভার ভোটে মহারাষ্ট্রে তিন আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। বাকি তিন আসন পেয়েছে মহারাষ্ট্র বিকাশ আগাড়ি তথা রাজ্যের শাসক জোট। আর এই ফলাফল সামনে আসার শরোদ পাওয়ারের দাবি, হিসেব ঠিকই আছে। বরং শাসক জোটের ঝুলিতে একটা অতিরিক্ত ভোট এসেছে বলে দাবি করেছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, এক নির্দল বিধায়ক এনসিপি-কে ভোট দিয়েছেন। ভোট প্রক্রিয়া নিয়ে অভিযোগ থাকায় মহারাষ্ট্রের ফল প্রকাশ হয় অনেক দেরিতে। শনিবার ভোরে জানা গিয়েছে সেই ফল।

মহারাষ্ট্রের মোট ৬ টি আসনের মধ্যে তিনটিতে জয়ী হয়েছে বিজেপি। এই ফলাফল সামনে আসার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শরদ পাওয়ার বলেন, ‘এই ফলাফল দেখে আমি একটি অবাক হচ্ছি না। আপনারা যদি মহা বিকাশ আগাড়ি জোটের সবকটি দল এনসিপি, শিব সেনা, কংগ্রেসের ভোট যদি দেখেন, তাহলে দেখা যাবে একটা অতিরিক্ত ভোট এসেছে ঝুলিতে। এটা জোটের ভোট নয়, এটা বিপক্ষ থেকে এসেছে।’

শরদ পাওয়ার জানিয়েছেন, প্রফুল পটেল একটি অতিরিক্ত ভোট পেয়েছেন। তাঁর দাবি, নির্দল বিধায়কের ওই ভোট বিজেপির পাওয়ার কথা ছিল। তবে ওই বিধায়কের কথা তিনি জানতেন বলেও উল্লেখ করেছেন পাওয়ার। তিনি মনে করেন, রাজ্যসভার এই ফলাফল উদ্ধব ঠাকরে সরকারের জন্য কোনও ধাক্কাই নয়।

মহারাষ্ট্রের ষষ্ঠ আসনে বিজেপির ধনঞ্জয় মহাদিকের কাছে হেরে গিয়েছেন শিব সেনার সঞ্জয় পাওয়ার। ওই সিট নিয়ে ঝুঁকি ছিল বলেই উল্লেখ করেছেন পাওয়ার। ধনঞ্জয় মহাদিক ছাড়াও জয়ী হয়েছেন বিজেপির পীযূষ গোয়েল, অনিল বোন্দে। আর শাসক জোটের তরফে জয়ী হয়েছেন কংগ্রেসের ইমরান প্রতাপগড়ি, এনসিপি-র প্রফুল পটেল ও শিব সেনার সঞ্জয় রাউত। পীযূষ গোয়েল ও অনিল বোন্দে উভয়েই ৪৮ টি করে ভোট পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। একজন প্রার্থীর জেতার জন্য ৪১ টি করে ভোট প্রয়োজন।

উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রের ভোট প্রক্রিয়া নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল। বিজেপি ও শাসক জোট উভয়েই ভোট বাতিলের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল। শাসক জোট তথা মহা বিকাশ আগাড়ির দাবি ছিল, এক বিজেপি বিধায়ক ও এক নির্দল বিধায়কের ভোট বাতিল করতে হবে। অন্যদিকে, বিজেপিও দাবি করে, শাসক জোটের তিন বিধায়কের ভোট বাতিল করতে হবে। পরে সেই জট কেটে গেলে তবেই শুরু হয় গণনা।