Modi on Agnipath: ‘কিছু কিছু সিদ্ধান্ত অন্যায্য মনে হয়…’, দেশজুড়ে ‘অগ্নিপথ’ বিক্ষোভের মধ্যে মোদীর দৃঢ় বিবৃতি

Modi on Agnipath: সেনা নিয়োগ সংক্রান্ত অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে দেশজুড়ে প্রতিবাদ এবং বিরোধীদের তীব্র সমালোচনার মধ্যে সোমবার (২০ জুন) এই বিষয়ে প্রথমবারের মতো মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কী বললেন তিনি?

Modi on Agnipath: 'কিছু কিছু সিদ্ধান্ত অন্যায্য মনে হয়...', দেশজুড়ে 'অগ্নিপথ' বিক্ষোভের মধ্যে মোদীর দৃঢ় বিবৃতি
'অগ্নিপথ' নিয়ে বিক্ষোভের মধ্যে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 20, 2022 | 6:47 PM

বেঙ্গালুরু: সেনা নিয়োগ সংক্রান্ত অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে দেশজুড়ে প্রতিবাদ এবং বিরোধীদের তীব্র সমালোচনার মধ্যে সোমবার (২০ জুন) এই বিষয়ে প্রথমবারের মতো মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন, বেশ কয়েকটি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন করতে কর্নাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে ভাষণ দিতে গিয়ে একবারও অবশ্য অগ্নিপথ প্রকল্পের নাম করেননি নরেন্দ্র মোদী। তবে তিনি বলেছেন, ‘বেশ কিছু সিদ্ধান্ত প্রথমে অন্যায্য মনে হতে পারে, কিন্তু পরে সেগুলি দেশ গঠনে সাহায্য করবে।’

এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদী দাবি করেন, তাঁর সরকার যুবদের জন্য মহাকাশ এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের দরজা খুলে দিয়েছে। তিনি সংস্কারের বিষয়েও জোর দেন। তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে এই সব সংস্কার অপ্রীতিকর মনে হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আজ দেশ সেই সব সংস্কারের সিদ্ধান্তের সুফল অনুভব করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সংস্কারের পথই আমাদের নতুন লক্ষ্য ও নতুন সংকল্পের দিকে নিয়ে যায়। আমরা যুবদের জন্য মহাকাশ এবং প্রতিরক্ষার মতো, যেসব ক্ষেত্রে কয়েক দশক ধরে কেবল সরকারেরই একচেটিয়া আধিপত্য ছিল, সেই প্রতিটি ক্ষেত্র খুলে দিয়েছি। আজ আমরা ভারতের যুবকদের ড্রোন থেকে বিমান পর্যন্ত সব ধরনের প্রযুক্তিতে উৎসাহিত করছি। আমরা তরুণদের কাছে আবেদন করছি, যাতে তারা তাদের ধারণা ও দৃষ্টিভঙ্গি সরকারের তৈরি করা বিশ্বমানের সুযোগ-সুবিধায় পরীক্ষা করে। দেশের যুবকরাও কঠোর পরিশ্রম করছেন। সরকারি সংস্থাগুলি দেশের তরুণদের তৈরি সংস্থার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করলে, তবেই আমরা বিশ্বের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারব। সরকারি ও বেসরকারি উভয় প্রতিষ্ঠানই দেশের ঐতিহ্য। কিন্তু দেশবাসীর মানসিকতার পরিবর্তন হয়নি। তারা বেসরকারি উদ্যোগ সম্পর্কে কখনও ভাল কথা বলে না।’

প্রধানমন্ত্রী ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের নাম না করলেও, তাঁর এই বিবৃতির লক্ষ্য এই প্রকল্পই বলে মনে করা হচ্ছে। বিহার, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশের মতো বেশ কয়েকটি রাজ্যে এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হিংসাত্মক আকার নিয়েছে। প্রতিবাদীরা বেশ কয়েকটি ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। কোটি কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে। প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসও এই প্রকল্পের বিরোধিতা করে নয়া দিল্লির যন্তর মন্তরে সত্যাগ্রহে বসেছে। কংগ্রেস বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে দরবার করবে বলেও জানিয়েছে। শুধু কংগ্রেস নয়, বেশ কয়েকটি বিরোধী দলই ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পকে কেন্দ্রীয় সরকারের ভুল পদক্ষেপ বলে সমালোচনা করেছে।

তবে সরকার এই প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়ে একেবারে অনড়। মঙ্গলবারই অগ্নিবীরদের নিয়োগের জন্য সেনাবাহিনী প্রথম বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে। এর একদিন আগেই সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রতিরক্ষা সচিব সাফ জানয়েছেন, এই প্রকল্প কোনওভাবেই ফিরিয়ে নেওয়া হবে না। সামরিক বাহিনী সাফ জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী সেনা নিয়োগের প্রবণতার সঙ্গে তাল মিলিয়েই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। তারা আরও বলেছে, ‘এটি একটি দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সংস্কার। যুদ্ধে যেভাবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে, সৈন্যদের গড় বয়স কম করতেই হবে।’ প্রসঙ্গত, অগ্নিপথ প্রকল্পে সাড়ে সতোরো থেকে একুশ বছর বয়সীদের চার বছরের জন্য চুক্তি ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।