Shraddha Murder Case Update: ‘অনুশোচনার লেশমাত্র নেই’, পলিগ্রাফ টেস্টে কী বলল আফতাব?

Polygraph Test of Aftab Ameen Poonawalla: যখন কোনও ঘটনার তদন্তে যথাযথ প্রমাণ না থাকে বা অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পোক্ত মামলা তৈরি করা যায় না, তখনই সাধারণত নারকো পরীক্ষা করা হয়। শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনের ঘটনাতেও তাই-ই হয়েছে।

Shraddha Murder Case Update: 'অনুশোচনার লেশমাত্র নেই', পলিগ্রাফ টেস্টে কী বলল আফতাব?
ছবি সৌজন্যে: টুইটার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 30, 2022 | 12:47 PM

নয়া দিল্লি: লিভ-ইন সঙ্গীকে খুন করে ৩৫ টুকরো করেছিল আফতাব। ১৮ দিন ধরে সেই দেহ দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে ফেলে এসেছিল সে। সত্য উদ্ধার করতেই আফতাবের পলিগ্রাফ পরীক্ষার (Polygraph Test) সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পুলিশ। সেই পলিগ্রাফ পরীক্ষাতেই এবার আফতাব স্বীকার করে নিল যে প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়াকারকে (Shradda Walker Murder Case) সেই খুন করেছে। এমনটাই জানাল পুলিশ। সূত্রের খবর, পলিগ্রাফ পরীক্ষায় আফতাব স্বীকারোক্তি দেওয়ার সময় তাঁর মধ্যে কোনও আক্ষেপ বা অনুশোচনাবোধ ছিল না। আগামী ১ ডিসেম্বর আফতাবের নারকো অ্যানালাইসিস পরীক্ষা (Narco Analysis Test) করা হবে। তার আগেই রুটিন মাফিক পলিগ্রাফ পরীক্ষা করা হয় আফতাবের। আর সেখানেই আফতাব শ্রদ্ধাকে খুনের কথা স্বীকার করে নিল। উল্লেখ্য, আদালতে নারকো অ্যানালাইসিস পরীক্ষা বা পলিগ্রাফ পরীক্ষার ফলকে প্রমাণ হিসাবে গণ্য করা হয় না। তবে এই পরীক্ষা থেকে পাওয়া জবাবের মাধ্যমে কোনও প্রমাণ উদ্ধার করা হলে, তা আদালতে পেশ করা যায়।

মঙ্গলবারই দিল্লির আদালতের তরফে দিল্লি পুলিশকে নারকো পরীক্ষার অনুমতি দেওয়া হয়। আগামী ১ ও ৫ ডিসেম্বর দিল্লির রোহিনীর ফরেন্সিক আদালতে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সত্য উদঘাটনের এই পরীক্ষায় একধরনের ড্রাগ ব্যবহার করা হয়, যাকে ট্রুথ সেরাম বলা হয়। সোডিয়াম পেন্টোথাল, স্কোপোলামাইন ও সোডিয়াম অ্যামাইটাল দিয়ে তৈরি এই সেরাম কোনও ব্যক্তির উপরে প্রয়োগ করলে তিনি অ্যানেসথেসিয়ার বিভিন্ন ধাপে প্রবেশ করেন। হাইপোনেটিক অবস্থায় জ্ঞান-বুদ্ধি লোপ পাওয়ায়, সেই সময় সত্যি কথা বলার সম্ভাবনাই বেশি থাকে।

যখন কোনও ঘটনার তদন্তে যথাযথ প্রমাণ না থাকে বা অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পোক্ত মামলা তৈরি করা যায় না, তখনই সাধারণত নারকো পরীক্ষা করা হয়। শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনের ঘটনাতেও তাই-ই হয়েছে। অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালা তাঁর প্রেমিকা তথা লিভ-ইন সঙ্গী শ্রদ্ধা ওয়াকারকে চলতি বছরের মে মাসে খুন করেছিল। কিন্তু চলতি মাসের শুরুতে সেই দেহের টুকরোগুলি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া দেহের টুকরোগুলি শ্রদ্ধারই কিনা, তা এখনও জানা যায়নি। নমুনাগুলি ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে, যার রিপোর্ট আসা এখনও বাকি।

আফতাব আমিনের মুখ থেকে সত্য উদ্ধার করতে না পারায়, দিল্লি পুলিশের তরফে আদালতে নারকো পরীক্ষার অনুমতি চাওয়া হয়। আফতাবেরও অনুমতি নেওয়া হয় এই পরীক্ষার জন্য।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের গত ১৮ মে লিভ-ইন সঙ্গী শ্রদ্ধাকে খুন করে আফতাব। এরপরে সেই দেহের ৩৫ টুকরো করে এবং ফ্রিজে ভরে রেখে দেয়। ১৮দিন ধরে দিল্লির ছত্তরপুরের জঙ্গলসহ বিভিন্ন জায়গায় সেই দেহের টুকরো ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে আসে আফতাব। তাঁর পরিকল্পনা ছিল, জঙ্গলে থাকা শেয়াল-কুকুরই শ্রদ্ধার দেহের টুকরোগুলি খেয়ে নেবে। কিন্তু অক্টোবর মাসে মুম্বইয়ের ভাসাইয়ে মেয়ের নিখোঁজ ডায়েরি করেন শ্রদ্ধার বাবা। জেরার জন্য তলব করা হয় আফতাবকেও। শ্রদ্ধার মোবাইল লোকেশনের সঙ্গে আফতাবের বয়ান না মেলার পরই গত ১২ নভেম্বর গ্রেফতার করা হয় আফতাবকে।