মুখ্যমন্ত্রীকে ‘মাফিয়া’ বলায় কমিশনের কোপে পড়ে আদালতের দ্বারস্থ কমলনাথ

কুরুচিকর মন্তব্যের কারণে কমলনাথের (Kamal Nath) ‘তারকা প্রচারক’-এর পদমর্যাদা তুলে নিল নির্বাচন কমিশন (Election Comission)।

মুখ্যমন্ত্রীকে ‘মাফিয়া’ বলায় কমিশনের কোপে পড়ে আদালতের দ্বারস্থ কমলনাথ
কুরুচিকর মন্তব্যের কারণে কমলনাথের (Kamal Nath) ‘তারকা প্রচারক’-এর পদমর্যাদা তুলে নিল নির্বাচন কমিশন (Election Comission)।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 31, 2020 | 2:07 PM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: শিবরাজ সিং চৌহান (Shivraj Singh Chouhan) ‘মাফিয়া’, ‘মিলাওট খোর’! বিজেপি প্রার্থী ইমারতি দেবী ‘আইটেম’! কুরুচিকর মন্তব্যের কারণে কমলনাথের (Kamal Nath) ‘তারকা প্রচারক’-এর পদমর্যাদা কেড়ে নিল নির্বাচন কমিশন (Election Comission)। এরপরই সু্প্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন মধ্য প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা কমলনাথ।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, “আদর্শ নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ করা এবং তাঁর জন্য জারি করা সমস্ত অ্যাডভাইজরির প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদশর্নের কারণে মধ্য প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথকে দেওয়া তারকা প্রচারকের পদমর্যাদা ফিরিয়ে নেওয়া হল। রাজ্যের উপনির্বাচনের (Madhya Pradesh By Election 2020) আগে এখন থেকেই এই নির্দেশ কার্যকর হবে।”

পাল্টা কমলনাথের বক্তব্য, “তারকা প্রচারকদের জন্য কী এমন পোস্ট বা বিশেষ মর্যাদা আছে? নির্বাচন কমিশন আমাকে কোনও নোটিস দেয়নি, এমনকি এই বিষয়ে কিছু জানায়ওনি। ভোটের মাত্র ২ দিন আগে তাঁরা কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল একমাত্র তাঁরাই জানেন।” নির্বাচন কমিশনের নেওয়া সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা আরও বলেন, “আমি দীর্ঘদিন লোকসভার সদস্য ছিলাম। সেখানে ইস্যু ভিত্তিক তালিকায় (এজেন্ডা শিট) আইটেম নম্বর ওয়ান, আইটেম দ্বিতীয় ওয়ান লেখা হত। সেটাই আমার মাথায় ছিল। আমি কাউকে অশ্রদ্ধা করার জন্য কিছু বলিনি। এরপরও যদি আমার বক্তব্যে কেউ অসম্মানিত বোধ করেন তাহলে আমি দুঃখিত।”

প্রবীণ আইনজীবী তথা রাজ্যসভার সাংসদ বিবেক তনখা সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, কমলনাথ নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। দ্রুততার সঙ্গে এই মামলার নিষ্পত্তি চাওয়া হয়েছে।

তবে কমলনাথ একা নন, আদর্শ নির্বাচন বিধিভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে ইন্দোরের ভূমিপুত্র তথা বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র বিরুদ্ধেও। ১৪ অক্টোবর, একটি মিছিলে দিগ্বীজয় সিংকে ‘চুন্নু’ এবং কমলনাথকে ‘মুন্নু’ বলে মন্তব্য করেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। নির্বাচন কমিশন তাঁকেও সতর্ক করে।

আগামী ৩ নভেম্বর মধ্য প্রদেশের (Madhya Pradesh) ২৮টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন। ক্ষমতায় ফিরে আসতে হলে কমলনাথের চাই ২৮ আসনই। অন্যদিকে নিজের সরকার টিকিয়ে রাখতে শিবরাজ সিং চৌহানের চাই ৮টি আসনে জয়। প্রসঙ্গত, মধ্য প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে সরকার গড়ে কংগ্রেস। ১৫ মাস সরকার চলার পরই ২২ কংগ্রেস বিধায়কের বিদ্রোহে ক্ষমতা হারান কমলনাথ। ওই সময়ই রাজ্য এবং জাতীয় রাজনীতি উত্তাল করে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দেন জ্যোতিরিদিত্য সিন্ধিয়া। এবার সেই সিন্ধিয়াদের গড়েই উপনির্বাচন। গোয়ালিয়র ও চম্বলের ১৬টি আসনে ভোট। নিজে প্রতিদ্বন্দ্বীতা না করলেও এই লড়াই-যে কংগ্রেস বনাম বিজেপির পাশাপাশি জ্যোতিরাদিত্য বনাম কংগ্রেসেরও, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।